728x90 AdSpace

  • Latest News

    হযরত মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি যদি পৃথিবীতে তাশরীফ না নিতেন, তাহলে পৃথিবী আজ কুফরী, শিরকী, বিদয়াত-বিশরার অতল গহব্বরে তলিয়ে যেতো

    মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, وقل جاء الحق وزهق الباطل ان الباطل كان زهوقا. অর্থ: “(নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আপনি বলুন সত্য সমাগত, মিথ্যা বিতাড়িত, মিথ্যা বিতাড়িত হওয়ারই যোগ্য।” উক্ত পবিত্র আয়াত শরীফ উনার আলোকে বলা যায় যখন সূর্য উদিত হয় তখন রাতের অন্ধকার দূরীভূত হয়ে সূর্যের আলোয় আলোকিত হয় সারা জাহান। ঠিক তেমনি সারা কায়িনাত যখন ভ্রষ্টতার অন্ধকারে আচ্ছন্ন, যুলুম, অত্যাচার, চুরি ডাকাতি অবিচার-অনাচার, গান-বাদ্য, টিভি-সিনেমা, ডিস, প্রাণীর ছবি, বেপর্দা, বেহায়া, অশ্লীলতা, নগ্নতা, কলহ-দ্বন্দ্ব, হত্যাকা- মানুষের নিত্যনৈমিত্তিক অভ্যাস মানবতা, দয়া, দান ইহসান, মায়া, মমতা, করুণা, ¯েœহ, সোহাগ, আদর ভু-লুণ্ঠিত জালিমের দৌরাত্ম্য সর্বত্র, মাজলুমের ফরিয়াদ শ্রবণের ব্যক্তির অভাব। সংস্কৃতির নামে অপসংস্কৃতির সয়লাব, নামে বেনামে উলামায়ে ‘সূ’ তথা ধর্মব্যবসায়ীদের রমরমা ব্যবসা অলিগলিতে প্রবাহমান ভ- ফকির ও ভ-পীরদের কারিশমা। পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনাকে বাদ দিয়ে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার নামে বেনামে ইহুদী-নাছারা কর্তৃক উদ্ভাবিত গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, রাজতন্ত্র বিশ্বময় ব্যাপী। ছহীহ আক্বীদার বিপরীতে কুফরী আক্বীদায় ভরপুর মানুষের মন-মগজ হতে শুরু করে বই-পুস্তক, পত্রিকাসহ গোটা কায়িনাত সত্য কথা বলার মহান ব্যক্তিত্বের চরম অভাব ঠিক সেই মুহূর্তে তমসাচ্ছন্ন পৃথিবীর তিমির আঁধারকে দূরীভূত করে সূর্যের মতো আলো দিয়ে আলোকিত করে পৃথিবীতে তাশরীফ নিয়েছেন খলীফাতুল্লাহিছ ছফফাহ, মুজাদ্দিদে আ’যম হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম। সুবহানাল্লাহ! তিনি ধরার বুকে তাশরীফ নিয়েছেন সুমহান ১২ই রবীউল আউওয়াল শরীফ-এ। পৃথিবীতে তাশরীফ নিয়ে তিনি জ্বীন-ইনসানকে দিচ্ছেন কল্যাণময় পথের সু-দিক-নিদের্শনা, তাওহীদ-রিসালতের শিক্ষা, সত্য-মিথ্যা পার্থক্য নিরূপণের ক্ষমতা, মানবতার আকাশচুম্বী উৎকর্ষ ও মর্যাদাবোধের চেতনা, যিনি দিচ্ছেন ব্যক্তিত্বের অনুভূতি, সচ্চরিত্র, মাধুর্যতা, সততা, ভারসাম্যপূর্ণ আচরণ ও কর্মপন্থা, উত্তম আদর্শ, মহান আল্লাহ পাক উনার প্রতি পরম আস্থা ও নির্ভরতার যোগ্যতা, মানুষের প্রতি অগাধ ভালোবাসা, মায়া-মমতা, ¯েœহ আদর ও মমত্ববোধ সুদৃঢ় মনোবল ইত্যাদি। সুবহানাল্লাহ! অর্থাৎ তিনি যদি তাশরীফ না নিতেন, তাহলে সারা পৃথিবী নিশ্চিত কুফরী, শিরকী, বিদয়াত, বিশরার অতল গহ্বরে তলিয়ে যেতো। মাওলানা মুহম্মদ নাজমুল হুদা ফরাজী। সাইয়্যিদুল খুলাফা, আবুল খুলাফা, আওলাদে রসূল, আস সাফফাহ মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, অতিসত্ত্বর মুসলমান দেশের সমস্ত মুনাফিকগুলো নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যামানার ক্রান্তিলগ্নে, যামানার শেষের দিকে যখন ফিতনা-ফাসাদ চরমভাবে প্রকাশ পাবে, পুরো দুনিয়া যুলুম-নির্যাতন, অত্যাচার-অবিচার, কুফরী-শিরকী, হারাম-নাজায়িয কার্যকলাপে ভরে যাবে। পৃথিবীর কোথায়ও ইনসাফের লেশমাত্র অবশিষ্ট থাকবে না। এমনি এক কঠিন পরিস্থিতিতে, এমনি এক কঠিন সময়ে আমার হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মধ্য থেকে আমার একজন খাছ আওলাদ, একজন মহান খলীফা তিনি দুনিয়ার যমীনে তাশরীফ নিবেন। উনাকে সাফফাহ বলা হবে। (তারীখুল খুলাফা লিস সুয়ূত্বী ২০৬ পৃষ্ঠা, মুসনাদে আহমদ, বাইহাক্বী, মুছান্নাফে আবী শায়বা, বিদায়া-নিহায়া, মাজমাউয যাওয়াইদ, ছহীহ ইবনে হিব্বান, জামউল জাওয়ামি, জামিউল আহাদীছ ইত্যাদি) তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন, আর যিনি মহান খলীফা (আওলাদে রসূল) হযরত সাফফাহ আলাইহিস সালাম হবেন তিনি খিলাফত প্রতিষ্ঠা করতে যেয়ে (মহান আল্লাহ পাক এবং উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদেও মুবারক সন্তুষ্টি-রেযামন্দি লাভের লক্ষ্যে) অঢেল ধন-সম্পদ বিলিয়ে দিবেন এবং রক্ত প্রবাহিত করবেন। (অর্থাৎ যারা পবিত্র দ্বীন ইসলাম ও মুসলমানদের শত্রু, স্বয়ং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শত্রু তাদেরকে তিনি নিশ্চিহ্ন করে দিয়ে দুনিয়ার যমীনে খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ প্রতিষ্ঠা করবেন।) (তারীখুল খুলাফা ২০৯ পৃষ্ঠা, জামউল জাওয়ামি, জামিউল আহাদীছ, আছ ছওয়াইকুল মুহরিক্বাহ, ইবনে আসাকির, কানযুল উম্মাল, বাইহাক্বী, সুবুলুল হুদা ওয়ার রশাদ ইত্যাদি) আর আমাদের প্রাণের আক্বা, সর্বকালের সর্বযুগের সর্বশ্রেষ্ঠ মুজাদ্দিদ, খলীফাতুল মুসলিমীন, আমীরুল মুমিনীন মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি হচ্ছেন উপরোক্ত হাদীছ শরীফদ্বয়ে বর্ণিত মহান খলীফা, আওলাদে রসূল হযরত সাফফাহ আলাইহিস সালাম। তাইতো তিনি উনার খোদায়ী জবান মুবারকে ঘোষণা দিয়েছেন বিশ্বের সমস্ত কাফির-মুশরিক, ইহুদী-খ্রিস্টানরা এখন নিশ্চিহ্নের দ্বারপ্রান্তে এসে উপস্থিত হয়েছে। তারাতো পুরোপুরিভাবে নিশ্চিনহ হবেই, অতিসত্ত্বর আমাদের দেশ ও বিশ্বের সমস্ত মুসলমান দেশে যত মুনাফিক রয়েছে তারাও নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। সুবহানাল্লাহ! সুতরাং অতিসত্ত্বর সাইয়্যিদুল খুলাফা, আবুল খুলাফা, খলীফাতুল মুসলিমীন, আমীরুল মুমিনীন, আওলাদে রসূল, আস সাফফাহ মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার মুবারক উসীলায় দুনিয়ার যমীনে যাহিরীভাবে খিলাফাত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ প্রতিষ্ঠিত হবেই হবে। ইনশাআল্লাহ! সুতরাং, প্রত্যেকের উচিত উনার মুবারক হাতে আনুগত্যতার বায়াত গ্রহণ করা। মহান আল্লাহ পাক তিনি সবাইকে তাওফীক্ব দান করুন। আমীন।
    http://al-ihsan.net/FullText.aspx?subid=1&textid=12411
    • Blogger Comments
    • Facebook Comments

    0 মন্তব্য(গুলি):

    একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

    Item Reviewed: হযরত মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি যদি পৃথিবীতে তাশরীফ না নিতেন, তাহলে পৃথিবী আজ কুফরী, শিরকী, বিদয়াত-বিশরার অতল গহব্বরে তলিয়ে যেতো Rating: 5 Reviewed By: Baitul Hikmah
    Scroll to Top