বাংলাদেশে যত মানুষ আছে তার প্রায় অর্ধেকেই হচ্ছে মহিলা। প্রায় ২০ কোটি জনগণের শতকরা ৯৮ ভাগই মুসলমান। আর এই ২০ কোটি মুসলমানের অর্ধেকের কাছাকাছি মহিলা। 
ওই মুসলিম দাবিকারী মহিলাদের কাছে প্রশ্ন রাখছি, কেন ইসলামের দুশমন, ইহুদী-নাছারা, বৌদ্ধ, হিন্দুদের কৃষ্টি-কালচারে নিজেদেরকে ভাসিয়ে দেয়া হচ্ছে? 
কেন লাক্স সুন্দরী, বিশ্বসুন্দরী প্রতিযোগিতায় নিজেদের বেপর্দা করা হচ্ছে?
কেন গান-বাজনা, নাচসহ অভিনয়, শো-বিজে নিজেদের ইজ্জতকে বিলীন করে পুরুষদের মনোরঞ্জন করা হচ্ছে? 
কেন হারাম খেলাধুলার নামে নিজেদেরকে বিবস্ত্র করে মহিলাত্বকে ডাস্টবিনে ছুঁড়ে দেয়া হচ্ছে?
 কেন অশ্লীল উপন্যাস, ম্যাগাজিনে, অশ্লীল ভঙ্গির ছবি ছাপিয়ে আনন্দবোধ করা হচ্ছে? 
কেন অবৈধ পন্থায় পার্ক, সিনেমা, রেস্তোরাঁসহ বিবিধ অনৈসলামিক রঙ্গনামায় তথা কুৎসিত অনুষ্ঠানগুলোতে পরপুরুষের সাথে জড়িয়ে নিজেদের প্রফুল্ল ভাবছে? 
হায়! মুসলিম মহিলা কী তাদের নারীত্বকে প্রগতির মহাসাগরে ভাসিয়ে দিবে? 
 না, এ হতে পারে না । 
 বিশ্ব ইতিহাসে মুসলিম মহিলারাই চমক লাগিয়ে দিয়েছে সভ্যতার, শিষ্টতার, জ্ঞান-বিজ্ঞানের, সামাজিকতার, অর্থনৈতিক, সমরনৈতিক, সাংসারিক, পারিবারিক, শিক্ষানৈতিক তথা জীবনের সর্বত্রই সফলতার চির আদর্শ। উনারা উজ্জ্বল নক্ষত্রের ন্যায় আজও জ্বলছেন। সুবহানাল্লাহ!
 কেনো তাহলে মুসলিম মহিলারা গাফিল থেকে নিজেদের চিরজাহান্নামী করে ? নাউযুবিল্লাহ!
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “নিশ্চয়ই আমার আওলাদগণ উনারা হযরত নূহ আলাইহিস সালাম উনার কিশতীর ন্যায়। যে ব্যক্তি উহাতে প্রবেশ করবে, সে নাজাত পাবে।” সুবহানাল্লাহ! (সিররুশ শাহাদাতাইন) 
 সাইয়্যিদাতুন নিসা, ছহিবাতু মুজাদ্দিদে আ’যম, সাইয়্যিদা মুহতারামা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি আলোচ্য পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে পরিপূর্ণ মিছদাক্ব। তিনি হচ্ছেন খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খাছ আওলাদ তথা আওলাদে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। উনার মুবারক ধমনীতে নূরে মুজাস্সাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার রক্ত মুবারক প্রবাহিত। তিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পক্ষ থেকে তামাম কায়িনাতের তরে এক বেমেছাল নূর মুবারক। এই মুবারক নূরের রৌশনে বিদূরিত হয় জাহিলিয়াত। প্রচারিত হয় হাক্বীক্বী ইসলামিয়াত। এই মুবারক নূরের দর্শনে বা ছোহবতে অর্জিত হয় নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার হাক্বীক্বী ফয়েজ-তাওয়াজ্জুহ, আরো হাছিল হয় মহান বারি তায়ালা উনার মুবারক মা’রিফাত মুহব্বত, মুবারক নিসবত-কুরবত।
  সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি হচ্ছেন খাজিনাতুর রহমাহ। তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিয়ামত সম্ভারের বিকাশ স্থল। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনাকে জাহিরী বাতিনী উভয় প্রকার নাজ-নিয়ামত মুবারক দ্বারা সুষমামন্ডিত করেছেন। তিনি উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ হযরত ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনার পরিপূর্ণ ক্বায়িম-মক্বাম। সুবহানাল্লাহ!
খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি উনাকে ইলমে ফিক্বাহ ও ইলমে তাছাউফের সর্বোচ্চ মাক্বামে অধিষ্ঠিত করেছেন। উনার মুবারক ছোহবত ইখতিয়ারের মাধ্যমে মহিলাকুল জাহিরী-বাতিনী সমস্ত প্রকার ইলমে ধনী হয়। 
তারা খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের হাক্বীক্বী সন্তুষ্টি মুবারক, রেযামন্দি মুবারক হাছিল করে। মা’রিফাত রাজ্যে উনার পরিপূর্ণ শাহেন শাহী।
 উনার মুবারক তাওয়াজ্জুর বদৌলতে জিন-ইনসান মহান আল্লাহ পাক উনার আরিফ, আবদাল, কুতুব ও ওলীতে পরিণত হয়।
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি হচ্ছেন বর্তমান যামানার ইমাম মুজাদ্দিদে আ’যম মামদূহ হযরত মুর্শিদ আলাইহিস সালাম উনার আহলিয়া। তিনি উনার সমস্ত প্রকার নিয়ামত দ্বারা ধন্য হয়েছেন। তিনি হচ্ছেন বর্তমান বিশ্বের মহিলাকুলের তরে স্বয়ং ইলাহী তোহফা। 
খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “উনার পদাঙ্ক অনুসরণ করো, যিনি আমার দিকে রুজু হয়েছেন।”
অর্থাৎ তুমি উনার মুবারক ছোহবত শরীফ ইখতিয়ার করো, অনুসরণ অনুকরণ করো, যিনি আমার দিকে রুজু হয়েছেন তথা আল্লাহওয়ালা, আল্লাহওয়ালী হয়েছেন। 
মূলত, আল্লাহওয়ালা-আল্লাহওয়ালী উনাদের মুবারক ছোহবতের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা এতো বেশি যে, তা ভাষায় প্রকাশ করা অসম্ভব। কেননা উনাদের ছোহবত মুবারক ইখতিয়ারের মাধ্যম দিয়ে একজন বদকার, গুনাহগার, ফাসিক নাফরমান এমনকি বেদ্বীন-বদদ্বীনও খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের সন্তুষ্টি-রেযামন্দি মুবারক হাছিল করতে পারে, খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার ওলী হতে পারেন। সুবহানাল্লাহ!
সেজন্য কিতাবে উল্লেখ করা হয়, “ছোহবত (সঙ্গ) তাছীর করে।” অর্থাৎ বদকারের ছোহবতে থাকলে বদকার হয় এবং নেককারের ছোহবতে থাকলে নেককার তথা আল্লাহওয়ালা, আল্লাহওয়ালী হয়। 
এ কারণেই হযরত শায়েখ সা’দী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “ভালো ছোহবত মানুষকে ভালো করে দেয়, আর বদ ছোহবত মানুষকে বদকার বানিয়ে দেয়।”
খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার জলীলুল ক্বদর রসূল হযরত নূহ আলাইহিস সালাম উনার সন্তান কেনান কাফির-মুশরিকদের ছোহবতে থাকার কারণে কাফির মুশরিক হয়ে মারা যায়। 
আর আসহাবে কাহাফের কুকুর ওলীআল্লাহগণ উনাদের ছোহবতে থাকার কারণে পরকালে মালউন দরবেশ বালআম বিন বাউরার ছূরতে বেহেশতে যাবে। সুতরাং এই আলোচনার মাধ্যমেই এ কথা সুস্পষ্ট হয়ে উঠলো যে, ছোহবতের গুরুত্ব অপরিসীম।
সাইয়্যিদাতুন নিসা, আফযালুন নিসা, হাবীবাতুল্লাহ হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বর্তমান যামানার মুজাদ্দিদ, আল-মুজাদ্দিদুল আ’যম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার মুবারক যাওজাতুম মুকাররমাহ (সহধর্মিণী) হয়ে জাহানের সমস্ত মহিলাদেরকে খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের দিকে আহবান করছেন।
তিনি হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের ক্বায়িম-মাক্বাম হয়ে মু’মিনাদেরকে পবিত্র মা’রিফাতে ইলাহী দান করছেন। 
পবিত্র আমল-আখলাক্ব ও পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার বহির্ভূত মহিলা জাতির নাজাতের ঠিকানা উনার মুবারক ছোহবতেই রয়েছে। উনার মুবারক ছোহবত অর্জন করে মহিলা সমাজ আল্লাহওয়ালীতে পরিণত হচ্ছে। সবার জন্য উনার ছোহবত অত্যাবশ্যক।
উনার মুবারক ছোহবত লাভে যাঁরাই ধন্য হবেন, তারাই ইহকাল ও পরকালে খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে হাছিল করতে পারবে। 
হে মহিলা সমাজ! আপনারা সবাই উনার মুবারক ছোহবতের মাধ্যমে কামিয়াবী হাছিল করুন।
বর্তমান মুসলিমারা যখন সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার মুবারক তাজদীদী কাফিলায় দাখিল হচ্ছে, উনার পবিত্র ছোহবতে তেজোদ্দীপ্ত কণ্ঠে নূরানী মুবারক বয়ান শুনে---
 বদ আক্বীদাসম্পন্নদের আক্বীদা শুদ্ধ হচ্ছে, 
বেনামাযী নামাযী হচ্ছে, বেপর্দা পর্দানশীন হচ্ছে, 
বেহায়া হায়া পাচ্ছে, 
বেআমল আমলদার হচ্ছে, 
একজন সাধারণ শিক্ষিতা মহিলাও আলিমাতে পরিণত হচ্ছে,
 এক কথায় উনার মুবারক ছোহবতে মহিলারা যখন হাক্বীক্বী আল্লাহওয়ালীতে পরিণত হচ্ছে, সাথে সাথে উনার তাজদীদী কাজে শরীক হয়ে সমস্ত মুসলিমা মা-বোনদের হক্বের দাওয়াত দিচ্ছে; আমাদের তথা মুসলিমাদের রাহগীর, মুসলিমাদের হাদী হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার সম্পর্কে মা-বোনদের অবহিত করছে, বাতিলপন্থী তথা ইবলিসের অনুসারীদেরকে চিহ্নিত করে দিচ্ছে। 
তখন ইবলিশ ও ইবলিসের অনুসারী উলামায়ে ‘সূ’ তথা বাতিলপন্থীদের মাথা খারাপ হয়ে যাচ্ছে। সর্বনাশ! পুরুষের সাথে সাথে আজ মহিলারাও বুঝি ইবলিসের শয়তানী জাল থেকে ছুটে যাচ্ছে। মহিলারাও আজ ওলীআল্লাহ হয়ে যাচ্ছে, ইবলিস ও তার অনুসারীদের এতদিনের পরিশ্রম যেন প-শ্রম হতে যাচ্ছে। তাই কিভাবে উনার অনিষ্ট সাধন করা যায়, কিভাবে মহিলাদের কাছে উনার কুৎসা রটনা করে উনার কাছ থেকে হটানো যায়, সেই কুচিন্তা-ফিকিরে ইবলিসেরও বড় ইবলিস দুনিয়ার সবচেয়ে নিকৃষ্ট প্রাণী তথা উলামায়ে ‘সূ’দের আর ঘুম হচ্ছে না। দুনিয়ার সবচেয়ে নিকৃষ্ট প্রাণী তথা উলামায়ে ‘সূ’দের কার্যকলাপ দেখে হঠাৎ একটি প্রবাদ মনে পড়লো। 
প্রবাদটি হচ্ছে, 
‘পেঁচা রাষ্ট্র করে দেয় পেলে কোনো ছুতা,
জানে না আমার সাথে সূর্যের শত্রুতা।’
দিবসের প্রখর সূর্যালোক কোঁরবাসী পেঁচার কাছে অসহ্য। তাই সে দিবালোকে কোঁরের অন্ধকার গুহায় আত্মগোপন করার জন্য সে সোচ্চার কণ্ঠে প্রচার করে যে, সূর্যের সঙ্গে তার চিরশত্রুতা। 
মূলত, এই সমস্ত পেঁচুক স্বভাবের উলামায়ে ‘সূ’রা সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার এমন আলীশান মুবারক তাজদীদ, উনার এই শ্রেষ্ঠত্ব সহ্য করতে পারে না। 
সেজন্য উনার সমালোচনায় মুখর হয়ে উঠছে। উনার কুৎসা রটনায় মেতে উঠছে। হিংসাকাতর এই সমস্ত নাদান-আহমকের দল নিজেদের সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে সম্পূর্ণ অচেতন। 
ইহুদীদের পাচাঁটা গোলাম এই সমস্ত উলামায়ে ‘সূ’রা জানে তারা কোনোদিনই সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার সীমাহীন মর্যাদার লেশমাত্রও কমাতে পারবে না।
 এরপরেও তারা উনার মর্যাদা তথা শ্রেষ্ঠত্ব ভূলুণ্ঠিত করতে চায়। তবে এই সমস্ত নিন্দুকের দল, গুমরাহর দল, ভন্ডের দল উলামায়ে ‘সূ’দের জেনে রাখা দরকার, তারা তাদের এ ব্যর্থ লম্ফ-ঝম্প আর হুঙ্কার দিয়ে কোনোদিনই উনার সুমহান শান-মান, মর্যাদা আর মুবারক তাজদীদ মুবারকের জ্যোতিকে ম্লান করতে পারবে না। 
তাদের এই ব্যর্থ প্রচেষ্টায় তারা কস্মিনকালেও সফল হতে পারবে না। বরং তারা নিজেরাই কলঙ্কিত হবে। এই সমস্ত পেঁচুক স্বভাবের উলামায়ে ‘সূ’রা চিরকালই অন্ধকারে তথা কুফরী-শিরকীতে লিপ্ত থাকবে। চিরকালই এরা হবে লা’নতগ্রস্ত, লাঞ্ছিত, অপমানিত, ধিকৃত। 
কেননা স্বয়ং মহান রব্বুল ইজ্জত মহান রব্বুল আলামীন, মহাপরাক্রমশালী মহান আল্লাহ পাক জাল্লা শানূহু তিনি এবং উনার রসূল, হযরত নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, হযরত রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল, দো’জাহানের সর্দার, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনিই সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনাকে শ্রেষ্ঠ মাক্বামিয়াতে উপনীত করে লব্ধ নিয়ামতে ভরপুর করেন। 
মহান আল্লাহ পাক উনার ও উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রিয় হাবীবা করে, দো’জাহানের সুলত্বানা করে, বর্তমান মুসলিমা মহিলাদের রাহগীর তথা হাদী হিসেবে এবং হযরত মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার পরম পবিত্রা যাওাতু মুকাররমাহ তথা সঙ্গিনী হিসেবে মনোনীত করেছেন। 
বর্তমানে তিনি-ই হচ্ছেন উম্মুল মু’মিনীন আল উলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম এবং উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ সাইয়্যিদাতুনা হযরত আয়িশা ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনাদের হাক্বীক্বী ক্বায়িম-মাক্বাম তথা উত্তরসূরী।
অতএব, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের উত্তরসূরী হয়ে তিনি উনার তাজদীদী কাজ বহাল তবিয়তে করে যাচ্ছেন এবং করেই যাবেন। তিনিই মহিলা জাতির মর্যাদার প্রতীক।
খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি সমস্ত মুসলিমাদেরকে বর্তমান যামানার মুসলিমাদের রাহগীর সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার মুবারক সান্নিধ্যে এসে হাক্বীক্বী ইছলাহ হাছিল করে খালিছ মু’মিনা হওয়ার এবং হক্বের উপর ইস্তিকামত থাকার তাওফীক ইনায়েত করুন। (আমীন) (ওয়ামা তাওফিকি ইল্লা বিল্লাহ) 
 
 
 
 
 
 
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন