‘মুজাদ্দিদ’ আরবী শব্দ। উনার অর্থ সংস্কারক। মানুষ যখন সম্মানিত দ্বীন ইসলাম হতে বিমুখ হয়ে স্বেচ্ছাচারিতা আরম্ভ করে, জাতীয় জীবনে আদর্শ ও নৈতিকতা যখন লোপ পেয়ে যায়, তখন তাদের হিদায়েত করার জন্য তথা গুমরাহী থেকে ফিরিয়ে সত্য ও আদর্শের পথে পরিচালিত করার জন্য কোনোও মহাপুরুষ উনার আবির্ভাব হয়। সম্মানিত নুবুওওয়াত মুবারক উনার ধারা বন্ধ হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত যুগে যুগে হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের আবির্ভাব হয়েছে। উনারা পথহারা মানবজাতিকে সত্য পথের সন্ধান দিয়েছেন, সম্মানিত নুবুওওয়াত মুবারক উনার ধারা যখন বন্ধ হয়ে গেল, তখন হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের যাবতীয় গুণাবলীর অধিকারী নায়িবে নবীগণ উনাদের উপর সেই মহান দায়িত্ব ন্যাস্ত হলো।
সত্য দ্বীন ইসলাম উনার অনুসারী আলিম-উলামা, কামিল-মুকাম্মিল, পীর-মাশায়িখ, ওলী-আউলিয়া উনারা সকলেই নবীকুল শ্রেষ্ঠ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নায়িব হিসেবে মানবজাতির হিদায়েত করেন। কিন্তু ‘মুজাদ্দিদ’ নিয়ামত মুবারক অন্য সমস্ত নিয়ামত থেকে সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র ও শ্রেষ্ঠ। সম্মানিত দ্বীন উনার সংস্কার সাধন মূলত হযরত আম্বিয়া আলাইহিমুস সালাম উনাদের কাজ। এই কাজ কেবলমাত্র তিনিই করতে পারেন যিনি আখলাকে নববী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার জীবন্ত প্রতীক।
যেকোনো ব্যক্তি নিজের চেষ্টা ও সাধনা বলে বড় আলিম ও কামিল হতে পারেন, আবার দলীয় কর্মীদের সমর্থনে কোনো বড় মনসব (উচ্চপদ) দখল করতে পারেন। কিন্তু নুবুওওয়াত মুবারক যেমন স্বীয় চেষ্টা, সাধনা বা দলীয় সমর্থন দ্বারা লাভ করা যায় না, তেমনি ‘মুজাদ্দিদ’ নিয়ামত মুবারকও লাভ করা যায় না। সম্মানিত নুবুওওয়াত মুবারক যেমন মহান আল্লাহ পাক উনার একটি বিশেষ নিয়ামত, তদ্রƒপ মুজাদ্দিদও উনার আর একটি বিশেষ নিয়ামত। মহান আল্লাহ পাক তিনি যাকে ইচ্ছা করেন শুধু তাকেই এই নিয়ামত মুবারক উনার অধিকারী করেন।
কাজেই সাধারণ হাদী আর মুজাদ্দিদ এক কথা নয়। উভয়ের মধ্যে আকাশ-পাতাল ব্যবধান।
মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে হযরত আম্বিয়া আলাইহিমুস সালাম উনাদের আবির্ভাব সম্পর্কে বিভিন্ন স্থানে ‘বে’ছাত’ শব্দ মুবারক প্রয়োগ করেছেন। উনার অর্থ প্রেরণ। ইসলামী পরিভাষা অনুযায়ী ‘বে’ছাত’ কথাটি দেখলেই বুঝতে হবে যে, কোনোও হযরত নবী আলাইহিস সালাম উনার আবির্ভাব সম্পর্কে কিছু বলা হয়েছে। এই শব্দ মুবারকটি সম্মানিত নুবুওওয়াত উনার জন্যই খাছ। কিন্তু পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ‘মুজাদ্দিদ’ নিয়ামত মুবারকের ক্ষেত্রে ‘বে’ছাত’ শব্দ মুবারক প্রয়োগ করা হয়েছে। যেমন- নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন,
সত্য দ্বীন ইসলাম উনার অনুসারী আলিম-উলামা, কামিল-মুকাম্মিল, পীর-মাশায়িখ, ওলী-আউলিয়া উনারা সকলেই নবীকুল শ্রেষ্ঠ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নায়িব হিসেবে মানবজাতির হিদায়েত করেন। কিন্তু ‘মুজাদ্দিদ’ নিয়ামত মুবারক অন্য সমস্ত নিয়ামত থেকে সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র ও শ্রেষ্ঠ। সম্মানিত দ্বীন উনার সংস্কার সাধন মূলত হযরত আম্বিয়া আলাইহিমুস সালাম উনাদের কাজ। এই কাজ কেবলমাত্র তিনিই করতে পারেন যিনি আখলাকে নববী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার জীবন্ত প্রতীক।
যেকোনো ব্যক্তি নিজের চেষ্টা ও সাধনা বলে বড় আলিম ও কামিল হতে পারেন, আবার দলীয় কর্মীদের সমর্থনে কোনো বড় মনসব (উচ্চপদ) দখল করতে পারেন। কিন্তু নুবুওওয়াত মুবারক যেমন স্বীয় চেষ্টা, সাধনা বা দলীয় সমর্থন দ্বারা লাভ করা যায় না, তেমনি ‘মুজাদ্দিদ’ নিয়ামত মুবারকও লাভ করা যায় না। সম্মানিত নুবুওওয়াত মুবারক যেমন মহান আল্লাহ পাক উনার একটি বিশেষ নিয়ামত, তদ্রƒপ মুজাদ্দিদও উনার আর একটি বিশেষ নিয়ামত। মহান আল্লাহ পাক তিনি যাকে ইচ্ছা করেন শুধু তাকেই এই নিয়ামত মুবারক উনার অধিকারী করেন।
কাজেই সাধারণ হাদী আর মুজাদ্দিদ এক কথা নয়। উভয়ের মধ্যে আকাশ-পাতাল ব্যবধান।
মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে হযরত আম্বিয়া আলাইহিমুস সালাম উনাদের আবির্ভাব সম্পর্কে বিভিন্ন স্থানে ‘বে’ছাত’ শব্দ মুবারক প্রয়োগ করেছেন। উনার অর্থ প্রেরণ। ইসলামী পরিভাষা অনুযায়ী ‘বে’ছাত’ কথাটি দেখলেই বুঝতে হবে যে, কোনোও হযরত নবী আলাইহিস সালাম উনার আবির্ভাব সম্পর্কে কিছু বলা হয়েছে। এই শব্দ মুবারকটি সম্মানিত নুবুওওয়াত উনার জন্যই খাছ। কিন্তু পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ‘মুজাদ্দিদ’ নিয়ামত মুবারকের ক্ষেত্রে ‘বে’ছাত’ শব্দ মুবারক প্রয়োগ করা হয়েছে। যেমন- নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন,
ان الله عزوجل يبعث لهذه الامة على رأس كلّ مائة سنة من يجدد لها دينها
অর্থ: “নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি এই উম্মতের জন্য প্রত্যেক শতাব্দীর শুরুতে এমন একজন মহাপুরুষ উনাকে প্রেরণ করেন, যিনি উনার যুগে দ্বীন উনার সংস্কার সাধন করেন।” (আবু দাউদ শরীফ)
অতএব, প্রতিভাত হলো যে, সম্মানিত নুবুওওয়াত ও সম্মানিত মুজাদ্দিদিয়াত এই উভয় নিয়ামত মুবারকের মনোনয়ন একমাত্র মহান আল্লাহ পাক উনার তরফ থেকেই হয়ে থাকে। পার্থক্য শুধু এতটুকু যে, সম্মানিত নুবুওওয়াত হলো মূলবৃক্ষ আর মুজাদ্দিয়াত হলো উনার প্রতিবিম্ব।
হযরত নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের প্রতি ওহী মুবারক ধ্রুবসত্য আর হযরত মুজাদ্দিদ আলাইহিমুস সালাম উনাদের প্রতি ইলহাম উনার নিকটবর্তী সত্য। হযরত মুজাদ্দিদ আলাইহিমুস সালাম উনাদের ইলহাম যদি হযরত নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের ওহী মুবারক উনার পরিপন্থী না হয়, তাহলে ইলহামও ধ্রুব্যসত্য। সুবহানাল্লাহ!
অর্থ: “নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি এই উম্মতের জন্য প্রত্যেক শতাব্দীর শুরুতে এমন একজন মহাপুরুষ উনাকে প্রেরণ করেন, যিনি উনার যুগে দ্বীন উনার সংস্কার সাধন করেন।” (আবু দাউদ শরীফ)
অতএব, প্রতিভাত হলো যে, সম্মানিত নুবুওওয়াত ও সম্মানিত মুজাদ্দিদিয়াত এই উভয় নিয়ামত মুবারকের মনোনয়ন একমাত্র মহান আল্লাহ পাক উনার তরফ থেকেই হয়ে থাকে। পার্থক্য শুধু এতটুকু যে, সম্মানিত নুবুওওয়াত হলো মূলবৃক্ষ আর মুজাদ্দিয়াত হলো উনার প্রতিবিম্ব।
হযরত নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের প্রতি ওহী মুবারক ধ্রুবসত্য আর হযরত মুজাদ্দিদ আলাইহিমুস সালাম উনাদের প্রতি ইলহাম উনার নিকটবর্তী সত্য। হযরত মুজাদ্দিদ আলাইহিমুস সালাম উনাদের ইলহাম যদি হযরত নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের ওহী মুবারক উনার পরিপন্থী না হয়, তাহলে ইলহামও ধ্রুব্যসত্য। সুবহানাল্লাহ!

0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন