পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত আছে- ছাহাবী হযরত জাবির রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে আমি দেখেছি যে- তিনি বিদায় হজ্জে আরাফাত উনার দিন উনার ‘কাছওয়া’ নামক উটনীর উপর সাওয়ার অবস্থায় খুতবাহ দান করতেছেন। আমি শ্রবণ করেছি যে, তিনি খুতবায় বলতেছেন: হে লোকসকল! আমি তোমাদের মাঝে এমন নিয়ামত রেখে যাচ্ছি, তোমরা যদি তা মজবুতভাবে আঁকড়ে ধরে রাখ, তবে কখনোই গুমরাহ হবে না। তাহলো মহান আল্লাহ পাক উনার পবিত্র কিতাব ও আমার ইতরাৎ অর্থাৎ আমার হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম। (তিরমিযী শরীফ)
অন্য পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত আছে- ছাহাবী হযরত আবূ যর গিফারী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি একদা পবিত্র কা’বা শরীফ উনার দরজা মুবারক ধারণ করে বললেন, আমি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে বলতে শুনেছি- সাবধান! আমার হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা হলেন তোমাদের জন্য হযরত নূহ আলাইহিস সালাম উনার নৌকার ন্যায়। যে তাতে আরোহণ করবে সে রক্ষা পাবে। আর যে তা হতে ফিরে থাকবে সে ধ্বংস হবে। (মুসনাদ আহমাদ বিন হাম্বল)
মূলত, হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে মুহব্বত ও ইত্তিবা করা নাজাতের পূর্বশর্ত। আর উনাদের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করা কুফরী। গুমরাহী ও হালাকীরও কারণ। মহান আল্লাহ পাক উনার ও উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পূর্ণ সন্তুষ্টি মুবারক অর্জনে উনাদের মুহব্বত অন্তরে পোষণ করা দায়িত্ব-কর্তব্য।
http://al-ihsan.net/FullText.aspx?subid=1&textid=12296
http://al-ihsan.net/FullText.aspx?subid=1&textid=12296
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন