728x90 AdSpace

  • Latest News

    ইবনু রসূলিল্লাহ, আশবাহুল খলক্বি বিরসূলিল্লাহ, সাইয়্যিদুল বাশার, সাইয়্যিদুল আসইয়াদ, আল মুবাশ্শির, আল আবাররু, আল আজওয়াদ সাইয়্যিদুনা হযরত ছালিছ আলাইহিস সালাম উনার সম্মানিত সাওয়ানেহে উমরী মুবারক

    সংক্ষিপ্ত পরিচিতি মুবারক:
    ইবনু রসূলিল্লাহ, আশবাহুল খলক্বি বিরসূলিল্লাহ, সাইয়্যিদুল বাশার সাইয়্যিদুনা হযরত ছালিছ আলাইহিস সালাম উনার সবচেয়ে বড় পরিচয় মুবারক হচ্ছে, তিনি হচ্ছেন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার লখতে জিগার, মহাসম্মানিত আবনা’ (ছেলে) আলাইহিস সালাম। সুবহানাল্লাহ! নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত হযরত আবনা’ (ছেলে) আলাইহিমুস সালাম উনাদের মধ্যে তিনি হচ্ছেন ‘ছালিছ’ তথা তৃতীয়। সুবহানাল্লাহ! তিনি শুধু মহান আল্লাহ পাক তিনি নন এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নন; এছাড়া সমস্ত শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক উনাদের অধিকারী। সুবহানাল্লাহ! উনার সম্মানিত মুহব্বত মুবারকই হচ্ছেন ঈমান। সুবহানাল্লাহ! তিনি ‘ইবনু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ -এই সাইয়্যিদুনা হযরত ছালিছ আলাইহিস সালাম সম্মানিত লক্বব মুবারক-এ পরিচিতি মুবারক গ্রহণ করেছেন। তাই অত্র লিখনীতে উনাকে ‘ইবনু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ সাইয়্যিদুনা হযরত ছালিছ আলাইহিস সালাম হিসেবে সম্বোধন করা হয়েছে। সুবহানাল্লাহ!
    সম্মানিত বংশীয় পবিত্রতা মুবারক:
    খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,
    اِنَّا اَعْطَيْنٰكَ الْكَوْثَرَ
    অর্থ: “নিশ্চয়ই আমি আপনাকে সম্মানিত কাউছার মুবারক হাদিয়া মুবারক করেছি।” সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত সূরা কাওছার শরীফ: সম্মানিত আয়াত শরীফ ১)
    এই সম্মানিত কাওছার মুবারক উনার লক্ষ-কোটি ব্যাখ্যা মুবারক। উনাদের মধ্যে একখানা ব্যাখ্যা মুবারক হচ্ছেন, ‘খইরে কাছীর’ তথা সমস্ত প্রকার ভালাই। অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সমস্ত প্রকার ভালাই তথা সর্বোত্তম ও সর্বশ্রেষ্ঠ বিষয় মুবারকগুলো হাদিয়া মুবারক করেছেন। সুবহানাল্লাহ! অপরদিকে উনার সাথে যে বিষয় মুবারকগুলো সম্পৃক্ত হয়েছেন, সে বিষয় মুবারকগুলো সর্বোত্তম ও সর্বশ্রেষ্ঠ হয়ে গেছেন। সুবহানাল্লাহ!
    নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত এক কথায়, তিনি শুধু খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি নন; এছাড়া সমস্ত কিছু। সুবহানাল্লাহ!
    সুতরাং ইবনু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত ছালিছ আলাইহিস সালাম উনার সম্মানিত বংশীয় পবিত্রতা মুবারক উনার বিষয়টি সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসীর চিন্তা ও কল্পনার বাইরে। কেননা তিনি হচ্ছেন যিনি সমস্ত পবিত্রতা, সম্মান ও ইজ্জত মুবারক, নাজ-নিয়ামত মুবারক সমস্ত কিছুর মালিক, বণ্টনকারী নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত লখতে জিগার মুবারক, উনার সম্মানিত আবনা’ (ছেলে) আলাইহিস সালাম। সুবহানাল্লাহ!
    প্রকৃত কথা হলো ইবনু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত ছালিছ আলাইহিস সালাম তিনি হচ্ছেন সম্মানিত পবিত্রতা মুবারক উনার মালিক। উনাকে যারা বিন্দু থেকে বিন্দুতমও মুহব্বত করবে, তারাও পবিত্রতা হাছিল করবে, অপবিত্রতা থেকে মুক্তি পাবে এবং হাক্বীক্বী মা’রিফাত-মুহব্বত, রেযামন্দি-সন্তুষ্টি মুবারক লাভ করবে। সুবহানাল্লাহ!
    সম্মানিত সুসংবাদ মুবারক হাদিয়া:
    খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,
    اللهُ يَخْتَصُّ بِرَحْمَتِهِ مَنْ يَشَاءُ وَاللهُ ذُو الْفَضْلِ الْعَظِيمِ.
    অর্থ: “মহান আল্লাহ পাক তিনি যাকে ইচ্ছা স্বীয় সম্মানিত রহমত মুবারক দ্বারা খাছ করে নেন। আর মহান আল্লাহ পাক তিনি হচ্ছেন সম্মানিত মহান ফযল মুবারক উনার মালিক।” সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত সূরা বাক্বারাহ শরীফ: সম্মানিত আয়াত শরীফ ১০৫)
    এই সম্মানিত আয়াত শরীফ উনার পরিপূর্ণ মিছদাক্ব হচ্ছেন সাইয়্যিদুল বাশার, হাবীবুল্লাহ, ইবনু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত ছালিছ আলাইহিস সালাম তিনি। সুবহানাল্লাহ! মহান আল্লাহ পাক তিনি স্বীয় সম্মানিত রহমত মুবারক দ্বারা ইবনু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত ছালিছ আলাইহিস সালাম উনাকে খাছ করে নিয়েছেন, উনাকে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত আবনা’ (ছেলে) আলাইহিস সালাম হিসেবে সৃষ্টি মুবারক করেছেন। সুবহানাল্লাহ! তিনি হচ্ছেন মহান আল্লাহ পাক উনার আখাচ্ছুল খাছ মাহবূব ব্যক্তিত্ব মুবারক। সুবহানাল্লাহ! শুধু তাই নয়, উনাকে যাঁরা বিন্দু থেকে বিন্দুতমও মুহব্বত মুবারক করবে, তারাও মহান আল্লাহ পাক উনার মাহবূব ব্যক্তিত্বে পরিণত হয়ে যাবে। সুবহানাল্লাহ! তিনি শুধু মহান আল্লাহ পাক তিনি নন এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নন; এছাড়া সমস্ত কিছু। সুবহানাল্লাহ! তাই যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার এই আখাচ্ছুল খাছ মাহবূব ব্যক্তিত্ব মুবারক সাইয়্যিদুল কাওনাইন সাইয়্যিদুনা হযরত ছালিছ আলাইহিস সালাম উনার ‘মহাসম্মানিত রগাইব শরীফ’ উনার পূর্বে ও পরে এবং উনার মহাসম্মানিত বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করার পূর্বে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে এবং উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম উনাদেরকে উনার ব্যাপারে অনেক আখাচ্ছুল খাছ সম্মানিত সুসংবাদ মুবারক হাদিয়া মুবারক করেছেন। সুবহানাল্লাহ!
    মহাসম্মানিত বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ:
    ইবনু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত ছালিছ আলাইহিস সালাম তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মানিত নুবুওওয়াত মুবারক প্রকাশের ৮ বছর পূর্বে মহাসম্মানিত রবীউল আউওয়াল শরীফ মাস উনার ৪ তারিখ মহাসম্মানিত বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করে সমস্ত জিন-ইনসান ও তামাম কায়িনাতবাসীকে অফুরন্ত রহমত-বরকত, সাকীনা ও নিয়ামত মুবারক দানে ধন্য করেন। সুবহানাল্লাহ! তখন দুনিয়াবী জিন্দেগী মুবারক অনুযায়ী নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত বয়স মুবারক ছিলেন প্রায় ৩২ বছর এবং উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত বয়স মুবারক ছিলেন প্রায় ৪৭ বছর। সুবহানাল্লাহ! তিনি ইবনু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা ছানী আলাইহিস সালাম উনার পর মহাসম্মানিত বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন। সুবহানাল্লাহ! আর উনার পর বিনতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছানিয়াহ আলাইহাস সালাম তিনি মহাসম্মানিত বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন। সুবহানাল্লাহ!
    মহান আল্লাহ পাক তিনি ইবনু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত ছালিছ আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করার পূর্বে সম্মানিত জান্নাত মুবারক উনাকে অপরূপ সাজে সুসজ্জিত করেন এবং সম্মানিত জান্নাত উনার সমস্ত দরজা মুবারকগুলো উন্মুক্ত করে দেন। সুবহানাল্লাহ! মহান আল্লাহ পাক তিনি প্রধান চার ফেরেশতা হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম উনাকে, হযরত মীকাঈল আলাইহিস সালাম উনাকে, হযরত আজরাঈল আলাইহিস সালাম উনাকে, হযরত ইসরাফীল আলাইহিস সালাম উনাকেসহ সমস্ত হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে নির্দেশ মুবারক প্রদান করেন ইবনু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত ছালিছ আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করার পয়গাম সমগ্র কায়িনাতে প্রচার করে দেয়ার জন্য এবং সমগ্র কায়িনাতকে অপরূপ সাজে সুসজ্জিত করার জন্য। সুবহনাল্লাহ! তাই সকলেই অত্যন্ত আদব, শরাফতের সাথে অধীর আগ্রহে দ-ায়মান নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার লখতে জিগার সাইয়্যিদুনা হযরত ছালিছ আলাইহিস সালাম উনাকে আহলান-সাহলান ও মুবারকবাদ জানানোর জন্য। সুবহানাল্লাহ!
    ইবনু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত ছালিছ আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করার সময় উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত খিদমত মুবারক উনার আনজাম মুবারক দেয়ার জন্য মহান আল্লাহ পাক তিনি সম্মানিত জান্নাত মুবারক থেকে বিশেষ ব্যক্তিত্বা মুবারক উনাদেরকে প্রেরণ করেন। সুবহানাল্লাহ! ইবনু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত ছালিছ আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করার সময় উনার যিনি মহাসম্মানিতা আম্মাজান উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম তিনি দেখতে পান চারজন বিশেষ সম্মানিতা মহিলা আলাইহিন্নাস সালাম উনারা উনার সম্মানিত হুজরা শরীফ-এ তাশরীফ নিয়েছেন। আর এই চারজন মহিলা আলাইহিন্নাস সালাম উনারা হচ্ছেন সাইয়্যিদাতুনা হযরত হাওয়া আলাইহাস সালাম তিনি, সাইয়্যিদাতুনা হযরত আসিয়া আলাইহাস সালাম তিনি, সাইয়্যিদাতুনা হযরত মারইয়াম আলাইহাস সালাম তিনি এবং হযরত মূসা কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার সম্মানিতা বোন সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু কুলছূম আলাইহাস সালাম তিনি। সুবহানাল্লাহ! এই চারজন মহাসম্মানিতা মহিলা আলাইহিন্নাস সালাম উনারা সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম উনাকে বললেন যে, আমরা এসেছি আপনার সরাসরি সম্মানিত খিদমত মুবারক উনার আনজাম মুবারক দেয়ার জন্য। যিনি মহাসম্মানিত বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করবেন, তিনি হচ্ছেন ক্বায়িম-মাক্বামে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। সুবহানাল্লাহ! উনার সেই সম্মানিত খিদমত মুবারক উনার আনজাম মুবারক দেয়ার জন্য যিনি খালিক্ব যিনি মালিক যিনি রব আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে পাঠিয়েছেন। এরপর মহান আল্লাহ পাক যিনি খালিক্ব মালিক রব তিনি কুদরতীভাবেই সাইয়্যিদুল কাওনাইন, সাইয়্যিদুছ ছাক্বালাইন, হাবীবুল্লাহ, ইবনু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত ছালিছ আলাইহিস সালাম উনার যমীনে আগমনের বিষয়টি ফায়সালা মুবারক করেন। সুবহানাল্লাহ!
    ইবনু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত ছালিছ আলাইহিস সালাম তিনি সিজদারত অবস্থায় দুনিয়ার যমীনে মহাসম্মানিত বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন। সুবহানাল্লাহ! এমনিতেই উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত হুজরা শরীফ নূরে নূরানী, তারপরেও সাইয়্যিদুনা হযরত ছালিছ আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশের কারণে সম্মানিত হুজরা শরীফ আরো নূরানী হয়ে গেলো। সুবহানাল্লাহ! উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরানী জিসম মুবারক থেকে অবিরত ধারায় সম্মানিত নূর মুবারক বিচ্ছূরিত হতে লাগলেন এবং সেই সম্মানিত নূর মুবারক উনার আলোয় সর্বত্র আলোকিত হয়ে গেলো। সুবহানাল্লাহ! সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম মাখলূকাত অফুরন্ত নিয়ামত মুবারক লাভে ধন্য হলেন। মহান আল্লাহ পাক উনার নির্দেশে সমস্ত হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা সাইয়্যিদুনা হযরত ছালিছ আলাইহিস সালাম উনাকে মুবারকবাদ জানাতে থাকেন। সুবহানাল্লাহ! সকলেই বলতে থাকেন, হে সাইয়্যিদুল মুরসালীন ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত আওলাদ আলাইহিস সালাম আপনাকে সালাম! হে ইমামুল মুরসালীন ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত লখতে জিগার আলাইহিস সালাম আপনাকে সালাম! সুবহানাল্লাহ!
    ইবনু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত ছালিছ আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করার কারণে সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সম্মানিত রহমত-বরকত, সাক্বীনা মুবারক এবং অফুরন্ত নাজ-নিয়ামত মুবারক লাভে ধন্য হলেন। সুবহানাল্লাহ! অনন্তকাল যাবত উনাকে যাঁরা স্মরণ করবে, উনার মহাসম্মানিত বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশের কথা স্মরণ করবে, তারা মহান আল্লাহ পাক উনার অসীম করুণা ও অফুরন্ত রহমতী বারিধায়ায় সিক্ত হতেই থাকবে। সুবহানাল্লাহ!
    মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের সবাইকে সেই সম্মানিত নিয়ামত মুবারক দানে ধন্য করুন। আমীন!
    মহাসম্মানিত বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশে সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন:
    ইবনু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত আউওয়াল আলাইহিস সালাম উনার এবং ইবনু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত ছালিছ আলাইহিস সালাম উনাদের পর ইবনু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত ছালিছ আলাইহিস সালাম তিনি আবনা’ (ছেলে) আলাইহিস সালাম হিসেবে দুনিয়ার যমীনে মহাসম্মানিত বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন। সুবহানাল্লাহ! তাহলে উনার মহাসম্মানিত বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এবং উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম উনারা কত বেমেছাল খুশি মুবারক প্রকাশ করেছেন, সেটা সমস্ত জিন-ইনসান তামাম কায়িনাতবাসীর চিন্তা ও কল্পনার বাইরে। সুবহানাল্লাহ! উনার মহাসম্মানিত বরকতময় বিলাদতী শান মুাবরক প্রকাশে খুশি মুবারক প্রকাশ করেও নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এবং উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম উনারা অনেক দান-ছদক্বা মুবারক করেন এবং আত্মীয়-স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশীদেরকে বিশেষভাবে দাওয়াত মুবারক দিয়ে বিশেষ মেহমানদারীর ব্যবস্থা করেন। সুবহানাল্লাহ!
    নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার মহাসম্মানিত লখতে জিগার আলাইহিস সালাম উনাকে কোল মুবারক-এ নিয়ে বেমেছালভাবে খুশি মুবারক প্রকাশ করেন, উনাকে অনেক আদর স্নেহ মুবারক করেন, উনাকে চুমু মুবারক দেন এবং মহান আল্লাহ পাক উনার শুকরিয়া আদায় করেন। সুবহানাল্লাহ!
    মূলত, ইবনু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত ছালিছ আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশে মহান আল্লাহ পাক তিনি, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহিস সালাম তিনি, উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম তিনি, হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনারা এবং হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা সকলেই ‘ফালইয়াফরাহূ’ তথা মহাসম্মানিত সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করেন। সুবহানাল্লাহ! তাহলে যেই দিন স্বয়ং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি খুশি মুবারক প্রকাশ করেছেন, সেই দিন উম্মতের দায়িত্ব-কর্তব্য কী? মূলত, উম্মতের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে তথা ফরয হচ্ছে সেই দিন খুশি মুবারক প্রকাশ করা, ‘ফালইয়াফরাহূ’ তথা মহাসম্মানিত সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করা। সুবহানাল্লাহ!
    খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,
    يٰاَيُّهَاالنَّاسُ قَدْ جَاءَتْكُمْ مَّوْعِظَةٌ مّـِنْ رَّبّـِكـُمْ وَشِفَاءٌ لِّـمَا فِى الصُّدُوْرِ وَهُدًى وَّرَحْمَةٌ لّـِلْمُؤْمِنِيْنَ. قُلْ بِفَضْلِ اللهِ وَبِرَحْمَتِهٖ فَبِذٰلِكَ فَلْيَفْرَحُوْا هُوَ خَيْرٌمِّـمَّا يَـجْمَعُوْنَ.
    অর্থ: “হে মানুষেরা! হে সমস্ত জিন-ইনসান, কায়িনাতবাসী! অবশ্যই তোমাদের মাঝে মহান আল্লাহ পাক উনার পক্ষ থেকে সর্বশ্রেষ্ঠ নছীহতকারী, তোমাদের অন্তরের সর্বপ্রকার ব্যাধিসমূহের সর্বশ্রেষ্ঠ আরোগ্যদানকারী, সর্বশ্রেষ্ঠ হিদায়েত দানকারী এবং খাছ করে ঈমানদারদের জন্য, আমভাবে সমস্ত কায়িনাতবাসীর জন্য সর্বশ্রেষ্ঠ রহমতস্বরূপ আমার যিনি হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি তাশরীফ মুবারক এনেছেন। সুবহানাল্লাহ! হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসীকে জানিয়ে দিন, মহান আল্লাহ পাক তিনি যে, সম্মানিত ফযল মুবারক এবং সম্মানিত রহমত মুবারক হিসেবে উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে পাঠিয়েছেন, সেজন্য তারা যেন ‘ফালইয়াফরাহূ’ তথা সম্মানিত খুশি মুবারক প্রকাশ করে, মহাসম্মানিত সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করে। এই ‘ফালইয়াফরাহূ’ তথা সম্মানিত খুশি প্রকাশ করাটা, মহাসম্মানিত সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করাটা সবকিছু থেকে সর্বশ্রেষ্ঠ এবং সর্বোত্তম; যা তারা দুনিয়া ও আখিরাতের জন্য সঞ্চয় করে।” সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত সূরা ইউনূস শরীফ: সম্মানিত আয়াত শরীফ ৫৭-৫৮)
    এই সম্মানিত আয়াত শরীফ উনার পরিপূর্ণ মিছদাক্ব হচ্ছেন ইবনু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত ছালিছ আলাইহিস সালাম তিনি। সুবহানাল্লাহ!
    তাই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ উপলক্ষে মহাসম্মানিত সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করা যেমন ফরয, তেমনিভাবে উনার মহাসম্মানিত আবনা’ সাইয়্যিদুনা হযরত ছালিছ আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ উপলক্ষে সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করাও ফরয তো অবশ্যই; বরং ফরয উনার উপর ফরয। সুবহানাল্লাহ! কেননা উনার মহাসম্মানিত বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশে স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক তিনি, উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি, হযরত উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম তিনি, হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনারা এবং হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা সকলেই সম্মানিত ‘ফালইয়াফরাহূ’ তথা সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করেছেন। সুবহানাল্লাহ! শুধু তাই নয়, উনার মহাসম্মানিত বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশে খুশি প্রকাশ করলে স্বয়ং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নিজে অত্যন্ত সন্তুষ্টি মুবারক প্রকাশ করে থাকেন, খুশি মুবারক প্রকাশ করে থাকেন। সুবহানাল্লাহ!
    মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের সবাইকে সাইয়্যিদুনা হযরত ছালিছ আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশের দিন এবং উনার সম্মানার্থে দায়িমীভাবে হাক্বীক্বীভাবে সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করার তাওফীক্ব দান করুন। আমীন!
    ইবনু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত ছালিছ আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত নাম মুবারক রাখা:
    আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুজাদ্দিদে আ’যম সম্মানিত রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ আলাইহিছ ছলাতু ওয়াস সালাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার মহাসম্মানিত আবনা’, সম্মানিত লখতে জিগার সাইয়্যিদুনা হযরত ছালিছ আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ পাওয়ার পর পরই উনার সম্মানিত নাম মুবারক রাখেন ‘সাইয়্যিদুনা হযরত ত্বাহির আলাইহিস সালাম’।” সুবহানাল্লাহ!
    সম্মানিত আক্বীক্বা মুবারক দেয়া:
    নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার সম্মানিত লখতে জিগার মুবারক, সাইয়্যিদুল কাওনাইন, মালিকুল জান্নাহ, হাবীবুল্লাহ, ইবনু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত ছালিছ আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশের ৭ম দিনে দুটি দুম্বা বা খাসি মুবারক দ্বারা সম্মানিত আক্বীক্বা মুবারক দেন। সুবহানাল্লাহ! তারপর শত শত উট ও অন্যান্য পশু যবাই করে বিশেষ মেহমানদারীর ব্যবস্থা করেন। উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম উনার আত্মীয়-স্বজন, সমস্ত কুরাইশ, জিন-ইনসানসহ সকলেই সেই সম্মানিত মেহমানদারীতে উপস্থিত হন এবং তৃপ্তি সহকারে আহার করেন।” সুবহানাল্লাহ!
    সম্মানিত লক্বব মুবারক:
    মহান আল্লাহ পাক তিনি যেমন অসীম, ঠিক তেমনিভাবে উনার সম্মানিত লক্বব মুবারক উনাদের সংখ্যাও অসীম। সুবহানাল্লাহ! অনুরূপভাবে মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত লক্বব মুবারক উনার সংখ্যাও অসংখ্য। এক কথায় তিনি শুধু মহান আল্লাহ পাক তিনি নন; এছাড়া সমস্ত লক্বব মুবারক উনার অধিকারী। সুবহানাল্লাহ! ঠিক একইভাবে ইবনু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত ছালিছ আলাইহিস সালাম তিনি শুধু মহান আল্লাহ পাক তিনি নন এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নন; এছাড়া যত সম্মানিত লক্বব মুবারক রয়েছেন, সমস্ত সম্মানিত লক্বব মুবারক উনাদের অধিকারী হচ্ছেন তিনি। সুবহানাল্লাহ!
    ইবনু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুল আসইয়াদ, বিদ্ব‘আতুম মির রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আশবাহুল খ¦লক্বি বিরসূলিল্লাহ ছল্লøাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুল বাশার, হাবীবুল্লাহ, সাইয়্যিদুল কাওনাইন, ইমামু মুত্তাক্বীন, ইমামুল খইর, নূরে মুয়ায্যাম, মাহবূবে ইলাহী, মালিকু কায়িনাত ইত্যাদি উনার বিশেষ সম্মানিত লক্বব মুবারক উনাদের অন্তর্ভুক্ত। সুবহানাল্লাহ!
    সম্মানিত ইলম মুবারক:
    সম্মানিত হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে,
    عَنْ حَضْرَتْ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أُعْطِيْتُ جَوَامِعَ الْعِلْمِ .
    অর্থ: “হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাস্সাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, আমাকে সমস্ত প্রকার ইলম হাদিয়া করা হয়েছে।” সুবহানাল্লাহ! (সুনানে দারু কুত্বনী ৫/২৫৪, দায়লামী শরীফ ১/৪০০)
    আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে,
    عَنْ حَضْرَتْ أَبِىْ هُرَيْرَةَ رَضِىَ اللهُ تَعَالى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بُعِثْتُ بِجَوَامِعِ الْكَلِمِ
    অর্থ: “হযরত আবূ হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নূরে মুজাস্সাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, আমি সমস্ত ইলম মুবারকসহ প্রেরিত হয়েছি।” সুবহানাল্লাহ! (বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ, নাসায়ী শরীফ, মুসনাদে আহমদ ২/২৬৪, মুসনাদে বাযযার ১৪/২১৪, দালাইলুন নুবুওওয়াহ ৫/৪৭১, মিশকাত শরীফ ৫১২ ইত্যাদি)
    এই সকল সম্মানিত হাদীছ শরীফ দ্বারা অত্যন্ত সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত যে, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সৃষ্টির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সমস্ত প্রকার ইলম মুবারক উনার অধিকারী। সুবহানাল্লাহ! আর এই সকল সম্মানিত হাদীছ শরীফ উনাদের পরিপূর্ণ মিছদাক্ব হচ্ছেন ইবনু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত ছালিছ আলাইহিস সালাম তিনি। সুবহানাল্লাহ!
    মহান আল্লাহ পাক তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে যেমন হাবীবুল্লাহ হিসেবে এবং সমস্ত ইলম মুবারক ও মর্যাদা-মর্তবা মুবারক হাদিয়া মুবারক করেই সৃষ্টি মুবারক করেছেন, ঠিক তেমনিভাবে ইবনু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত ছালিছ আলাইহিস সালাম উনাকেও হাবীবুল্লাহ হিসেবে এবং সমস্ত ইলম মুবারক ও মর্যাদা-মর্তবা মুবারক হাদিয়া করেই সৃষ্টি মুবারক করেছেন। কাজেই তিনি সৃষ্টির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সমস্ত ইলম মুবারক উনার অধিকারী, মালিক। সুবহানাল্লাহ!
    মূলত, উনার সম্মানিত ইলম মুবারক উনার বিষয়টি হুবহু নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত ইলম মুবারক উনার অনুসরণে অনুরূপ। সুবহানাল্লাহ! যদিও ওহী বলা হয় না; কিন্তু সম্মানিত ওহী মুবারক উনার ইলম থেকে উনাকে ইলম মুবারক হাদিয়া করা হয়েছে। সুবহানাল্লাহ!
    নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এবং সাইয়্যিদুনা হযরত ছালিছ আলাইহিস সালাম উনারা একই সম্মানিত নূর মুবারক থেকে সৃষ্টি:
    যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার হাবীব, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে এবং ইবনু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত ছালিছ আলাইহিস সালাম উনাদেরকে একই সম্মানিত নূর মুবারক থেকে সৃষ্টি মুবারক করেছেন। সুবহানাল্লাহ!
    এই সম্পর্কে সম্মানিত হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,
    فخلقتك وأهل بيتك من القسمالأول
    অর্থ: “হে হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমি আপনাকে এবং আপনার পূত-পবিত্র, পবিত্রতাদানকারী সম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে সম্মানিত প্রথম ভাগ নূর মুবারক থেকে তথা একই নূর মুবারক থেকে সৃষ্টি মুবারক করেছি।” সুবহানাল্লাহ! (নুযহাতুল মাজালিস ১/২৭৩, নূরে মুহম্মদী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
    আর ইবনু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হচ্ছেন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার লখতে জিগার, উনার মহাসম্মানিত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম। সুবহানাল্লাহ! কাজেই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এবং আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত ছালিছ আলাইহিস সালাম উনারা একই সম্মানিত নূর মুবারক থেকে সৃষ্টি। সুবহানাল্লাহ!
    নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম উনাদের সম্মানিত কোল মুবারক-এ সাইয়্যিদুনা হযরত ছালিছ আলাইহিস সালাম তিনি:
    ইবনু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত ছালিছ আলাইহিস তিনি দুনিয়ার যমীনে মাত্র ৮ দিন অবস্থান মুবারক করেন। ফলে তিনি কোনো সম্মানিতা দুধমা উনার হুজরা শরীফ-এ তাশরীফ মুবারক রাখেননি। তিনি এই ৮ দিনই উনার মহাসম্মানিত আব্বাজান নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং মহাসম্মানিতা আম্মাজান উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম উনাদের সম্মানিত কোল মুবারক-এ অতি বেমেছাল আদর-যতœ, স্নেহ-মমতা, মায়া-মুহব্বত মুবারক-এ লালিত-পালিত হন। সুবহানাল্লাহ!
    নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং মহাসম্মানিতা আম্মাজান উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম উনাদের সম্মানিত নূরানী কোল মুবারক-এ শোভা পাচ্ছিলেন নূরী আওলাদ, ইবনু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত ছালিছ আলাইহিস সালাম তিনি। সুবহানাল্লাহ! কি যে মনোরম, আনন্দময় এবং অপরূপ স্মৃতি মুবারক, তা কায়িনাতবাসীর চিন্তা ও কল্পনার বাইরে। সুবহানাল্লাহ! কি যে আদর- স্নেহ মুবারক, মায়া-মুহব্বত মুবারক লাভ করছিলেন সাইয়্যিদুনা হযরত ছালিছ আলাইহিস সালাম তিনি উনার মহাসম্মানিত আব্বাজান ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং উনার মহাসম্মানিতা আম্মাজান আলাইহাস সালাম উনাদের সম্মানিত কোল মুবারক-এ কার সাধ্য আছে তা বর্ণনা করার। এটা এমন এক অবস্থা মুবারক যেখানে কোনো নৈকট্যপ্রাপ্ত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদের এবং হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের স্থান সঙ্কুলান হয় না। সুবহানাল্লাহ! সমস্ত কায়িনাতবাসী যদি সেই রহমতপূর্ণ, বরকতপূর্ণ, নিয়ামতপূর্ণ, মনোরম স্মৃতি মুবারক স্মরণ করার কোশেশ করে, তবে তারা আবাদুল আবাদের তরে অসীম-অফুরন্ত নাজ, নিয়ামত, রহমত, বরকত, সাকীনা মুবারক লাভে ধন্য হতে থাকবে। সুবহানাল্লাহ!
    মহান আল্লাহ পাক উনার পক্ষ থেকে আহ্বান:
    মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার রসূল নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত শান মুবারক-এ ইরশাদ মুবারক করেন,
    وَرَفَعْنَا لَكَ ذِكْرَكَ.
    অর্থ: “নিশ্চয়ই আমি আপনার সম্মানিত আলোচনা মুবারক, মর্যাদা-মর্তবা মুবারক বুলন্দ থেকে বুলন্দতর করেছি।” সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত সূর ইনশিরাহ শরীফ: সম্মানিত আয়াত শরীফ ৪)
    এই সম্মানিত আয়াত শরীফ উনার পরিপূর্ণ মিছদাক্ব হচ্ছেন সাইয়্যিদুল কাওনাইন, হাবীবুল্লাহ, ইবনু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত ছালিছ আলাইহিস সালাম তিনি। সুবহানাল্লাহ! উনার সম্মানিত আলোচনা মুবারক, মর্যাদা-মর্তবা মুবারকও মহান আল্লাহ পাক তিনি বুলন্দ থেকে বুলন্দতর করেছেন। সুবহানাল্লাহ! মহান আল্লাহ পাক তিনি ইবনু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত ছালিছ আলাইহিস সালাম উনাকে এতো বেমেছাল শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক হাদিয়া করেছেন যে, তিনি শুধু যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি নন এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নন; এছাড়া সমস্ত শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক উনাদের অধিকারী, উনাদের মালিক। সুবহানাল্লাহ! তাই তিনি যদি দুনিয়ার যমীনে অবস্থান মুবারক করেন, তাহলে তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ক্বায়িম-মাক্বাম সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হিসেবে দুনিয়ার যমীনে অবস্থান মুবারক করবেন। সুবহানাল্লাহ! আর যেহেতু মহান আল্লাহ পাক উনার বিধান হচ্ছেন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পর আর কেউ নবী-রসূল হবেন না, নবী-রসূল হিসেবে প্রকাশ হবেন না, তাই মহান আল্লাহ পাক তিনি সাইয়্যিদুনা হযরত ছালিছ আলাইহিস সালাম উনাকে উনার সম্মানিত ছোহবত মুবারক-এ নিয়ে যাওয়ার ইরাদা মুবারক করলেন। তিনি উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট সংবাদ মুবারক পাঠালেন যে, মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার মাহবূব সাইয়্যিদুনা হযরত ছালিছ আলাইহিস সালাম উনাকে উনার সম্মানিত ছোহবত মুবারক-এ নিয়ে যাবেন। সুবহানাল্লাহ!
    মহান আল্লাহ পাক উনার সম্মানিত আহ্বান মুবারক-এ সাড়া দিয়ে সম্মানিত বিছালী শান মুবারক প্রকাশ:
    সম্মানিত শরীয়ত মুবারক উনার একখানা উছূল মুবারক হচ্ছেন,
    النبى نبيا ولو كان صبيا والولى وليا ولو كان صبيا
    অর্থ: “যিনি নবী তিনি শিশু হলেও নবী এবং যিনি ওলী তিনি শিশু হলেও ওলী।” সুবহানাল্লাহ!
    তাই আমরা দেখতে পাই সাইয়্যিদুনা হযরত ঈসা রূহুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি দোলনা মুবারক-এ থাকা অবস্থায় উনার আম্মাজান আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত পবিত্রতা মুবারক বর্ণনা করেছেন, সাইয়্যিদুনা হযরত মূসা কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি দুধ মুবারক পানরত অবস্থায় ফিরাউনের গালে সজোরে চপেটাঘাত করেছেন এবং সাইয়্যিদুনা হযরত বড়পীর আব্দুল ক্বাদির জীলানী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করার পর থেকেই রোযা রেখেছেন। সুবহানাল্লাহ!
    যদি তাই হয়, তাহলে যিনি সরাসরি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত আওলাদ, উনার সম্মানিত লখতে জিগার মুবারক, ইবনু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত ছালিছ আলাইহিস সালাম উনার বিষয়টি কিরূপ হবে, সেটা সমস্ত জিন-ইনসান ও তামাম কায়িনাতবাসীর চিন্তা ও কল্পনার বাইরে। সুবহানাল্লাহ!
    কাজেই সাইয়্যিদুল কাওনাইন, সাইয়্যিদুছ ছাক্বালাইন, হাবীবুল্লাহ, ইবনু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত ছালিছ আলাইহিস সালাম তিনি উনার মহাসম্মানিত আব্বাজান নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং উনার মহাসম্মানিত আম্মাজান উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম উনাদের থেকে বিদায় নিয়ে মহান আল্লাহ পাক উনার সম্মানিত আহ্বান মুবারক-এ সাড়া দিয়ে উনার সম্মানিত ছোহবত মুবারক-এ যাওয়ার জন্য পূর্ণ প্রস্তুত। সুবহানাল্লাহ! তখন মহান আল্লাহ পাক তিনি কুদরতীভাবে সাইয়্যিদুনা হযরত ছালিছ আলাইহিস সালাম উনাকে সম্মানিত বিছালী শান মুবারক হাদিয়া মুবারক করে উনার সম্মানিত ছোহবত মুবারক-এ নিয়ে যান। সুবহানাল্লাহ! অর্থাৎ সাইয়্যিদুনা হযরত ছালিছ আলাইহিস সালাম তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার সম্মানিত আহ্বান মুবারক-এ সাড়া দিয়ে সম্মানিত বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করেন। সুবহানাল্লাহ! সময়টি ছিলো আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মানিত নুবুওওয়াত মুবারক প্রকাশ পাওয়ার ৮ বছর পূর্বে মহাসম্মানিত রবীউল আউওয়াল শরীফ মাস উনার ১২ তারিখ। সুবহানাল্লাহ!
    এখানে একটি বিষয় ফিকিরের যে, শাহরুল আ’যম মহাসম্মানিত রবীউল আউওয়াল শরীফ মাসে মহাসম্মানিত বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করা এবং মহাসম্মানিত বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার একখানা আখাচ্ছুল খাছ সম্মানিত সুন্নত মুবারক। আর সেই সম্মানিত সুন্নত মুবারকই কুদরতীভাবে প্রতিপালিত হয়েছে ইবনু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত ছালিছ আলাইহিস সালাম উনার মাধ্যমে। সুবহানাল্লাহ! শুধু তাই নয়, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহাসম্মানিত বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করেছেন মহাসম্মানিত ১২ই রবীউল আউওয়াল শরীফ। সেই মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারকও কুদরতীভাবে প্রতিপালিত হয়েছে আশবাহুল খ¦লকি বিরসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, হাবীবুল্লাহ, ইবনু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত ছালিছ আলাইহিস সালাম উনার মাধ্যমে। সুবহানাল্লাহ! তিনিও মহাসম্মানিত ১২ই রবীউল আউওয়াল শরীফ মহাসম্মানিত বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করেছেন। সুবহানাল্লাহ! তাহলে এখান থেকেই স্পষ্ট হয়ে যায় যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে ইবনু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কতটুকু হুবহু মিল রয়েছে। সুবহানাল্লাহ! তাই উনার একখানা বিশেষ লক্বব হচ্ছেন ‘আশবাহুল খ¦লক্বি বিরসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ তথা সৃষ্টি জগতের মাঝে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে সর্বাধিক সাদৃশ্যপূর্ণ। সুবহানাল্লাহ!
    সাইয়্যিদুনা হযরত ছালিছ আলাইহিস সালাম উনার জুদায়ী মুবারক উনার কারণে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এবং উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম উনারা অবিরত ধারায় সম্মানিত নূরুল মুহব্বত মুবারক প্রবাহিত করেন:
    ইবনু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত ছালিছ আলাইহিস সালাম উনার জুদায়ী মুবারক উনার কারণে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এবং উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম উনারা অবিরত ধারায় সম্মানিত নূরুল মুহব্বত মুবারক প্রবাহিত করেন। সুবহানাল্লাহ! উনাদের সাথে পাড়া-প্রতিবেশীসহ কায়িনাতের সকলেই কান্না করে, শোক প্রকাশ করে। সুবহানাল্লাহ! গাছ-পালা, তরু-লতা, সাগর-মহাসাগর, গ্রহ-নক্ষত্র, জিন-ফেরেশতা, চাঁদ-সূর্য এক কথায় সমস্ত মাখলুকাতের মাঝে সেই শোকের ছাপ স্পষ্টভাবে ফুটে উঠে। সুবহানাল্লাহ!
    সম্মানিত গোসল মুবারক করানো এবং সম্মানিত কাফন মুবারক পরানো:
    সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার সম্মানিত লখতে জিগার ইবনু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত ছালিছ আলাইহিস সালাম উনাকে সম্মানিত গোসল মুবারক করান এবং সম্মানিত কাফন মুবারক পরান। সুবহানাল্লাহ!
    সম্মানিত রওযা শরীফ-এ রাখা:
    সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত দিক-নির্দেশনা মুবারক অনুযায়ী ইবনু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত ছালিছ আলাইহিস সালাম উনার সম্মানিত রওযা শরীফ মুবারক খনন করা হয়। অতঃপর স্বয়ং সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নিজ হাত মুবারক-এ উনার মহাসম্মানিত লখতে জিগার মুবারক সাইয়্যিদুনা হযরত ছালিছ আলাইহিস সালাম উনাকে সম্মানিত রওযা শরীফ মুবারক-এ রাখেন। সুবহানাল্লাহ! তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম উনাদের দু’চোখ মুবারক বেয়ে অবারিত ধারায় সম্মানিত নূরুল মুহব্বত মুবারক প্রবাহিত হতে থাকেন। সুবহানাল্লাহ!
    ইবনু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত ছালিছ আলাইহিস সালাম উনাকে সম্মানিত দুধ মুবারক পান করানোর জন্য সম্মানিত জান্নাত মুবারক-এ সম্মানিতা দুধপানকারিনী রয়েছেন:
    ইবনু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত রাবি’ আলাইহিস সালাম উনার শান মুবারক-এ সম্মানিত হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে,
    عَنْ حَضْرَتْ اَلْبَرَاءِ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ قَالَ لَمَّا مَاتَ حَضْرَتْ اِبْرَاهِيْمُ عَلَيْهِ السَّلاَمُ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اِنَّ لَهٗ مُرْضِعًا فِى الْـجَنَّةِ.
    অর্থ: “হযরত বারা ইবনে আযিব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন ইবনু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত রাবি’ আলাইহিস সালাম তিনি সম্মানিত বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করেন, তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, নিশ্চয়ই উনার জন্য সম্মানিত জান্নাত মুবারক-এ একজন সম্মানিতা দুধপানকারিনী রয়েছেন।” সুবহানাল্লাহ! (বুখারী শরীফ)
    ইবনু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত ছালিছ আলাইহিস সালাম উনার শান মুবারক-এ ঠিক একই হুকুম। অর্থাৎ উনার জন্যও সম্মানিত জান্নাত মুবারক-এ একজন সম্মানিতা দুধপানকারিনী রয়েছেন, যিনি উনার দুধ মুবারক পান করা সম্পন্ন করবেন। সুবহানাল্লাহ!
    • Blogger Comments
    • Facebook Comments

    0 মন্তব্য(গুলি):

    একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

    Item Reviewed: ইবনু রসূলিল্লাহ, আশবাহুল খলক্বি বিরসূলিল্লাহ, সাইয়্যিদুল বাশার, সাইয়্যিদুল আসইয়াদ, আল মুবাশ্শির, আল আবাররু, আল আজওয়াদ সাইয়্যিদুনা হযরত ছালিছ আলাইহিস সালাম উনার সম্মানিত সাওয়ানেহে উমরী মুবারক Rating: 5 Reviewed By: Baitul Hikmah
    Scroll to Top