মুসলমান পিতা-মাতা উনাদের আনুগত্য করার বিধান হলো, মুসলমান পিতা-মাতা উনাদের খিদমত করা ও উনাদের আনুগত্য করা সন্তানের উপর ওয়াজিব। উনাদের অবাধ্য হওয়া কবীরা গুনাহ। পবিত্র ইসলামী শরীয়ত উনার সীমাতে এ আনুগত্য সীমিত থাকবে। তবে পিতা-মাতা উনারা সন্তানকে কুফর, শিরক বা ইসলামী শরীয়ত বিরোধী কোনোি কাজে লিপ্ত হওয়ার আদেশ দিলে এ নির্দেশের আনুগত্য করা যাবে না। কেননা পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন
وان جاهداك على ان تشرك بى ماليس لك به علم فلا تطعهما.
অর্থ: “যদি তারা (পিতা-মাতা) তোমাদেরকে বাধ্য করে আমার সাথে শিরক করার জন্য। যে ব্যাপারে তোমাদের জ্ঞান নেই, তবে তোমরা তাদের অনুসরণ কর না।” (পবিত্র সূরা লুকমান শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ-১৫)
অন্যদিকে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,
لاطاعة لمخلون فى معصية الخالق.
অর্থ: “মহান আল্লাহ পাক উনার নাফরমানী করে কোন সৃষ্টির অনুগত্য হারাম।”
অর্থাৎ পিতা-মাতা উনার আনুগত্য করতে গিয়ে এমন কাজ করা যাবে না যে কাজগুলো ইসলামী শরীয়ত উনার বিরোধী। এখন কোনো পিতা-মাতা যদি চায় যে- তার সন্তানকে স্কুলে পড়া-শুনা করাবে, গান-বাজনা শিখাবে, হারাম নাজায়িয ছবি তোলাবে, মাদরাসায় পড়াবে না বা দ্বীনী শিক্ষা দিবে না ইত্যাদি ইত্যাদি সেক্ষেত্রে সন্তান তার পিতা-মাতা উনাদের নির্দেশ মানতে পারবে না, বরং তাকে ইসলামী শরীয়ত মেনে চলতে হবে। এক্ষেত্রে সন্তান কোনো ওজর পেশ করতে পারবে না যে, আমার পিতা-মাতা উনার কারণে আমি ইসলামী শরীয়ত মানতে পারতেছি না। বরং তাকে চেষ্টা করতে হবে সম্মানিত শরয়িত অনুযায়ী চলার জন্য। কেননা তার পিতা-মাতা যদি তাকে ভরণ-পোষণ না দিতো তখন তো সে ঠিকই নিজের জন্য অন্য কোন একটা ব্যবস্থা গ্রহণ করতো।
মহান আল্লাহ পাক তিনি যেন আমাদের সবাইকে সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত অনুযায়ী চলার তাওফীক দান করেন। আমীন!
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন