ইয়াদগারে নুবুওওয়াত, পেশওয়ায়ে দ্বীন, সুলতানুল আউলিয়া, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম যাইনুল আবিদীন আলাইহিস সালাম উনার মুবারক নাম আলী। উনার মুবারক কুনিয়াত আবুল হাসান ও আবু মুহম্মদ আলাইহিস সালাম। আবু আব্দিল্লাহ মাদানী আলাইহিস সালামও বলা হয়।
‘যাইনুল আবিদীন’ উনার অসংখ্য অগণিত লক্বব মুবারকের মধ্যে একখানা বিশেষ লক্বব মুবারক। সারাবিশ্বে তিনি এই মহান লক্বব মুবারকে পরিচিতি বা মশহুর রয়েছেন। সাইয়্যিদু শাবাবি আহলিল জান্নাহ, সাইয়্যিদুশ শুহাদা, সাইয়্যিদুনা ইমামুছ ছালিছ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সালাম তিনি হচ্ছেন উনার সম্মানিত পিতা। উল্লেখ্য যে, সাইয়্যিদুশ শুহাদা, সাইয়্যিদু শাবাবি আহলিল জান্নাহ, সাইয়্যিদুনা ইমামুছ ছালিছ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার অপর আহলিয়া ছিলেন হযরত লাইলা বিনতে মুররা আলাইহাস সালাম। উনার পবিত্র রেহেম শরীফে যিনি তাশরীফ এনেছিলেন উনারও মুবারক নাম ছিল হযরত আলী আলাইহিস সালাম। সঙ্গতকারণে তিনি সাইয়্যিদুনা হযরত আলী আওসাত নাম মুবারকে ভূষিত হয়েছেন সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ আলাইহিস সালাম উনার অপর একজন আওলাদ আলাইহিস সালাম উনারও মুবারক নাম ছিল আলী। যিনি সাইয়্যিদুনা হযরত আলী আসগর আলাইহিস সালাম নামে মশহুর বা পরিচিত ছিলেন। তিনি কারবালার প্রান্তরে নির্মমভাবে শাহাদতবরণ করেছেন। অর্থাৎ সাইয়্যিদুনা হযরত আলী আকবর এবং সাইয়্যিদুনা হযরত আলী আছগর আলাইহিমাস সালাম উনারা দু’জনই কারবালার প্রান্তরে শহীদ হয়েছেন। উনার সম্মানিতা মাতা: পারস্য সম্রাট এর কন্যা শহরবানু আলাইহাস সালাম। ইমামুছ ছালিছ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ, সাইয়্যিদু শাবাবী আহলিল জান্নাহ, সাইয়্যিদুশ শুহাদা হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম উনার মুবারক খিদমতে আসার পর উনার নাম মুবারক হয় হযরত সালমা আলাইহাস সালাম। কেউ কেউ হযরত গাযালা আলাইহাস সালাম বলেও উল্লেখ করেছেন। সে সময় ছিল আমীরুল মু’মিনীন, খলীফাতুল মুসলিমীন, সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নুরাইন আলাইহিস সালাম উনার খিলাফতকাল। সারাবিশ্বে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার পতাকা পত পত করে উড়তেছিল। অনেক এলাকা বিজিত হয়। রোম ও পারস্যের মতো দুই পরাশক্তিও ইতোমধ্যে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার পতাকাতলে ঠাঁই পায়। এই দৃষ্টিকোণ থেকে আমীরুল মু’মিনীন, খলীফাতুল মুসলিম সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনাকে সারা পৃথিবীর খলীফা বলা হয়। কারণ রোম ও পারস্যের মতো পরাশক্তিকে পরাভূত করতঃ সম্মানিত খিলাফত প্রতিষ্ঠার অর্থই হচ্ছে সারা দুনিয়ায় খিলাফত প্রতিষ্ঠা করা। সুবহানাল্লাহ! পারস্য সম্রাট রাজধানী মাদায়েন হতে কাবুলের নিকট এসে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললো। খলীফাতুল মুসলিমীন, সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নুরাইন আলাইহিস সালাম তিনি উনার সেনাপতি উনাকে বললেন, “যদি পারস্য সম্রাট বাড়াবাড়ি না করে তাহলে আর তাড়া করার দরকার নেই। বিজিত এলাকার জনগণের কল্যাণের দিকে মনোযোগ দিন। কিন্তু সম্রাট নিজের হাতে তার শেষ পরিণতি ডেকে আনলো। সে বিপুল সম্পদ ব্যয় করে শাহী ফৌজকে পুনর্গঠিত করলো এবং পার্শ্ববর্তী চীন সম্রাট খাকানের দরবারে হাজির হয়ে সাহায্য প্রার্থনা করলো। চীন সম্রাট খাকানও আতঙ্ক ও উৎকণ্ঠায় দিনাতিপাত করতো। কারণ পারস্যের পরেই চীন সীমান্ত। কাজেই আগেভাগে মুসলমানগণের গতিরোধ করা বুদ্ধিমানের কাজ মনে করে এগিয়ে আসলো। কিন্তু সেই স্বপ্ন খড়কুটোর মতো ভেসে গেলো। পারস্য ও চীন সম্রাটের সম্মিলিত বাহিনীও মুসলিম সেনাপতি উনার গতিরোধ করতে পারলো না। তিন দিন যুদ্ধের পর চীন সম্রাট খাকান তার বাহিনীসহ পিছটান দিলো। আর পারস্য সম্রাট নিহত হলো। পারস্য সম্রাটের পরিবার-পরিজনসহ অনেক লোক মুসলমানগণের পবিত্র হাতে বন্দি হলো। পারস্য সম্রাট পরিবারের কয়েক শতাব্দীর সঞ্চিত রতœভা-ার খলীফা সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নুরাইন আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র দরবার শরীফে হাজির করা হলো। বন্দিদের মধ্যে ছিলেন পারস্য সম্রাটের তিন কুমারী কন্যা। যারা ছিলেন রূপে গুণে অনন্যা। (মিরয়াতুল আছরার-২০৭, ইমাম যাইনুল আবিদীন-২) পারস্য সম্রাটের মেয়েদের জন্য মজলিসে শুরা (পরামর্শ মজলিস) ডাকানো হলো। অনেক আলোচনা হলো। এক পর্যায়ে আসাদুল্লাহিল গালিব, ইমামুল আউওয়াল মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম তিনি বললেন, ইয়া আমীরাল মু’মিনীন! তারা শ্রেষ্ঠ খান্দানের মেয়ে। তাদের সাথে সাধারণ বন্দিদের মতো আচরণ করা ঠিক হবে না। কাজেই তাদের জন্য একটা মুক্তিপণ ধার্য করা হোক। আর আমিই সেই মুক্তিপণ বাইতুল মালে জমা দিবো ইনশাআল্লাহ। তারপর তাদেরকে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার দিকে আহবান করা হবে। যদি সম্মানিত দ্বীন ইসলাম গ্রহণ করে তাহলে পবিত্র মদীনা শরীফ উনার তিনজন যুবককে স্বামী হিসেবে গ্রহণ করার ইখতিয়ার দেয়া হোক। তাতে যদি সম্মত না হয়, তাহলে অন্য কোনো স্থানে স্বাধীনভাবে বসবাস করতে পারবে। এই প্রস্তাব সকলেরই মনঃপুত হলো। সবাই এই প্রস্তাব মেনে নিলেন। আর পারস্য সম্রাটের মেয়েগণও অত্যন্ত খুশি হলেন। তারা সবাই সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র হাত মুবারকে পবিত্র দ্বীন ইসলাম কবুল করলেন। স্মর্তব্য যে, উনারা পূর্বেই সম্মানিত দ্বীন ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন। পরবর্তীতে নতুন করে তওবা করলেন উনার হাত মুবারকে। অতঃপর বড় মেয়ে তিনি স্বামী হিসেবে গ্রহণ করলেন খোদ সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার ছেলে হযরত আব্দুল্লাহ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাকে। মধ্যমা মেয়ে তিনি পছন্দ করলেন খলীফাতু রসূলিল্লাহ, আফযালুন নাছ বা’দাল আম্বিয়া হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনার ছেলে হযরত মুহম্মদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাকে। আর ছোট্ট মেয়ে হযরত শহরবানু আলাইহাস সালাম তিনি পুলক কম্পিত চিত্তে আঙ্গুলী মুবারক নির্দেশ করলেন, সাইয়্যিদুনা হযরত কাররমাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনার পাশে বসা সম্মানিত জান্নাত উনার যুবকদের সাইয়্যিদ হযরত ইমামুছ ছালিছ মিন আহলি রাইতি রসূলিল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার দিকে। সাথে সাথে বিবাহের কাজ সুসম্পন্ন হলো। আসাদুল্লাহিল গালিব, ইমামুল আউওয়াল মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম তিনি উনাদেরকে মুবারকবাদ জানালেন এবং প্রাণ খুলে দোয়া করলেন। বললেন আরব আ’যমের দুইটি শ্রেষ্ঠ রক্তধারার মহামিলন হওয়ার ফলে আপনাদেরকে মহান আল্লাহ পাক তিনি দুনিয়ার সেরা প্রতিভাবান সন্তান দান করবেন। মহান আল্লাহ পাক উনার অন্তর নিংড়ানো দোয়া কবুল করেছেন। সেই সৌভাগ্যবর্তী মেয়ে উনাদের রেহেম শরীফে তাশরীফ আনেন ইমামুল মুহাক্কিকীন, সুলতানুল আউলিয়া, ইয়াদগারে নবুওওয়াত, আওলাদে রসূল, ইমামুর রা’বি মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ সাইয়্যিদুনা হযরত যাইনুল আবিদীন আলাইহিস সালাম, ইমাম কাসিম ইবনে মুহম্মদ ইবনে আবু বকর ছিদ্দীক্ব আলাইহিস সালাম এবং ইলমে ফিক্বাহ উনার যুগ শ্রেষ্ঠ ইমাম হযরত সালিম ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে উমর আলাইহিস সালাম।
http://al-ihsan.net/FullText.aspx?subid=1&textid=12112
‘যাইনুল আবিদীন’ উনার অসংখ্য অগণিত লক্বব মুবারকের মধ্যে একখানা বিশেষ লক্বব মুবারক। সারাবিশ্বে তিনি এই মহান লক্বব মুবারকে পরিচিতি বা মশহুর রয়েছেন। সাইয়্যিদু শাবাবি আহলিল জান্নাহ, সাইয়্যিদুশ শুহাদা, সাইয়্যিদুনা ইমামুছ ছালিছ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সালাম তিনি হচ্ছেন উনার সম্মানিত পিতা। উল্লেখ্য যে, সাইয়্যিদুশ শুহাদা, সাইয়্যিদু শাবাবি আহলিল জান্নাহ, সাইয়্যিদুনা ইমামুছ ছালিছ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার অপর আহলিয়া ছিলেন হযরত লাইলা বিনতে মুররা আলাইহাস সালাম। উনার পবিত্র রেহেম শরীফে যিনি তাশরীফ এনেছিলেন উনারও মুবারক নাম ছিল হযরত আলী আলাইহিস সালাম। সঙ্গতকারণে তিনি সাইয়্যিদুনা হযরত আলী আওসাত নাম মুবারকে ভূষিত হয়েছেন সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ আলাইহিস সালাম উনার অপর একজন আওলাদ আলাইহিস সালাম উনারও মুবারক নাম ছিল আলী। যিনি সাইয়্যিদুনা হযরত আলী আসগর আলাইহিস সালাম নামে মশহুর বা পরিচিত ছিলেন। তিনি কারবালার প্রান্তরে নির্মমভাবে শাহাদতবরণ করেছেন। অর্থাৎ সাইয়্যিদুনা হযরত আলী আকবর এবং সাইয়্যিদুনা হযরত আলী আছগর আলাইহিমাস সালাম উনারা দু’জনই কারবালার প্রান্তরে শহীদ হয়েছেন। উনার সম্মানিতা মাতা: পারস্য সম্রাট এর কন্যা শহরবানু আলাইহাস সালাম। ইমামুছ ছালিছ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ, সাইয়্যিদু শাবাবী আহলিল জান্নাহ, সাইয়্যিদুশ শুহাদা হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম উনার মুবারক খিদমতে আসার পর উনার নাম মুবারক হয় হযরত সালমা আলাইহাস সালাম। কেউ কেউ হযরত গাযালা আলাইহাস সালাম বলেও উল্লেখ করেছেন। সে সময় ছিল আমীরুল মু’মিনীন, খলীফাতুল মুসলিমীন, সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নুরাইন আলাইহিস সালাম উনার খিলাফতকাল। সারাবিশ্বে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার পতাকা পত পত করে উড়তেছিল। অনেক এলাকা বিজিত হয়। রোম ও পারস্যের মতো দুই পরাশক্তিও ইতোমধ্যে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার পতাকাতলে ঠাঁই পায়। এই দৃষ্টিকোণ থেকে আমীরুল মু’মিনীন, খলীফাতুল মুসলিম সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনাকে সারা পৃথিবীর খলীফা বলা হয়। কারণ রোম ও পারস্যের মতো পরাশক্তিকে পরাভূত করতঃ সম্মানিত খিলাফত প্রতিষ্ঠার অর্থই হচ্ছে সারা দুনিয়ায় খিলাফত প্রতিষ্ঠা করা। সুবহানাল্লাহ! পারস্য সম্রাট রাজধানী মাদায়েন হতে কাবুলের নিকট এসে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললো। খলীফাতুল মুসলিমীন, সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নুরাইন আলাইহিস সালাম তিনি উনার সেনাপতি উনাকে বললেন, “যদি পারস্য সম্রাট বাড়াবাড়ি না করে তাহলে আর তাড়া করার দরকার নেই। বিজিত এলাকার জনগণের কল্যাণের দিকে মনোযোগ দিন। কিন্তু সম্রাট নিজের হাতে তার শেষ পরিণতি ডেকে আনলো। সে বিপুল সম্পদ ব্যয় করে শাহী ফৌজকে পুনর্গঠিত করলো এবং পার্শ্ববর্তী চীন সম্রাট খাকানের দরবারে হাজির হয়ে সাহায্য প্রার্থনা করলো। চীন সম্রাট খাকানও আতঙ্ক ও উৎকণ্ঠায় দিনাতিপাত করতো। কারণ পারস্যের পরেই চীন সীমান্ত। কাজেই আগেভাগে মুসলমানগণের গতিরোধ করা বুদ্ধিমানের কাজ মনে করে এগিয়ে আসলো। কিন্তু সেই স্বপ্ন খড়কুটোর মতো ভেসে গেলো। পারস্য ও চীন সম্রাটের সম্মিলিত বাহিনীও মুসলিম সেনাপতি উনার গতিরোধ করতে পারলো না। তিন দিন যুদ্ধের পর চীন সম্রাট খাকান তার বাহিনীসহ পিছটান দিলো। আর পারস্য সম্রাট নিহত হলো। পারস্য সম্রাটের পরিবার-পরিজনসহ অনেক লোক মুসলমানগণের পবিত্র হাতে বন্দি হলো। পারস্য সম্রাট পরিবারের কয়েক শতাব্দীর সঞ্চিত রতœভা-ার খলীফা সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নুরাইন আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র দরবার শরীফে হাজির করা হলো। বন্দিদের মধ্যে ছিলেন পারস্য সম্রাটের তিন কুমারী কন্যা। যারা ছিলেন রূপে গুণে অনন্যা। (মিরয়াতুল আছরার-২০৭, ইমাম যাইনুল আবিদীন-২) পারস্য সম্রাটের মেয়েদের জন্য মজলিসে শুরা (পরামর্শ মজলিস) ডাকানো হলো। অনেক আলোচনা হলো। এক পর্যায়ে আসাদুল্লাহিল গালিব, ইমামুল আউওয়াল মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম তিনি বললেন, ইয়া আমীরাল মু’মিনীন! তারা শ্রেষ্ঠ খান্দানের মেয়ে। তাদের সাথে সাধারণ বন্দিদের মতো আচরণ করা ঠিক হবে না। কাজেই তাদের জন্য একটা মুক্তিপণ ধার্য করা হোক। আর আমিই সেই মুক্তিপণ বাইতুল মালে জমা দিবো ইনশাআল্লাহ। তারপর তাদেরকে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার দিকে আহবান করা হবে। যদি সম্মানিত দ্বীন ইসলাম গ্রহণ করে তাহলে পবিত্র মদীনা শরীফ উনার তিনজন যুবককে স্বামী হিসেবে গ্রহণ করার ইখতিয়ার দেয়া হোক। তাতে যদি সম্মত না হয়, তাহলে অন্য কোনো স্থানে স্বাধীনভাবে বসবাস করতে পারবে। এই প্রস্তাব সকলেরই মনঃপুত হলো। সবাই এই প্রস্তাব মেনে নিলেন। আর পারস্য সম্রাটের মেয়েগণও অত্যন্ত খুশি হলেন। তারা সবাই সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র হাত মুবারকে পবিত্র দ্বীন ইসলাম কবুল করলেন। স্মর্তব্য যে, উনারা পূর্বেই সম্মানিত দ্বীন ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন। পরবর্তীতে নতুন করে তওবা করলেন উনার হাত মুবারকে। অতঃপর বড় মেয়ে তিনি স্বামী হিসেবে গ্রহণ করলেন খোদ সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার ছেলে হযরত আব্দুল্লাহ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাকে। মধ্যমা মেয়ে তিনি পছন্দ করলেন খলীফাতু রসূলিল্লাহ, আফযালুন নাছ বা’দাল আম্বিয়া হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনার ছেলে হযরত মুহম্মদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাকে। আর ছোট্ট মেয়ে হযরত শহরবানু আলাইহাস সালাম তিনি পুলক কম্পিত চিত্তে আঙ্গুলী মুবারক নির্দেশ করলেন, সাইয়্যিদুনা হযরত কাররমাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনার পাশে বসা সম্মানিত জান্নাত উনার যুবকদের সাইয়্যিদ হযরত ইমামুছ ছালিছ মিন আহলি রাইতি রসূলিল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার দিকে। সাথে সাথে বিবাহের কাজ সুসম্পন্ন হলো। আসাদুল্লাহিল গালিব, ইমামুল আউওয়াল মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম তিনি উনাদেরকে মুবারকবাদ জানালেন এবং প্রাণ খুলে দোয়া করলেন। বললেন আরব আ’যমের দুইটি শ্রেষ্ঠ রক্তধারার মহামিলন হওয়ার ফলে আপনাদেরকে মহান আল্লাহ পাক তিনি দুনিয়ার সেরা প্রতিভাবান সন্তান দান করবেন। মহান আল্লাহ পাক উনার অন্তর নিংড়ানো দোয়া কবুল করেছেন। সেই সৌভাগ্যবর্তী মেয়ে উনাদের রেহেম শরীফে তাশরীফ আনেন ইমামুল মুহাক্কিকীন, সুলতানুল আউলিয়া, ইয়াদগারে নবুওওয়াত, আওলাদে রসূল, ইমামুর রা’বি মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ সাইয়্যিদুনা হযরত যাইনুল আবিদীন আলাইহিস সালাম, ইমাম কাসিম ইবনে মুহম্মদ ইবনে আবু বকর ছিদ্দীক্ব আলাইহিস সালাম এবং ইলমে ফিক্বাহ উনার যুগ শ্রেষ্ঠ ইমাম হযরত সালিম ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে উমর আলাইহিস সালাম।
http://al-ihsan.net/FullText.aspx?subid=1&textid=12112

0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন