পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “প্রত্যেক মুসলমান পুরুষ-মহিলার জন্য ইলম অর্জন করা ফরয।”
বর্তমানে দেখা যায়, দেশে-বিদেশে পুরুষরা বাইয়াত গ্রহণ করে, যিকির-ফিকির করে আমল করে। কিন্তু মেয়েদেরকে কিতাবাদি পড়তে বা যিকির-ফিকির করতে খুব একটা দেখা যায় না। বরং মেয়েদেরকে বেশি বেশি পড়ানো উচিত এবং যিকির করতে দেয়া উচিত। কেননা, একজন মেয়ে হচ্ছেন একজন মা। একজন মায়ের কাছে সন্তান যত তা’লীম নিতে পারে বাবার কাছে ততটুকু পারে না।
অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যায়, বাবা জাহিরীভাবে যিকির-ফিকির, আমল করে তথাকথিত ছূফী হয়েছেন অথচ তার ছেলেমেয়েগুলো হয়েছে আশাদ্দুদ্্ দরজার জাহিল। এর কারণ হচ্ছে, মাকে তা’লীম দেয়া হয়নি। মাকে ছোট অবস্থায় তার পিতা-মাতা তা’লীম না দেয়ায় মা জাহিল বিধায় তার ছেলেমেয়েগুলোও জাহিল হয়েছে। কাজেই মেয়েদেরকে আগে তা’লীমের তাগিদ দিতে হবে। পুরুষ যতটুকু তা’লীম নিবে তার চেয়ে বেশি তা’লীম দিতে হবে মেয়েদেরকে। তাহলেই ছেলেমেয়েরা তা’লীম পাবে, আল্লাহওয়ালা-আল্লাহওয়ালী হতে পারবে।
বর্তমানে যারা ‘মহিলা দিবস’ পালন তথা ‘মহিলা মুক্তির’ শ্লোগান দিয়ে চরম বেপর্দা মহিলাদের বদ আদর্শকে তুলে ধরতে চায় তারা মূলতঃ চরম জাহিলের অন্তর্ভুক্ত। মহিলা মুক্তির নাম দিয়ে অসংখ্য, অগণিত পর্দানশীন মহিলাদের জাহিলিয়াতের যুগের মতো বেপর্দা হয়ে সৌন্দর্য প্রদর্শন করে চলতে শিখাচ্ছে।
উল্লেখ্য যে, মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে বেপর্দা-বেহায়া হয়ে দুনিয়াবী শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ার জন্য পাঠাননি। মহান আল্লাহ পাক তিনি পাঠিয়েছেন আল্লাহওয়ালা ও আল্লাহওয়ালীদের ছোহবত ইখতিয়ারের মাধ্যমে মহান আল্লাহ পাক উনার ও উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের মুবারক মুহব্বত-মা’রিফত হাছিল করার জন্য।
সারা জাহানের কুল-মুসলিমাদের অত্যন্ত সুনছীব যে, তাদের জন্য রয়েছে বর্তমান যামানার মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, হাবীবুল্লাহ, রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার সম্মানিতা আহলিয়া সাইয়্যিদাতুন নিসা, উম্মাহাতুল মু’মিনীন, হাবীবাতুল্লাহ হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার মুবারক ছোহবত এবং নূরানী তা’লীম। বেপর্দা, পথহারা, বেদিশা, বেহায়া, বিভ্রান্ত মহিলারা আজ হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার মুবারক ছোহবত ও নূরানী তা’লীম-তালক্বীনের মাধ্যমে নিজেদের পবিত্র ঈমান-আমল, আক্বীদা, হিফাযতের পাশাপাশি খাছ শরয়ী পর্দা করতে পারছে। সারাদেশ থেকে লক্ষাধিক মহিলাগণ সাইয়্যিদাতুন নিসা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার মুবারক ছোহবত ইখতিয়ারের মাধ্যমে নিজেরা যেমন তাছাউফপন্থী তথা আল্লাহওয়ালী হচ্ছেন তেমনি তাদের ছেলে-মেয়েদেরকেও সে অনুযায়ী গড়ে তুলতে পারছেন। বর্তমান ফিতনা-ফাসাদের যুগে মহিলাদের পবিত্র ঈমান, আমল, আক্বীদা, পর্দা, ইজ্জত, আবরু হিফাযত করার লক্ষ্যে প্রত্যেক পুরুষদের উচিত তাদের মা-বোন, মেয়ে-স্ত্রীদের হাবীবাতুল্লাহ হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার মুবারক ছোহবত এবং নূরানী তা’লীমী মজলিসে পাঠানো। কেননা মেয়ে একদিন মা হবেন। মেয়ে যদি আল্লাহওয়ালী হয়, তাহলে তার আল-আওলাদও আল্লাহওয়ালা-আল্লাহওয়ালী হতে পারবে।
মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের সকলকে পুরুষদের পাশাপাশি মহিলাদেরও দ্বীনী তা’লীমী মজলিসে অংশগ্রহণ করা যে ফরযে আইন সে বিষয়টা হাক্বীক্বীভাবে উপলব্ধি করে সে অনুযায়ী আমল করার তাওফীক দান করুন। (আমীন)
উল্লেখ্য, সারা বৎসরব্যাপী তা’লীম হয় দুপুর ৩টা ৩০ মিনিট থেকে৫টা পর্যন্ত এছাড়া বিশেষ তালীম হয়। ২৮শে সফর শরীফ হতে ৩০শে রবীউল আউওয়াল শরীফ পর্যন্ত এবং ২৯শে শা’বান শরীফ হতে ২৭শে রমাদ্বান শরীফ পর্যন্ত। এছাড়া সপ্তাহে দুইদিন অর্থাৎ ইছনাইনিল আযীম শরীফ বা সোমবার ১১টা থেকে ৩টা পর্যন্ত। আর জুমুয়ার দিন বাদ জুমুয়া তালিম অনুষ্ঠিত হয়। এতে সর্বস্তরের মুসলিম মা-বোনদের শরীক হওয়ার আমন্ত্রণ রইলো।
- Blogger Comments
- Facebook Comments
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন