নূরে
মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি
ইরশাদ মুবারক করেন, ‘আমার
পবিত্র আহলে বাইত শরীফ
আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে মুহব্বত
করো আমার সন্তুষ্টি মুবারক
লাভ করার জন্য।’
আজ সুমহান ও বরকতময়
২৫শে মুহররমুল হারাম শরীফ- ইমামুর
রবি’ মিন আহলি বাইতি
রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম যাইনুল
আবিদীন আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র
বিছালী শান মুবারক প্রকাশ
দিবস। এই
মহাসম্মানিত দিবস উপলক্ষে সকলের
জন্য দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে-
উনার পবিত্র সাওয়ানেহ উমরী
মুবারক আলোচনা করার লক্ষ্যে
মাহফিল করা এবং পবিত্র
মীলাদ শরীফ, পবিত্র ক্বিয়াম
শরীফ করা। আর
সরকারের জন্যও ফরয হচ্ছে-
মাহফিলসমূহের সার্বিক আনজাম দেয়ার সাথে
সাথে উনার পবিত্র জীবনী
মুবারক শিশুশ্রেণী থেকে শুরু করে
সর্বোচ্চ শ্রেণী পর্যন্ত সমস্ত
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সিলেবাসের অন্তর্ভুক্ত করা এবং উক্ত
দিবসে সরকারি ছুটি ঘোষণা
করা।
যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইউস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, ক্বইয়ূমুয যামান, জাব্বারিউল আউওয়াল, ক্বউইয়্যূল আউওয়াল, সুলত্বানুন নাছীর, হাবীবুল্লাহ, জামিউল আলক্বাব, আওলাদে রসূল, মাওলানা সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি বলেন- ইয়াদগারে নুবওওয়াত, পেশওয়ায়ে দ্বীন সাইয়্যিদুল আওলিয়া, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুর রাবি’ মিন আহলে বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ৪৭ হিজরী মোতাবেক, ১ খামীস ৩৫ শামসী সন, ৬৬৭ ঈসায়ী সন, পবিত্র ৫ই শা’বান শরীফ, ইয়াওমুল খামীস বা বৃহস্পতিবার, দুনিয়াতে মুবারক তাশরীফ গ্রহণ করেন। তিনি আসমান ও যমীন উভয়ের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ স্থান পবিত্র মদীনা শরীফ শহরে পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন; তাই উনাকে মাদানী বলা হয়। কারবালার হৃদয় বিদারক ঘটনা সংঘটিত হওয়ার দিন তিনি প্রায় ১৪ বছর বয়স মুবারকের অধিকারী ছিলেন। সাইয়্যিদুশ শুহাদা, সাইয়্যিদু আহলিল জান্নাহ হযরত ইমামুছ ছালিছ মিন আহলে বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র শাহাদতী শান মুবারক প্রকাশ করার পর উনার সুযোগ্য আওলাদ সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুর রাবি’ মিন আহলে বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সম্মানিত ইমাম পদে সমাসীন হন। সুবহানাল্লাহ! মুজাদ্দিদে আ’যম, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, একবার হযরত মুহম্মদ হানাফিয়া ইবনে কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম তিনি উনার সম্মানিত ইমামত উনার ব্যাপারে মুসলিম উম্মতকে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেয়ার লক্ষ্যে সুলত্বানুল আউলিয়া, আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম যাইনুল আবিদীন আলাইহিস সালাম উনার নিকট আরজ করলে সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুর রবি’ আলাইহিস সালাম তিনি বললেন- ইহা উত্তম হবে যে, আমরা উভয়ে লোকজনসহ পবিত্র কা’বা শরীফ প্রাঙ্গণে হাজরে আসওয়াদ উনার নিকট যাই। উনাকে জিজ্ঞাসা করি- বর্তমান সময়ের ইমাম কে? তাতে প্রকৃত সত্য সকলের নিকট প্রকাশিত হবে। অতঃপর উনারা হাজরে আসওয়াদ উনার নিকট গেলেন। হাজরে আসওয়াদ উনাকে (কালো পাথর) জিজ্ঞাসা করলে উনার জবান খুলে গেল। হাজরে আসওয়াদ (কালো পাথর) স্পষ্টভাবে বলে দিলেন, “সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম হুসাইন ইবনে কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনার পরে ‘সম্মানিত ইমামত’ সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম যাইনুল আবিদীন আলাইহিস সালাম উনার নিকট পৌঁছেছে। তিনিই বর্তমান সময়ের ‘ইমাম’। সুবহানাল্লাহ! হযরত মুহম্মদ হানাফিয়া ইবনে কাররামাল্লাহু আলাইহিস সালাম তিনিসহ সকলেই সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম যাইনুল আবিদীন আলাইহিস সালাম উনার এই কারামত দেখে অন্তর থেকে উনাকে “ইমামুর রবি” হিসেবে গ্রহণ করলেন এবং উনার মুহব্বতে নিজদের উৎসর্গ করলেন। সুবহানাল্লাহ! মুজাদ্দিদে আ’যম, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, তিরিমিযী শরীফ ও মিশকাত শরীফ উনাদের মধ্যে বর্ণিত রয়েছে, রঈসুল মুফাসসিরীন হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “মহান আল্লাহ পাক উনাকে তোমরা মুহব্বত করো। কেননা, তিনি তোমাদের প্রতি খাওয়া-পরাসহ সর্বপ্রকার নিয়ামতের মাধ্যমে অনুগ্রহ করে থাকেন। আর আমাকে তোমরা মুহব্বত করো মহান আল্লাহ পাক উনার মুহব্বত পাওয়ার জন্য। আর আমার হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম এবং আমার হযরত আওলাদ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে মুহব্বত করো আমার মুহব্বত পাওয়ার জন্য।” সুবহানাল্লাহ! মুজাদ্দিদে আ’যম, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, তাই আমরা দেখতে পাই- হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের থেকে শুরু করে পরবর্তী উম্মত উনারা সকলেই হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম ও হযরত আওলাদে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের মুহব্বত, সম্মান, খিদমত ও অনুসরণ মুবারকের নজিরবিহীন দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন। সুবহানাল্লাহ! মুজাদ্দিদে আ’যম, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, উপরোক্ত আলোচনা দ্বারা সুস্পষ্টভাবে বুঝা গেলো যে, খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার এবং যিনি সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের মা’রিফাত-মুহব্বত, সন্তুষ্টি-রেযামন্দি মুবারক পেতে হলে, হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম ও হযরত আওলাদে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদেরকে মুহব্বত করা প্রত্যেক মুসলমান পুরুষ-মহিলা সকলের জন্য ফরয। সাইয়্যিদুনা ইমামুর রাবি’ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হচ্ছেন সেই হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম ও হযরত আওলাদে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের চতুর্থ ইমাম। সুবহানাল্লাহ! অর্থাৎ ইমামুর রাবি’ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। সুবহানাল্লাহ! মুজাদ্দিদে আ’যম, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, ইমামুল মুত্তাক্বীন, সুলত্বানুল আউলিয়া, পেশওয়ায়ে দ্বীন, আওলাদে রসূল, হযরত ইমামুর রবি’ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ৯৪ হিজরী ২৫ মুহররমুল হারাম শরীফ ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ পবিত্র শাহাদাতী শান মুবারক প্রকাশ করেন ৪৭ বছর বয়স মুবারকে। মুনাফিক ও কাফিরেরা উনাকে বিষ পান করিয়েছিল। নাউযুবিল্লাহ! উনার পবিত্র রওযা শরীফ পবিত্র জান্নাতুল বাক্বী শরীফে অবস্থিত। মুজাদ্দিদে আ’যম, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, আওলাদে রসূল হযরত ইমামুর রবি’ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র জীবনী মুবারক জানাও প্রত্যেক মুসলমান পুরুষ-মহিলা, ছেলে-মেয়ে সবার জন্য ফরযে আইন। কেননা পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, ‘ইলম হচ্ছে আমল উনার ইমাম।’ অর্থাৎ উনাদের পবিত্র জীবনী মুবারক জানা থাকলেই মূলত উনাদেরকে পরিপূর্ণ মুহব্বত, তা’যীম-তাকরীম ও অনুসরণ করা সম্ভব। কাজেই পৃথিবীব্যাপী সমস্ত মাদরাসা, স্কুল-কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়সহ সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সিলেবাসে উনাদের জীবনী মুবারক অন্তর্ভুক্ত করাও ফরযে আইন। কারণ যে বিষয়টি সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার মধ্যে ফরজ সে বিষয় সম্পর্কে ইলম অর্জন করাও ফরয। মুজাদ্দিদে আ’যম, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মূলকথা হলো- আজ সুমহান ও বরকতময় ২৫শে মুহররমুল হারাম শরীফ- ইমামুর রবি’ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম যাইনুল আবিদীন আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিসব। এই মহাসম্মানিত দিবস উপলক্ষে সকলের জন্য দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে- উনার পবিত্র সাওয়ানেহ উমরী মুবারক আলোচনা করার লক্ষ্যে মাহফিল করা এবং পবিত্র মীলাদ শরীফ, পবিত্র ক্বিয়াম শরীফ করা। আর সরকারের জন্যও ফরয হচ্ছে- মাহফিলসমূহের সার্বিক আনজাম দেয়ার সাথে সাথে উনার পবিত্র জীবনী মুবারক শিশুশ্রেণী থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ শ্রেণী পর্যন্ত সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সিলেবাসের অন্তর্ভুক্ত করা এবং উক্ত দিবসে সরকারি ছুটি ঘোষণা করা।
http://al-ihsan.net/qwoulshareef/Default.aspx?language=BN&vt=full&init_id=6556

0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন