728x90 AdSpace

  • Latest News

    সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আযীমুশ শান সম্মানিত নিসবতে আযীম শরীফ সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বেমেছাল সম্মানিত সৌন্দর্য মুবারক ও শ্রেষ্ঠত্ব মুবারক

    সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বেমেছাল সম্মানিত সৌন্দর্য মুবারক ও শ্রেষ্ঠত্ব মুবারক সম্পর্কে ‘আন নি’মাতুল কুবরা আলাল আলাম’ উনার মধ্যে উল্লেখ রয়েছে, فقال سيدنا حضرت عبد الله عليه السلام لامه عليها السلام اريد منك ان تـخطبى لى امراة ذات حسن وجمال وقد واعتدال وبـهاء وكمال وحسب ونسب عال قالت حبا وكرامة يا ولدى ثـم انـها دارت احياء قريش وبنات العرب فلم يعجبها الا امنة بنت وهب عليها السلام فقال يا اماه انظريها مرة ثانية فمضب ونظرتـها فاذا هى تضىء كانـها كوكب درى অর্থ: “সাইয়্যিদুনা হযরত যাবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি উনার মহাসম্মানিতা আম্মাজান আলাইহাস সালাম উনাকে লক্ষ্য করে বললেন, হে আমার মহাসম্মানিতা আম্মাজান আলাইহাস সালাম, আমি আশা করি, আপনি আমার পক্ষ থেকে এমন একজন মহাসম্মানিতা মহিলা উনার কাছে সম্মানিত নিসবতে আযীম শরীফ উনার বিষয়ে প্রস্তাব মুবারক দিবেন, যিনি হবেন সর্বশ্রেষ্ঠা, সর্বোত্তম চরিত্র মুবারক উনার অধিকারিণী, অতি উত্তম জিসম মুবারক উনার অধিকারিণী, সুদর্শনা, ন্যায়পরায়ণী, উজ্জ্বল দীপ্তিময়ী, সর্বদিক থেকে পরিপূর্ণতার অধিকারিণী, বেমেছাল মান-সম্মান-ইজ্জত মুবারক উনার অধিকারিণী, সর্বশ্রেষ্ঠা ও সুউচ্চ বংশীয়া। উনার মহাসম্মানিতা মাতা আলাইহাস সালাম উত্তরে বললেন, হে আমার স্নেহের পুত্র! আপনার জন্য মুহব্বত ও সম্মান-ইজ্জত। অতঃপর সাইয়্যিদুনা হযরত যাবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিতা আম্মাজান আলাইহাস সালাম তিনি সম্মানিত কুরাইশ বংশ উনার ও আরবের সকল গোত্রের সমস্ত কুমারী মহিলাগন উনাদের ব্যাপারে অত্যন্ত নিখুঁতভাবে সংবাদ নিলেন। কিন্তু তিনি একমাত্র সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে ব্যতীত অন্য কাউকে উপরোক্ত সমস্ত গুণাবলী মুবারক উনাদের অধিকারিণী পেলেন না। সুবহানাল্লাহ! অতঃপর সাইয়্যিদুনা হযরত যাবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি বললেন, হে আমার মহাসম্মানিতা আম্মাজান আলাইহাস সালাম, আপনি দ্বিতীয়বারের মতো আবারো উনাকে দেখুন। তারপর তিনি পুনরায় দেখতে গেলেন এবং উনার দিকে তাকালেন। তখন তিনি উনাকে এমতাবস্থায় দেখলেন যে, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যেন মুক্তা সাদৃশ্য তারকার ন্যায় নূর মুবারক বিচ্ছুরণ করছেন। সুবহানাল্লাহ! সুবহানাল্লাহ! সুবহানাল্লাহ! ‘আল বারাহীনুল ক্বিত্ব‘ইয়্যাহ ফী মাওলিদি খইরিল বারিয়্যাহ’ উনার মধ্যে উল্লেখ রয়েছে যে, وهو اراد ايضا تزويج عبد الله عليه السلام فكان يتفحص امراة تكون بشرف النسب والحسب والعفة ممتازة فى الدرجة القصوى فوجد امنة عليها السلام ابنت وهب عليه السلام متصفة بهذه الاوصاف অর্থ: “ আর সাইয়্যিদুনা হযরত জাদ্দু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনিও তখন উনার মহাসম্মানিত আওলাদ সাইয়্যিদুনা হযরত যাবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনাকে সম্মানিত নিসবতে আযীম শরীফ করানোর জন্য এমন একজন মহাসম্মানিতা মেয়ে অনুসন্ধান করছিলেন, যিনি হবেন সর্বোচ্চ বংশীয়া এবং সম্মান-ইজ্জত, পবিত্রতা ও চারিত্রিক নিষ্কুলষতার দিক থেকে সর্বশ্রেষ্ঠত্বের অধিকারিণী। সুবহানাল্লাহ! সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে এই সকল গুণের সর্বশ্রেষ্ঠা গুণে গুণান্বিতা পেলেন।” সুবহানাল্লাহ! ‘নিহায়াতুল ঈজাযে’ বর্ণিত রয়েছে, امنة أفضل امرأة في قريش حسبا ونسبا وجمالا অর্থ: “সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ছিলেন কুরাইশ বংশীয় তথা কায়িনাতের সকল মহিলাদের মধ্যে মান, মর্যাদা, সম্মান, বংশ ও সৌন্দর্যগত দিক থেকে সর্বশ্রেষ্ঠা।” সুবহানাল্লাহ! কিতাবে আরো বর্ণিত রয়েছে- وهي يومئذ أفضل امرأة في قريش نسبا وموضعا. অর্থ: “সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ছিলেন কুরাইশ তথা কায়িনাতের সমস্ত মহিলাদের মধ্যে মুবারক বংশগত ও অবস্থানগত তথা পিতা-মাতা উভয়ের দিক থেকে অর্থাৎ সামগ্রিকভাবে সর্বশ্রেষ্ঠা।” সুবহানাল্লাহ! (ইবনে হিশাম, আর রওদ্বুল উন্ফ, দালাইলুন নুবুওওয়াহ, সুবুলুল হুদা ওয়ার রশাদ, শরহুয যারক্বানী ‘আলাল মাওয়াহিব, শরফুল মুস্ত¡ফা) মূলত মহান আল্লাহ পাক তিনি সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত আম্মাজান আলাইহাস সালাম হিসেবে, সর্বপ্রকার সর্বোত্তম ছিফত তথা গুণাবলী মুবারক, খুছূছিয়াত বা বৈশিষ্ট্য মুবারক ও শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক হাদিয়া মুবারক করেই সৃষ্টি মুবারক করেছেন। সুবহানাল্লাহ! যার কারণে তিনি ছিলেন যাহিরী-বাতিনী সৌন্দর্য মুবারক, সুমহান চরিত্র মুবারক ও শ্রেষ্ঠত্ব মুবারক উনার দিক থেকে কায়িনাতের বুকে অদ্বিতীয়া। উনার কোন মেছাল নেই। উনার মেছাল তিনি নিজেই। সুবহানাল্লাহ! যা ভাষায় প্রকাশ করা কস্মিনকালেও সম্ভব নয়। সুবহানাল্লাহ! বিভিন্ন দিক থেকে সম্মানিত নিসবতে আযীম শরীফ উনার প্রস্তাব মুবারক এবং অস্বীকৃতি মুবারক জ্ঞাপন কিতাবে বর্ণিত রয়েছে, وقد كان خطبها اشراف قريش وكانت سيدتنا حضرت آمنة عليها السلام تأبى ذلك অর্থ: “সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে কুরাইশ বংশের অভিজাত ব্যক্তিবর্গ সম্মানিত নিসবতে আযীম শরীফ উনার বিষয়ে প্রস্তাব দিয়েছিলো; কিন্তু তিনি তা অস্বীকার করেন।” সুবহানাল্লাহ! (তারীখুল খমীস শরীফ ১/৮২) এমনকি রোম-পারস্য স¤্রাটদের পক্ষ থেকেও উনার নিকট সম্মানিত প্রস্তাবনা এসেছে। কিন্তু তিনি তা অস্বীকার করেছেন। সুবহানাল্লাহ! সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি সম্মানিত গায়িবী নিদা মুবারক: কিতাবে বর্ণিত রয়েছে যে, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি একবার উনার মহাসম্মানিত আব্বাজান সাইয়্যিদুনা হযরত ওহাব ইবনে আবদে মানাফ আলাইহিস সালাম উনাকে বললেন যে, “হে আমার মহাসম্মানিত আব্বাজান আলাইহিস সালাম, আমি যখন কোনো নির্জন স্থানে যাই, তখন ‘গায়িবী নিদা তথা অদৃশ্য আওয়ায মুবারক’ শুনতে পাই- কে যেন আমাকে বলেন, اَلسَّلَامُ عَلَيْكِ يَا اُمَّ سَيِّدِ الْمُرْسَلِيْنَ. اَلسَّلَامُ عَلَيْكِ يَا اُمَّ اِمَامِ الْمُرْسَلِيْنَ. অর্থ: “হে সাইয়্যিদুল মুরসালীন ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিতা আম্মাজান আলাইহাস সালাম, আপনাকে সালাম। সুবহানাল্লাহ! হে ইমামুল মুরসালীন ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিতা আম্মাজান আলাইহাস সালাম আপনাকে সালাম!” সুবহানাল্লাহ! আবার কখনো বা বলেন, بُشْرٰى لَكِ يَا اُمَّ اِمَامِ الْمُرْسَلِيْنَ অর্থ: “হে ইমামুল মুরসালীন ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিতা আম্মাজান আলাইহাস সালাম আপনাকে সুসংবাদ।” সুবহানাল্লাহ! ঠিক একইরূপে সম্প্রতি একটি নতুন কথা শুনতে পাইÑ কে যেন আমাকে বলেন, مَرْحَبًا بِكِ يَا زَوْجَةَ سيدنا حضرت عَبْدِ اللهِ عَلَيْهِ السَّلَامُ. অর্থ: “হে সাইয়্যিদুনা হযরত আব্দুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিতা যাওযাতুম মুর্কারামাহ আলাইহাস সালাম, আপনি মুবারকবাদ গ্রহণ করুন।” সুবহানাল্লাহ! সাইয়্যিদুনা হযরত ওহাব আলাইহিস সালাম উনার সম্মানিত স্বপ্ন মুবারক সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত আব্বাজান সাইয়্যিদুনা হযরত ওহাব আলাইহিস সালাম তিনি এক রাতে এক বিশেষ স্বপ্ন মুবারক দেখেন। এক বুযূর্গ ব্যক্তি উনাকে বলছেন, “হে সাইয়্যিদুনা হযরত ওহাব আলাইহিস সালাম, স্বয়ং যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আপনার মহাসম্মানিতা মেয়ে উনার তত্ত্বাবধান ও নিরাপত্তার ভার গ্রহণ করেছেন। আপনি উনাকে এমন এক সর্বোত্তম ও সর্বশ্রেষ্ঠ সম্মানিত বংশ মুবারক উনার অধিকারী সুমহান ব্যক্তিত্ব মুবারক উনার নিকট সমর্পণ করুন, যেই সুমহান ব্যক্তিত্ব মুবারক উনাকে সম্মানিত কুরবানী মুবারক করার জন্য উনার মহাসম্মানিত আব্বাজান আলাইহিস সালাম তিনি মানত মুবারক করেছেন এবং মহান আল্লাহ পাক তিনিও উনার সম্মানিত কুরবানী মুবারক কবূল করেছেন।” সুবহানাল্লাহ! সম্মানিত নিসবতে আযীম শরীফ উনার সম্মানিত প্রস্তাব মুবারক ‘নুযহাতুল মাজালিস’ কিতাবে বর্ণিত রয়েছে, فلما كبر سيدنا حضرت عبد الله عليه السلام قصدوا قتله فأرسل الله تعالى ملائكة فقتلهم عن آخرهم وكان حَضْرَتْ وهب عَلَيْهِ السَّلَامُ والد آمنة ينظر على رأس جبل إلى هذه الكرامة لحَضْرَتْ عبد الله عَلَيْهِ السَّلَامُ فأخبر زوجته حَضْرَتْ برة بنت عبد العزى عَلَيْهَا السَّلَامُ أم آمنة عَلَيْهَا السَّلَامُ بذلك وقال هل لك أن تزوجي حَضْرَتْ عبد الله عَلَيْهِ السَّلَامُ بآمنة عَلَيْهَا السَّلَامُ قالت نعم فتوجه حَضْرَتْ وهب عَلَيْهِ السَّلَامُ وحَضْرَتْ برة عَلَيْهَا السَّلَامُ إلى حَضْرَتْ عبد المطلب عَلَيْهِ السَّلَامُ واسمه شيبة الحمد فخطبا منه حَضْرَتْ عبد الله عَلَيْهِ السَّلَامُ لحَضْرَتْ آمنة عَلَيْهَا السَّلَامُ لما رأى حَضْرَتْ وهب عَلَيْهِ السَّلَامُ من كرامة والد النبي صلى الله عليه وسلم فزوجه بها অর্থ: “অতঃপর যখন সাইয়্যিদুনা হযরত যাবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি বড় হলেন, তারা (শাম দেশের পাদ্রীরা) উনাকে শহীদ করার জন্য ইচ্ছা পোষণ করলো। না‘ঊযুবিল্লাহ! তখন মহান আল্লাহ পাক তিনি হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে প্রেরণ করে উনাদের মাধ্যমে তাদেরকে হত্যা করলেন, নিশ্চিহ্ন করে দিলেন। সুবহানাল্লাহ! সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত আব্বাজান সাইয়্যিদুন নাস সাইয়্যিদুনা হযরত ওহাব আলাইহিস সালাম তিনি পাহাড়ের উপর থেকে সাইয়্যিদুনা হযরত যাবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার এই সম্মানিত কারামত মুবারক দেখলেন। সুবহানাল্লাহ! অতঃপর তিনি বাড়িতে যেয়ে উনার মহাসম্মানিতা ‘যাওযাতুম মুকাররামাহ’ সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিতা আম্মাজান সাইয়্যিদাতুনা হযরত র্বারাহ বিনতে আব্দুল উয্যা আলাইহাস সালাম উনাকে এই সম্মানিত কারামাত সম্পর্কে অবহিত করলেন। তারপর তিনি বললেন, আপনি কি সাইয়্যিদুনা হযরত যাবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার সাথে সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত নিসবতে আযীম শরীফ দিবেন? জবাবে তিনি বললেন, হ্যাঁ। অতঃপর সাইয়্যিদুনা হযরত ওহাব আলাইহিস সালাম তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত আব্বাজান আলাইহিস সালাম উনার এই সম্মানিত কারামাত মুবারক দেখে তিনি এবং উনার মহাসম্মানিত যাওজাতুম মুকাররমাহ সাইয়্যিদাতুনা হযরত বাররাহ আলাইহাস সালাম উনারা দু’জনে সাইয়্যিদুনা হযরত আব্দুল মুত্ত্বালিব আলাইহিস সালাম উনার নিকট গেলেন। উনার সম্মানিত নাম মুবারক ছিলেন, ‘শায়বাতুল হামদ’ (এটা উনার বিশেষ লক্বব মুবারক। তবে উনার মূল নাম মুবারক ছিলেন ‘সাইয়্যিদুনা হযরত শায়বাহ আলাইহিস সালাম’।) অতঃপর উনারা উভয়ে সাইয়্যিদুনা হযরত জাদ্দু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট সাইয়্যিদুনা হযরত যাবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার সাথে সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত নিসবতে আযীম শরীফ উনার ব্যাপারে প্রস্তাব মুবারক দিলেন। তারপর তিনি সাইয়্যিদুনা হযরত যাবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার সাথে সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত নিসবতে আযীম শরীফ সুসম্পন্ন করলেন।” সুবহানাল্লাহ! (নুযহাতুল মাজালিস ২/৭৫) ‘তারীখুল খমীস শরীফ’ উনার মধ্যে উল্লেখ রয়েছে, فلما رآى ذلك حضرت وهب بن عبد مناف عليه السلام من سيدنا حضرت عبد الله عليه السلام رغب فيه وقال لن يستقيم لا بنتى حضرت آمنة عليها السلام زوج غير هذا অর্থ: “সাইয়্যিদুনা হযরত ওহাব আলাইহিস সালাম তিনি যখন সাইয়্যিদুনা হযরত যাবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার এই সম্মানিত কারামত মুবারক দেখলেন, তখন তিনি সাইয়্যিদুনা হযরত যাবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার প্রতি আগ্রহী হলেন এবং তিনি বললেন, আমার মহাসম্মানিতা আওলাদ সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার জন্য সাইয়্যিদুনা হযরত যাবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি ব্যতীত আর অন্য কেউ সম্মানিত যাওজুম মুকাররম হওয়া কস্মিনকালেও সঠিক হবে না।” সুবহানাল্লাহ! (তারীখুল খমীস ১/৮৩) আর আল্লামা হযরত কারামাত আলী জৈনপুরী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার বিশ্বখ্যাত কিতাব ‘আল বারাহীনুল ক্বিত্ব‘ইয়্যাহ ফী মাওলিদি খইরিল বারিয়্যাহ’ উনার মধ্যে উল্লেখ করেন, فلما راى وهب بن عبد مناف عليه السلام هذه الحال رجع الى بيته من الصحراء وقال لاهله ان تزويج بنتى امنة عليها السلام عبد الله بن عبد المطلب عليهما السلام يكون حسنا فارسل بهذه الخطبة الى عبد المطلب عليه السلام من احبابه بعضا وهو اراد ايضا تزويج عبد الله عليه السلام فكان يتفحص امراة تكون بشرف النسب والحسب والعفة ممتازة فى الدرجة القصوى فوجد امنة عليها السلام ابنت وهب عليه السلام متصفة بهذه الاوصاف فزوج عبد الله عليه السلام اياها অর্থ: “সাইয়্যিদুন নাস সাইয়্যিদুনা হযরত ওহাব ইবনে আবদে মানাফ আলাইহিস সালাম তিনি এই ঘটনা মুবারক অবলোকন করার পর সেখান থেকে বাড়ি ফিরে গেলেন এবং তিনি উনার মহাসম্মানিতা যাওজাতুম মুকাররমাহ আলাইহাস সালাম উনার নিকট (সমস্ত ঘটনা খুলে বলার পর বললেন,) সাইয়্যিদুনা হযরত জাদ্দু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত আওলাদ সাইয়্যিদুনা হযরত যাবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার নিকট আমার সম্মানিতা মেয়ে সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সম্মানিত নিসবতে আযীম শরীফ দিতে পারলে অতি উত্তম হতো। অতঃপর তিনি উনার বন্ধুর মাধ্যমে সাইয়্যিদুনা হযরত জাদ্দু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহিস সালাম উনার নিকট সম্মানিত নিসবতে আযীম শরীফ উনার এই প্রস্তাব মুবারক পাঠালেন। আর সাইয়্যিদুনা হযরত জাদ্দু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনিও তখন উনার মহাসম্মানিত আওলাদ সাইয়্যিদুনা হযরত যাবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনাকে সম্মানিত নিসবতে আযীম শরীফ করানোর জন্য এমন একজন মহাসম্মানিতা মেয়ে অনুসন্ধান করছিলেন, যিনি হবেন সর্বোচ্চ বংশীয়া এবং সম্মান-ইজ্জত, পবিত্রতা ও চারিত্রিক নিষ্কুলষতার দিক থেকে সর্বশ্রেষ্ঠত্বের অধিকারিণী। সুবহানাল্লাহ! তিনি সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে এই সকল গুণের সর্বশ্রেষ্ঠা গুণে গুণান্বিতা পেলেন। সুবহানাল্লাহ! তাই তিনি (উক্ত প্রস্তাবে রাজি হয়ে) সাইয়্যিদুনা হযরত যাবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার সাথে সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত নিসবতে আযীম শরীফ সুসম্পন্ন করলেন।” সুবহানাল্লাহ! ‘আন নি’মাতুল কুবরা আলাল আলাম’ উনার মধ্যে উল্লেখ রয়েছে, قال حسن بن احـمد البكرى رحمة الله عليه لـما اراد الجليل جل جلا له ان ينقل نور سيدنا محمد صلى الله عليه وسلم جرك فى قلب سيدنا حضرت عبد الله بن عبد الـمطلب عليه السلام ان يتزوج فقال سيدنا حضرت عبد الله عليه السلام لامه عليها السلام اريد منك ان تـخطبى لى امراة ذات حسن وجمال وقد واعتدال وبـهاء وكمال وحسب ونسب عال قالت حبا وكرامة يا ولدى ثـم انـها دارت احياء قريش وبنات العرب فلم يعجبها الا امنة بنت وهب عليها السلام فقال يا اماه انظريها مرة ثانية فمضب ونظرتـها فاذا هى تضىء كانـها كوكب درى فانقدوها অর্থ: “হযরত হাসান বিন আহমদ বাকরী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি যখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত নূর মুবারক উনাকে উনার মহাসম্মানিতা আম্মাজান আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত খিদমত মুবারক-এ স্থানান্তরিত করার ইচ্ছা মুবারক করলেন, তখন সাইয়্যিদুনা হযরত যাবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার সম্মানিত অন্তর মুবারক-এ সম্মানিত নিসবতে আযীম শরীফ করার আগ্রহ মুবারক সৃষ্টি করে দিলেন। সুবহানাল্লাহ! ফলে সাইয়্যিদুনা হযরত যাবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি উনার সম্মানিতা আম্মাজান আলাইহাস সালাম উনাকে লক্ষ্য করে বললেন, হে আমার সম্মানিতা আম্মাজান আলাইহাস সালাম, আমি আশা করি, আপনি আমার পক্ষ থেকে এমন একজন মহাসম্মানিতা মহিলা উনার কাছে সম্মানিত নিসবতে আযীম শরীফ উনার বিষয়ে প্রস্তাব দিবেন, যিনি হবেন সর্বশ্রেষ্ঠা, সর্বোত্তম চরিত্র মুবারক উনার অধিকারিণী, অতি উত্তম জিসম মুবারক উনার অধিকারিণী, সুদর্শনা, ন্যায়পরায়ণী, উজ্জ্বল দীপ্তিময়ী, সর্বদিক থেকে পরিপূর্ণতার অধিকারিণী, বেমেছাল মান-সম্মান-ইজ্জত মুবারক উনার অধিকারিণী, সর্বশ্রেষ্ঠা ও সুউচ্চ বংশীয়া। উনার মহাসম্মানিতা মাতা আলাইহাস সালাম উত্তরে বললেন, হে আমার স্নেহের পুত্র! আপনার জন্য মুহব্বত ও সম্মান-ইজ্জত। অতঃপর সাইয়্যিদুনা হযরত যাবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিতা আম্মাজান আলাইহাস সালাম তিনি সম্মানিত কুরাইশ বংশ উনার ও আরবের সকল গোত্রের সমস্ত কুমারী মহিলাগন উনাদের ব্যাপারে অত্যন্ত নিখুঁতভাবে সংবাদ নিলেন। কিন্তু তিনি একমাত্র সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে ব্যতীত অন্য কাউকে উপরোক্ত সমস্ত গুণাবলী মুবারক উনাদের অধিকারিণী পেলেন না। সুবহানাল্লাহ! অতঃপর সাইয়্যিদুনা হযরত যাবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি বললেন, হে আমার মহাসম্মানিতা আম্মাজান আলাইহাস সালাম, আপনি দ্বিতীয়বারের মতো আবারো উনাকে দেখুন। তারপর তিনি পুনরায় দেখতে গেলেন এবং উনার দিকে তাকালেন। তখন তিনি উনাকে এমতাবস্থায় দেখলেন যে, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যেন মুক্তা সাদৃশ্য তারকার ন্যায় নূর মুবারক বিচ্ছুরণ করছেন। সুবহানাল্লাহ! অতঃপর উভয়ের মধ্যে সম্মানিত নিসবতে আযীম শরীফ সুসম্পন্ন করে দিলেন।” সুবহানাল্লাহ! আযীমুশ শান সম্মানিত নিসবতে আযীম শরীফ অনুষ্ঠান: সাইয়্যিদুনা হযরত যাবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার সম্মানিত নিসবতে আযীম শরীফ পরিপূর্ণরূপে সম্মানিত সুন্নতী কায়দায় হয়েছিলো। সুবহানাল্লাহ! নির্দিষ্ট সময়ে সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সম্মানিত মদীনা শরীফ থেকে সম্মানিত মক্কা শরীফ নিয়ে আসা হলো। তখন সাইয়্যিদুনা হযরত যাবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার সম্মানিত বয়স মুবারক ছিলেন ২৪ বছর ১১ মাস ২৮ দিন তথা পূর্ণ ২৫ বছর এবং সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত বয়স মুবারক ছিলেন ১৮ বছর ৩ মাস ২৫ দিন। সুবহানাল্লাহ! অনেক দিন পূর্ব থেকেই সম্মানিত নিসবতে আযীম শরীফ উনার প্রস্তুতি মুবারক চলছিলো। দিন যতই নিকটবর্তী হতে থাকলো, প্রস্তুতি মুবারক ততোই ব্যাপক থেকে ব্যাপকতর হচ্ছিলো। ইয়াওমুল খমীস সমস্ত মক্কা শরীফ-এ সম্মানিত নিসবতে আযীম শরীফ উনার আয়োজনের ধূম পড়ে গেলো। সম্মানিত কুরাইশ বংশীয় সাইয়্যিদযাদাহ সাইয়্যিদুনা হযরত যাবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার সম্মানিত নিসবতে আযীম শরীফ। তাই সকলের মাঝে আনন্দের মহাজোয়ার বইছে। জিন, ফেরেশতা, হুর-মালায়িক সকলে খুশি প্রকাশ করছেন। আরশে আ’লা হতে তাহতাছ ছারা পর্যন্ত খুশির জোয়ার বইছে। শুভ মুহূর্ত নিকট থেকে নিকটবর্তী হচ্ছেন। সম্মানিত কা’বা শরীফ উনার পাশেই সাইয়্যিদুনা হযরত জাদ্দু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত হুজরা শরীফ। সেখানেই আযীমুশ শান সম্মানিত নিসবতে আযীম শরীফ উনার সম্মানিত মজলিস মুবারক অনুষ্ঠিত হবেন। তাই অত্যন্ত জাঁকজমকের সাথে সাজানো হয়েছে সম্মানিত নিসবতে আযীম শরীফ উনার সম্মানিত মজলিস মুবারক। সকলেই সম্মানিত মজলিস মুবারক-এ উপস্থিত হতে লাগলেন। পূর্ণ প্রস্তুতি মুবারক সম্পন্ন হলো। পবিত্র জুমাদাল উখরা শরীফ উনার সূর্য অস্তিমত হয়ে পবিত্র রজবুল হারাম শরীফ উনার চাঁদ উঁকি দিলো। বা’দ মাগরিব এবং সম্মানিত ইশা উনার ওয়াক্ত শুরু। আযীমুশ শান সম্মানিত নিসবতে আযীম শরীফ উনার অনুষ্ঠানে সকলে উপস্থিত হলেন। এমনি শুভক্ষণে সকলের মধ্যমণি সাইয়্যিদুনা হযরত যাবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি উক্ত সম্মানিত মজলিস মুবারক-এ উপস্থিত হয়ে সকলকে ধন্য করলেন। সুবহানাল্লাহ! তখন উনার সম্মানিত ললাট ও সমস্ত জিসম মুবারক থেকে মুক্তা দানার ন্যায় অবিরত ধারায় মহাসম্মানিত নূর মুবারক বিচ্ছূরিত হচ্ছিলেন। যেন সম্মানিত মজলিস মুবারক-এ নিশির পূর্ণ চাঁদ উদিত হয়ে সকলকে আলোকিত করছেন অথবা দিবালোকের সূর্য সকলের উদ্দেশ্যে আলো বিতরণ করছেন। সুবহানাল্লাহ! সকলের দৃষ্টি উনার দিকে। জিন, ফেরেশতা ও হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনারা সকলেই সেই সম্মানিত মজলিস মুবারক-এ উপস্থিত। সকলের মাঝে আনন্দের মহাজোয়ার বইছে। এমতাবস্থায় সাইয়্যিদুনা হযরত জাদ্দু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সম্মানিত সুন্নতী তারতীব মুবারক অনুযায়ী প্রথমে মহান আল্লাহ পাক উনার প্রশংসা ও ছানা-ছিফত মুবারক করেন। তারপর সকলের উদ্দেশ্যে সম্মানিত নছীহত মুবারক করেন। সুবহানাল্লাহ! তিনি বলেন, সেই মহান আল্লাহ পাক উনার অসংখ্য শুকরিয়া আদায় করছি, উনার প্রশংসা মুবারক করছি যিনি আমাদেরকে অফুরন্ত নিয়ামত মুবারক হাদিয়া করেছেন, আমাদেরকে দয়া-ইহসান মুবারক করেছেন এবং আমাদের হৃদয়ে উনার সম্মানিত শুকরিয়া, প্রশংসা, ছানা-ছিফত মুবারক করার উপলব্ধি দিয়েছেন এবং তা করার তাওফীক্ব মুবারক দিয়েছেন। সুবহানাল্লাহ! তিনি আমাদেরকে সম্মানিত শহর মক্কা শরীফ উনার অধিবাসী বানিয়েছেন। তিনি অন্যান্য গোত্রের উপর আমাদেরকে মর্যাদাবান করেছেন এবং দুর্যোগ ও দুরবস্থা থেকে মুক্তি দিয়েছেন। সুবহানাল্লাহ! সেই মহান আল্লাহ পাক উনার প্রশংসা করছি যিনি আমাদের জন্য সম্মানিত নিসবতে আযীম শরীফ বৈধ করেছেন এবং অবৈধ সংসর্গ নিষিদ্ধ করেছেন। সুবহানাল্লাহ! এইভাবে অনুষ্ঠান মুবারক সূচনা করে তিনি বলেন, এখন আপনাদের অবগতির জন্য পেশ করছি যে, আমাদের মহাসম্মানিত আওলাদ সাইয়্যিদুনা হযরত যাবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি আপনাদের মহাসম্মানিতা আওলাদ সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে সম্মানিত নিসবতে আযীম শরীফ-এ আবদ্ধ হতে চান এবং আপনাদের সম্মতি হলে এই সম্মানিত নিসবতে আযীম শরীফ নিষ্পন্ন করতে চান। আপনারা কি এ প্রস্তাবে রাজি রয়েছেন? মুজাদ্দিদে আ’যম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ আলাইহিছ ছলাতু ওয়াস সালাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “অতঃপর সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত আব্বাজান খাজা সাইয়্যিদুনা হযরত ওহাব ইবনে আবদে মানাফ আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, আমরা এই প্রস্তাব মুবারক গ্রহণ করলাম। সুবহানাল্লাহ! তারপর তিনিও মহান আল্লাহ পাক উনার প্রশংসা ও ছানা-ছিফত মুবারক করার পর সকলের উদ্দেশ্যে কিছু সম্মানিত নছীহত মুবারক করেন। সুবহানাল্লাহ! তিনি বলেন, সেই মহান আল্লাহ পাক উনার অসংখ্য শুকরিয়া আদায় করছি, উনার প্রশংসা মুবারক করছি যিনি আমাদেরকে দ্বীনে হানীফ উনার উপর প্রতিষ্ঠিত রেখেছেন, উনার সম্মানিত শুকরিয়া, প্রশংসা, ছানা-ছিফত মুবারক করার তাওফীক্ব দিয়েছেন। সুবহানাল্লাহ! তিনি আমাদেরকে সম্মানিত কুরাইশ গোত্র উনার বিশেষ শাখা সম্মানিত যুহরা গোত্র উনার অন্তর্ভুক্ত করেছেন এবং সম্মানিত শহর মদীনা শরীফ উনার অধিবাসী বানিয়েছেন। তিনি অন্যান্য গোত্রের উপর আমাদেরকে মর্যাদাবান করেছেন এবং মানুষের খিদমত করার সুযোগ করে দিয়েছেন। সুবহানাল্লাহ! সেই মহান আল্লাহ পাক উনার প্রশংসা করছি যিনি আমাদের জন্য সম্মানিত নিসবতে আযীম শরীফ বৈধ করেছেন এবং অবৈধ সংসর্গ নিষিদ্ধ করেছেন। সুবহানাল্লাহ! এভাবে সাইয়্যিদুনা খাজা হযরত ওহাব ইবনে আবদে মানাফ আলাইহিস সালাম তিনি উনার সংক্ষিপ্ত নছীহত মুবারক শেষ করেন। এতে সাইয়্যিদুনা হযরত জাদ্দু রসূলিল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অত্যন্ত খুশি মুবারক প্রকাশ করেন। অতঃপর তিনি হাসিমুখে সায় দিয়ে সকলের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা সকলে এই সম্মানিত পবিত্র কাজের সাক্ষী থাকলেন। সুবহানাল্লাহ! তারপর সাইয়্যিদুনা হযরত জাদ্দু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার শুকরিয়া আদায় করেন এবং দোয়া মুনাজাত পরিচালনা করেন। সুবহানাল্লাহ! এইভাবে সম্মানিত সুন্নতী তরতীব অনুযায়ী সাইয়্যিদুনা হযরত যাবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার সম্মানিত নিসবতে আযীম শরীফ সুসম্পন্ন হয়।” সুবহানাল্লাহ! সময়টি ছিলো নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশের ৮ মাস ১২ দিন পূর্বে মহাসম্মানিত রজবুল হারাম শরীফ মাস উনার ১লা তারিখ লাইলাতুল জুমুয়াহ শরীফ। সম্মানিত হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, عَنْ حَضْرَتْ عَلِيٍّ عليه السلام قَالَ اِنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ خَرَجْتُ مِنْ نِكاحٍ ولم اخْرُجْ مِنْ سِفاحٍ مِنْ لَدُنْ اٰدَمَ الى اَنْ وَلَدَنِـىْ ابِى وامِّى لَمْ يُصِبْنِـىْ مِنْ سِفاحِ الجاهِلِيَّةِ شَىءٌ ما ولدنى الا نكاح كنكاح الاسلام. অর্থ: “আমি সর্বোত্তম বিশুদ্ধ সম্মানিত নিসবতে আযীম শরীফ (ছহীহ নিকাহ বা শাদী মুবারক) উনার মাধ্যমে মহাসম্মানিত বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেছি; কস্মিনকালেও এর ব্যতিক্রমটি ঘটেনি। সুবহানাল্লাহ! আবুল বাশার সাইয়্যিদুনা হযরত আদম আলাইহিস সালাম উনার থেকে শুরু করে আমার মহাসম্মানিত আব্বা-আম্মা আলাইহিমাস সালাম উনাদের পর্যন্ত আমি যেই সকল সুমহান ব্যক্তিত্ব ও ব্যক্তিত্বা মুবারক উনাদের মাঝে সম্মানিত অবস্থান মুবারক করেছি, উনারা প্রত্যেকেই উনাদের সম্মানিত বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেছেন সর্বোত্তম বিশুদ্ধ সম্মানিত নিসবতে আযীম শরীফ (ছহীহ নিকাহ বা শাদী মুবারক) উনার মাধ্যমে। যাতে জাহিলী যুগের কোনো অপকর্ম কস্মিনকালেও স্পর্শ করেনি। আমি সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার সম্মানিত পবিত্র নিসবতে আযীম শরীফ উনার ন্যায় সম্মানিত পবিত্র নিসবতে আযীম শরীফ উনার মাধ্যমে মহাসম্মানিত বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেছি।” সুবহানাল্লাহ! (আল মু’জামুল আওসাত্ব লিত ত্ববারনী ৫/৮০, আল বাদরুল মুনীর ৭/৬৩৭, আল মাত্বালিবুল আলীয়াহ ১৭/১৯৮, মাজমাউয যাওয়াইদ ৮/১৪৯, আল জামিউছ ছগীর ১/৩৬৪, আল ফাতহুল কাবীর ২/৮২, দায়লামী শরীফ ২/১৯০, জামিউল আহাদীছ ৯/৪৯৮, আল খছাইছুল কুবরা ১/৬৫, সীরাতে হালবিয়্যাহ ১/৬৮, দালাইলুন নুবুওওয়াহ লিআবী নাঈম ১/১৯, সুবুলুলহুদা ওয়ার রশাদ ১/২৩৭) এই সমস্ত দলীল-আদিল্লাহ উনাদের মাধ্যমে সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হলো যে, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত আব্বা-আম্মা আলাইহিমাস সালাম উনাদের আযীমুশ শান সম্মানিত নিসবতে আযীম শরীফ সম্মানিত সুন্নতী তরতীব মুবারক অনুযায়ী হয়েছে। সুবহানাল্লাহ! মূলত এই সম্মানিত তরতীব মুবারক অনুযায়ী বিবাহ অনুষ্ঠান করা সকলের জন্য সম্মানিত সুন্নত মুবারক হিসেবে সাব্যস্ত হয়েছে। অর্থাৎ উনারা সকলকে সম্মানিত সুন্নত মুবারক শিক্ষা দিয়েছেন। সুবহানাল্লাহ! সম্মানিত মোহরানা মুবারক: সাইয়্যিদুনা হযরত যাবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার সম্মানিত নিসবতে আযীম শরীফ উনার সম্মানিত মোহরানা মুবারক ছিলো নগদ এক উকিয়া স্বর্ণ ও এক উকিয়া রৌপ্য। সুবহানাল্লাহ! সম্মানিত ওলীমা মুবারক: সাইয়্যিদুনা হযরত জাদ্দু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ছিলেন সমস্ত কুরাইশ সম্প্রদায় উনাদের সাইয়্যিদ। তিনি তো জিন-ইনসানকে খাওয়াতেনই; শুধু তাই নয়, বরং বন্যপশু-পাখীদেরকেও খাদ্য খাওয়াতেন। সুবহানাল্লাহ! তাই তিনি সকলের মাঝে ‘মুত্ব‘ইমুল ইন্সি ওয়াল ওয়াহ্শি ওয়াত ত্বইর’ তথা মানুষ, বন্য পশু ও পাখীদেরকে খাদ্যদানকারী এই সম্মানিত লক্বব মুবারক-এ পরিচিত ছিলেন। সুবহানাল্লাহ! তাহলে তিনি উনার সবচেয়ে প্রিয় মহাসম্মানিত আওলাদ, লখতে জিগার সাইয়্যিদুনা হযরত যাবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার আযীমুশ শান সম্মানিত নিসবতে আযীম শরীফ উনার ওলীমা মুবারক-এ কত বিশাল বড় অনুষ্ঠান করেছেন, কতো বেমেছালভাবে আয়োজন করেছেন এবং জিন-ইনসান ও পশু-পাখীকে কি পরিমাণ মেহমানদারী করেছেন, খাদ্য খায়িছেন, তা সকলের চিন্তা ও কল্পনার ঊর্ধ্বে। সুবহানাল্লাহ! তবে কিতাবের এক বর্ণনায় দেখা যায় যে, তিনি সাইয়্যিদুনা হযরত যাবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার সম্মানিত ওলীমা মুবারক উপলক্ষে একশত উট, একশত গরু, একশত বকরী জবাই করে প্রচুর পরিমাণে খাবার প্রস্তুত করেছেন এবং সম্মানিত মক্কা শরীফ ও তৎসংলগ্ন এলাকার সবাইকে দাওয়াত করে মেহমানদারী মুবারক করেছেন। এই সম্মানিত মেহমানদারী মুবারক চারদিন পর্যন্ত চলেছে। সুবহানাল্লাহ! মহাসম্মানিত লাইলাতুয যুফাফ ও রগাইব শরীফ সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সাইয়্যিদুনা হযরত যাবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার ফুল সজ্জিত সম্মানিত হুজরা শরীফ-এ নিয়ে যাওয়া হলো। অতঃপর সাইয়্যিদুনা হযরত যাবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত বিশেষ ছোহবত মুবারক তথা সাক্ষাৎ মুবারক-এ গেলেন এবং মহাসম্মানিত নূরে হাবীবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সাইয়্যিদুনা হযরত যাবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার থেকে উম্মু রসূলিনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত খিদমত মুবারক-এ সম্মানিত তাশরীফ মুবারক গ্রহণ করেন। সুবাহনাল্লাহ! সেই মহাসম্মানিত বরকতময় রাতখানা ছিলেন সম্মানিত রজবুল হারাম শরীফ উনার ১লা তারিখ এবং সম্মানিত জুমুয়াহ শরীফ উনার সম্মানিত রাত মুবারক। সুবহানাল্লাহ! আল্লামা কারামত আলী জৈনপুরী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার বিশ্বখ্যাত কিতাব ‘আল বারাহীনুল ক্বিত্ব‘ইয়্যাহ ফী মাওলিদি খইরিল বারিয়্যাহ শরীফ’ উনার মধ্যে উল্লেখ করেন, ان فى هذه الليلة نودى فى الملك والملكوت ان ينوروا العالم بانوار القدس تنويرا واهتز وابتهج ملائكة الارض والسماء اهتزازا وابتهاجا وامر خازن الجنة بان يفتح باب الفردوس الاعلى ويجعل العالم بالفوائح والروائح معطرا وبشر فى طبقات السموات وبقاع الارض كلها بان النور المحمدى فى هذه الليلة استقر فى رحم حضرت امنة عليها السلام استقرارا. অর্থ: “এই রাতে মহান আল্লাহ পাক উনার সম্মানিত কুদরত মুবারক উনার জগতে এবং হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদের জগতে বলে দেয়া হয়েছিলো যে, উনারা যেন সম্মানিত পবিত্র নূর মুবারক দ্বারা সমস্ত সৃষ্টিজগতকে নূরানী করেন, আলোকিত করেন। সুবহানাল্লাহ! আকাশ-যমীন, সারা কায়িনাতের সকল ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা মহা খুশিতে বিভোর হয়ে গিয়েছিলেন। সর্বশ্রেষ্ঠ জান্নাত ফেরদাউস উনার দরজা মুবারক খুলে দেয়ার জন্য সম্মানিত বেহেশত উনার রক্ষণাবেক্ষণকারী সম্মানিত ফেরেশতা আলাইহিস সালাম উনাকে হুকুম করা হলো। সমগ্র কায়িনাতকে বিভিন্ন প্রকার খুশবু দ্বারা খুশবুময় করে রাখার আদেশ মুবারক আসলো। আকাশের সকল স্তরে এবং যমীনের সকল স্তরে, পৃথিবীর সকল ঘরে ঘরে খোশখবরি দেয়া হয়েছিলো যে, নূরে হাবীবী ছল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এই সম্মানিত রাতে উনার মহাসম্মানিত আম্মাজান আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত খিদমত মুবারক-এ সম্মানিত তাশরীফ মুবারক এনেছেন।” সুবহানাল্লাহ! কিতাবে বর্ণিত রয়েছে, وفى حديث عبد الله ابن عباس رضى الله عنهما انـه قال كان من دلالة حمل حضرت امنة عليها السلام برسول الله صلى الله عليه وسلم ان كل دابة كانت لقريش نطقت تلك الليلة، وقالت حمل برسول الله صلى الله عليه وسلم ورب الكعبة وهو امام اهل الدنيا وسراج اهلها، ولـم يبق سرير ملك من ملوك العرب والعجم الا واصبح منكوسا واقبل ابليس لعنه الله هاربا على وجهه حتى اتى على جبل ابى قبيس وصاح صيحة ورن رنة فاجتمعت اليه الشياطين من كل جانب. অর্থ: “হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমা উনার থেকে হাদীছ শরীফ বর্ণিত রয়েছে। নিশ্চয়ই তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার মহাসম্মানিতা আম্মাজান সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত খিদমত মুবারক-এ তাশরীফ মুবারক এনেছেন এই বিষয়ে একটি দলীল হচ্ছে, সম্মানিত কুরাঈশ গোত্র উনার সকল গৃহপালিত পশুগুলো সেই (লাইলাতুর রাগায়িব শরীফ উনার) সম্মানিত রাত্রি মুবারক-এ পরস্পরে কথা বলেছে। সুবহানাল্লাহ! তারা বলেছে, (আজ রাত) নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার মহাসম্মানিতা আম্মাজান আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত খিদমত মুবারক-এ তাশরীফ মুবারক এনেছেন। সুবহানাল্লাহ! সম্মানিত কা’বা শরীফ উনার রব মহান আল্লাহ পাক উনার কসম! তিনি দুনিয়াবাসী সকলের ইমাম এবং তাদের জন্য আলোকবর্তিকা বা হিদায়াতদানকারী। আরব ও আজম তথা সারা পৃথিবীর সকল রাজাদের সিংহাসনগুলো উল্টে পড়েছিলো। সুবহানাল্লাহ! ইবলীস লা’নাতুল্লাহি আলাইহি (তার উপর আল্লাহ পাক উনার অভিসম্পাত সার্বক্ষণিক বর্ষিত হচ্ছে।) পলায়ন করে আবূ কুবাইস পাহাড়ে এসে আর্তচিৎকার ও কঠিন রোনাজারী করতেছিলো। এ চিৎকার শুনে সর্বদিক থেকে সমস্ত শয়তানগুলো তার নিকট এসে একত্রিত হয়েছিলো।” (আন নি’মাতুল কুবরা আলাল আলাম) ‘শরফুল মুস্ত¡ফা শরীফ’ উনার মধ্যে উল্লেখ রয়েছে, فأمر الله عزّ وجلّ خازن الجنة بأن يفتح أبواب الجنان للنور المكنون فاستقر عند حَضْرَتْ آمنة عليها السلام فأصبحت يومئذ أصنام الدنيا كلها منكوسة وأصبح عرض اِبليس عدو الله مَنْكُوْسًا اَرْبَعِيْنَ يَوْمًا فَاَفْلَتَ اِبْلِيْسُ هَارِبًا اَسْوَدَ مُـحْتَرِقًا حَتّى اتى جَبَلَ اَبِـىْ قبيس فَصَاحَ صَيْحَةً وَّرنّ رنّة فاجتمع إليه الشياطين من كل ناحية فقالوا يا سيد القوم ما الذي دهاك فقال إبليس ويلكم أهلكتنا هذه المرأة. অর্থ: “মহান আল্লাহ পাক তিনি সম্মানিত জান্নাত উনার রক্ষণাবেক্ষণকারী সম্মানিত ফেরেশতা আলাইহিস সালাম উনাকে নির্দেশ মুবারক প্রদান করলেন, মহাসম্মানিত সুরক্ষিত নূর মুবারক তথা নূরে হাবীবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানার্থে সম্মানিত জান্নাত সমূহের সকল দরজা মুবারকগুলো উন্মুক্ত করে দেয়ার জন্য। অতঃপর নূরে হাবীবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত খিদমত মুবারক-এ তাশরীফ মুবারক গ্রহণ করলেন। ফলে সেই দিন পৃথিবীর সমস্ত মূর্তিগুলো উল্টে পড়েছিলো এবং মহান আল্লাহ পাক উনার দুশমন ইবলীসের আসন ৪০ দিন পর্যন্ত উল্টে পড়েছিলো। তখন ইবলীস দগ্ধীভূত অতি কুৎসিত কালো কদাকার রং ধারণ করে কঠিন লাঞ্ছিত অবস্থায় পলায়নকারীরূপে আবূ কুবাইস পাহাড়ে এসেছিলো। তারপর সে অত্যন্ত কঠিনভাবে চিৎকার ও রোনাজারী করছিলো। ফলে সর্বদিক থেকে সমস্ত শয়তান তার নিকট এসে জমা হয়ে বলেছিলো, হে (শয়তান) সম্প্রদায়ের নেতা! কোন্ জিনিস তোমাকে আঘাত করেছে, তোমাকে কষ্ট দিয়েছে? তখন ইবলীস বললো, তোদের জন্য আফসোস! এই মহাসম্মানিত মহিলা (সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ) তিনি আমাদেরকে ধ্বংস করে দিয়েছেন।” সুবহানাল্লাহ! (শরফুল মুস্ত¡ফা শরীফ ১/৩৪৭)
    http://al-ihsan.net/FullText.aspx?subid=1&textid=12381
    • Blogger Comments
    • Facebook Comments

    0 মন্তব্য(গুলি):

    একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

    Item Reviewed: সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আযীমুশ শান সম্মানিত নিসবতে আযীম শরীফ সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বেমেছাল সম্মানিত সৌন্দর্য মুবারক ও শ্রেষ্ঠত্ব মুবারক Rating: 5 Reviewed By: Baitul Hikmah
    Scroll to Top