মুকাদ্দামাহ
হাদীছ শরীফ-এ এসেছে, “হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমা হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি কুরআন শরীফ-এর মনগড়া বা স্বীয় রায় অনুযায়ী তাফসীর বা ব্যাখ্যা করবে সে যেন তার স্থান দোযখে নির্ধারণ করে নেয়।” (তিরমিযী শরীফ, মিশকাত শরীফ)
ইসলামের শুরু থেকে ইহুদী-খ্রিস্টান বা বিধর্মীরা তাদের অনুসারী বাতিল ৭২ ফিরকা ওহাবী, খারিজী, রাফিজী তথা উলামায়ে ‘ছূ’ গংরা কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ-এর মনগড়া তাফসীর বা ব্যাখ্যা করে আসছে। ঐ সমস্ত বদ আক্বীদাযুক্ত, বিভ্রান্তিমূলক ও মনগড়া তাফসীর বা ব্যাখ্যা পরিহার করে নবীদের নবী, রসূলদের রসূল, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মি’রাজ শরীফ-এ মহান আল্লাহ পাক-এর হাক্বীক্বী দীদার, দর্শন ও ছোহবত লাভ করেছেন সে সম্পর্কে বিশুদ্ধ, গ্রহণযোগ্য, আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের ছহীহ আক্বীদাযুক্ত তাফসীরসমূহ থেকে দলীল-আদিল্লা উপস্থাপন করা হলো।
তাফসীরে হাসান বছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি
ইমামুশ শরীয়ত ওয়াত ত্বরীকত, রঈসুল মুফাস্সিরীন, সাইয়্যিদুত্ ত্বয়ীফাহ হযরত হাসান বছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর বিশ্ববিখ্যাত, নির্ভরযোগ্য ও প্রসিদ্ধ তাফসীর গ্রন্থ ‘তাফসীরে হাসান বছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি’ ৫ম জিল্দ ৮৪, ৮৫ পৃষ্ঠায়, তাফসীর নম্বর ১৫৬৫ ও ১৫৭১-এর মধ্যে উল্লেখ রয়েছে যে, “ছহিবে মি’রাজ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মহান রব আল্লাহ পাককে হাক্বীকিভাবে দেখেছেন দর্শন লাভ করেছেন।” (সুবহানাল্লাহ)
কুরআন শরীফ-এর সূরা নজম-এর ৮ নম্বর আয়াত শরীফ-এ আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন, “অতঃপর (হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উনি নিকটবর্তী হলেন এবং ঝুকে গেলেন।”
উক্ত আয়াত শরীফ-এর তাফসীরে অনেক মুফাস্সীরীনে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিগণ বলেছেন, “ছহিবে মি’রাজ, নূরে মুজাস্সাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার রব আল্লাহ পাক-এর নিকটবর্তী হলেন” অর্থাৎ আল্লাহ পাক-এর মুবারক দীদার বা সাক্ষাৎ লাভ করলেন।
আবার কোন কোন মুফাসসীরীনে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিমগণ বলেছেন, “অতঃপর মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর নিকটবর্তী হলেন অর্থাৎ স্বয়ং আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে দীদার বা দর্শন দেয়ার জন্য নিকটবর্তী হলেন।” (সুবহানাল্লাহ)
আল্লাহ পাক সূরা নজম ১১ নম্বর আয়াত শরীফ-এ ইরশাদ করেন, “উনি (আল্লাহ পাক-এর হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যা দেখেছেন উনার পবিত্র অন্তকরণও তা অস্বীকার করে নাই।”
উক্ত আয়াত শরীফ-এর ব্যাখ্যায় ‘তাফসীরে হাসান বছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি’-এর ১৫৭১ নম্বর তাফসীরে উল্লেখ রয়েছে, সাইয়্যিদুত্ ত্বয়ীফাহ, ইমামুশ্ শরীয়ত ওয়াত ত্বরীকত হযরত হাসান বছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, “সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম স্বীয় চক্ষু মুবারক দিয়ে আল্লাহ পাককে হাক্বীক্বীভাবে দেখেছেন।” (সুবহানাল্লাহ) (তাফসীরে বাগবী ৮ম জিল্দ ১০০ পৃষ্ঠা, ইবনে কাছীর: ৭ম জিল্দ ৪২৪ পৃষ্ঠা)
কাজেই উপরোক্ত বিখ্যাত ও নির্ভরযোগ্য ‘তাফসীরে হাসান বছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি’-এ উল্লিখিত হযরত ইমাম মুজতাহিদগণের তাফসীর ও ক্বওল শরীফ-এর মাধ্যমে সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হলো যে, মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব নবীদের নবী, রসূলদের রসূল হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে হাক্বীকিভাবেই দীদার, দর্শন ও ছোহবত দান করেছেন।http://al-ihsan.net/FullText.aspx?subid=2&textid=22
হাদীছ শরীফ-এ এসেছে, “হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমা হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি কুরআন শরীফ-এর মনগড়া বা স্বীয় রায় অনুযায়ী তাফসীর বা ব্যাখ্যা করবে সে যেন তার স্থান দোযখে নির্ধারণ করে নেয়।” (তিরমিযী শরীফ, মিশকাত শরীফ)
ইসলামের শুরু থেকে ইহুদী-খ্রিস্টান বা বিধর্মীরা তাদের অনুসারী বাতিল ৭২ ফিরকা ওহাবী, খারিজী, রাফিজী তথা উলামায়ে ‘ছূ’ গংরা কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ-এর মনগড়া তাফসীর বা ব্যাখ্যা করে আসছে। ঐ সমস্ত বদ আক্বীদাযুক্ত, বিভ্রান্তিমূলক ও মনগড়া তাফসীর বা ব্যাখ্যা পরিহার করে নবীদের নবী, রসূলদের রসূল, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মি’রাজ শরীফ-এ মহান আল্লাহ পাক-এর হাক্বীক্বী দীদার, দর্শন ও ছোহবত লাভ করেছেন সে সম্পর্কে বিশুদ্ধ, গ্রহণযোগ্য, আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের ছহীহ আক্বীদাযুক্ত তাফসীরসমূহ থেকে দলীল-আদিল্লা উপস্থাপন করা হলো।
তাফসীরে হাসান বছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি
ইমামুশ শরীয়ত ওয়াত ত্বরীকত, রঈসুল মুফাস্সিরীন, সাইয়্যিদুত্ ত্বয়ীফাহ হযরত হাসান বছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর বিশ্ববিখ্যাত, নির্ভরযোগ্য ও প্রসিদ্ধ তাফসীর গ্রন্থ ‘তাফসীরে হাসান বছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি’ ৫ম জিল্দ ৮৪, ৮৫ পৃষ্ঠায়, তাফসীর নম্বর ১৫৬৫ ও ১৫৭১-এর মধ্যে উল্লেখ রয়েছে যে, “ছহিবে মি’রাজ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মহান রব আল্লাহ পাককে হাক্বীকিভাবে দেখেছেন দর্শন লাভ করেছেন।” (সুবহানাল্লাহ)
কুরআন শরীফ-এর সূরা নজম-এর ৮ নম্বর আয়াত শরীফ-এ আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন, “অতঃপর (হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উনি নিকটবর্তী হলেন এবং ঝুকে গেলেন।”
উক্ত আয়াত শরীফ-এর তাফসীরে অনেক মুফাস্সীরীনে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিগণ বলেছেন, “ছহিবে মি’রাজ, নূরে মুজাস্সাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার রব আল্লাহ পাক-এর নিকটবর্তী হলেন” অর্থাৎ আল্লাহ পাক-এর মুবারক দীদার বা সাক্ষাৎ লাভ করলেন।
আবার কোন কোন মুফাসসীরীনে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিমগণ বলেছেন, “অতঃপর মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর নিকটবর্তী হলেন অর্থাৎ স্বয়ং আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে দীদার বা দর্শন দেয়ার জন্য নিকটবর্তী হলেন।” (সুবহানাল্লাহ)
আল্লাহ পাক সূরা নজম ১১ নম্বর আয়াত শরীফ-এ ইরশাদ করেন, “উনি (আল্লাহ পাক-এর হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যা দেখেছেন উনার পবিত্র অন্তকরণও তা অস্বীকার করে নাই।”
উক্ত আয়াত শরীফ-এর ব্যাখ্যায় ‘তাফসীরে হাসান বছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি’-এর ১৫৭১ নম্বর তাফসীরে উল্লেখ রয়েছে, সাইয়্যিদুত্ ত্বয়ীফাহ, ইমামুশ্ শরীয়ত ওয়াত ত্বরীকত হযরত হাসান বছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, “সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম স্বীয় চক্ষু মুবারক দিয়ে আল্লাহ পাককে হাক্বীক্বীভাবে দেখেছেন।” (সুবহানাল্লাহ) (তাফসীরে বাগবী ৮ম জিল্দ ১০০ পৃষ্ঠা, ইবনে কাছীর: ৭ম জিল্দ ৪২৪ পৃষ্ঠা)
কাজেই উপরোক্ত বিখ্যাত ও নির্ভরযোগ্য ‘তাফসীরে হাসান বছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি’-এ উল্লিখিত হযরত ইমাম মুজতাহিদগণের তাফসীর ও ক্বওল শরীফ-এর মাধ্যমে সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হলো যে, মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব নবীদের নবী, রসূলদের রসূল হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে হাক্বীকিভাবেই দীদার, দর্শন ও ছোহবত দান করেছেন।http://al-ihsan.net/FullText.aspx?subid=2&textid=22
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন