যুগ যুগ ধরে হক্বের বিরোধিতা চলে আসছে, আর থাকাটাই স্বাভাবিক। কারণ হক্ব-নাহক্ব পার্থক্য হয় না যতক্ষণ পর্যন্ত বিরোধিতা না হয়। আর এই কাজটা শুরু থেকেই চলে আসছে শয়তানি চরিত্রের একটি দল থেকে। যেখানে নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সেখানে আবু জাহিলের দল। যেখানে হযরত মুসা আলাইহিস সালাম সেখানেই ফেরাউনের দল। হযরত ইব্রাহীম আলাইহিস সালাম-এর বিরোধিতাকারী নমরুদ। যাদের পরিণাম হয়েছিল দুনিয়াতে লাঞ্ছনা পরকালেও কঠিন আযাব।এক শ্রেণীর লোক একটি কথা বলে পার পেতে চায় যে, বোবার কোন শত্রু নাই। এ ধরনের কথা বলে নাজাত পাওয়া যাবে না। সত্য বলা প্রত্যেক মুসলমান-এর দায়িত্ব ও কর্তব্য। আল্লাহ পাক বলেন, “আমার বান্দাদের মধ্যে একদল লোক অবশ্যই থাকতে হবে যারা হক্বের দিকে আহবান করবে এবং খারাপ কাজ থেকে ফিরিয়ে রাখবে।” খোদাদ্রোহী কাজ হতে দেখলে যদি কেউ বাধা না দিয়ে চুপ থাকে, প্রতিবাদ না করে তাহলে বুঝতে হবে সে বোবা শয়তান। নাহক্বের বিরুদ্ধাচরণের ধারাবাহিকতায় ইমামে আ’যম, ইমাম হযরত আবু হানিফা রহমতুল্লাহি আলাইহিকে জেল, জুলুম, অত্যাচার করেই ক্ষ্যান্ত হয় নাই। উনার মুবারক লাশ থেকে কথা বলায়ে ছেড়েছে।
হযরত মুজাদ্দিদে আলফে সানী রহমতুল্লাহি আলাইহি-এরও বিরোধিতা করা হয়েছে। উনাকে কাফির ফতওয়া দেয়া হয়েছে। আর এই কাজটি করেছে উলামায়ে ‘ছূ’-এর দলেরা। বাংলাদেশে হযরত শাহজালাল ইয়ামানী রহমতুল্লাহি আলাইহিকে গৌর গোবিন্দের সাথে যুদ্ধ করতে হয়েছে।
বর্তমান যামানার হক্বের একমাত্র প্রতিষ্ঠাতা ও হক্ব জিন্দাকারী, বাতিলের আঁতে কুঠার আঘাতকারী, যিনি ইসলাম জিন্দাকারী, আল্লাহ পাক-এর লক্ষ্যস্থল খালিছ মাকবুল, মাদানী, নূরে নূরান্বিত, যামানার ইমাম, ইমামে আ’যম, মুহইস সুন্নাহ, মুজাদ্দিদে মিল্লাত, আওলাদে রসূল মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী। যিনি ‘মাসিক আল বাইয়্যিনাত’ ও ‘দৈনিক আল ইহসান্তু এবং ‘সরাসরি’ পবিত্র বয়ান-এর মাধ্যমে সঠিক নুবুওওয়াতী ইসলামের কথা বলে থাকেন; বিধায় উনার বিরুদ্ধে এতসব ষড়যন্ত্র।
বলাবাহুল্য, বহু আগে থেকেই বলা হয়েছে, মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর মুবারক জিন্দিগীতে কোন আমল শরীয়তের খিলাফ প্রমাণ দিতে পারলে পুরস্কৃত করা হবে। অদ্যাবধি সেই তাকত তাদের হয়নি। কোন দিন হবেও না। কেননা, মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী ইলহাম-ইলকা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। (সুবহানাল্লাহ)
কেন তাদের এই বিরোধিতা, এর সঠিক জবাব তাদের কাছে হয়তোবা নেই। নববী ধারায় যাঁর জিন্দিগী, উনার দ্বারা পুরাপুরি সুন্নত জিন্দা হবে এটাই তো মূল কথা। কিন্তু বিরোধী যারা এরা তো নিজকে জাহান্নামের লাকড়ী (ইন্ধন) বানাচ্ছে। সত্য দ্বীন প্রচারে যারা আজকে বাধ সাধে, যারা মীলাদ শরীফ-এর মাহফিলে বাধা দেয়, কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ-এর দলীলভিত্তিক মুখপত্র মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ পাঠের মজলিসে বাধা দেয়। অথচ এরা আজকে এই বাইয়্যিনাত শরীফ থেকে দলীল দিয়ে ফতওয়া দিয়ে থাকে। সত্যকে সত্য জানার পরও যারা বিরোধিতা করে এরা কি ঐ শ্রেণীর লোক, যাদের সম্পর্কে কালামে পাক-এ ইরশাদ হয়েছে যে, “তাদের অন্তর আছে, বুঝেনা; চক্ষু আছে, দেখে না; কান আছে, শুনেনা; এরা চার পায়া জন্তুর চেয়ে অধম। এরা গাফিল, জাহান্নামী।” তাহলে আমরা বুঝতে পারি এদের অন্তরে মোহর মেরে দেয়া হয়েছে, কাফির আবু জাহিলের অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। (নাঊযুবিল্লাহ)
তাদের উদ্দেশ্যে উপদেশ- এখনো সময় আছে দোজখের রাস্তা থেকে বাঁচতে হলে যিনি এই যামানার মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, গাউছুল আ’যম, আওলাদে রসূল রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী, উনার মুবারক ক্বদম পাক-এ আসার আহ্বান করা হচ্ছে। চিন্তা করার সুযোগ দেয়া হলো। কার সাথী হবে? তাগুতীদের নাকি গাউছুল আ’যম-এর।
http://al-ihsan.net/FullText.aspx?subid=2&textid=229
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন