যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইউস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, ক্বইয়ূমুয যামান, জাব্বারিউল আউওয়াল, ক্বউইয়্যূল আউওয়াল, সুলত্বানুন নাছীর, হাবীবুল্লাহ, জামিউল আলক্বাব, আওলাদে রসূল, মাওলানা সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, “যে ব্যক্তি একটি নেকী করবে তাকে উনার বিনিময়ে কমপক্ষে দশটি ছওয়াব দেয়া হবে।” 
অর্থাৎ আমভাবে এক টাকা দান বা খরচ করলে দশ টাকা দান বা খরচ করার ফযীলত পাওয়া যায়। 
মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য উনার রাস্তায় খরচ করার ফযীলত সম্পর্কে তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন, “মহান আল্লাহ পাক উনার রাস্তায় খরচ করার মেছাল হচ্ছে- যেমন, একটি বীজ থেকে সাতটি শীষযুক্ত গাছ উৎপন্ন হলো। প্রতিটি শীষে একশটি করে বীজ বা দানা উৎপন্ন হলো অর্থাৎ সাতটি শীষে ৭০০টি বীজ বা দানা উৎপন্ন হলো, মহান আল্লাহ পাক তিনি যাকে ইচ্ছা এর চেয়ে বহুগুণ বেশি দিয়ে থাকেন। মহান আল্লাহ পাক তিনি প্রাচুর্যদানকারী ও অধিক জ্ঞানী।” 
এ পবিত্র আয়াত শরীফ উনার দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, মহান আল্লাহ পাক উনার রাস্তায় খরচ করার ফযীলত হচ্ছে- একে সাত শতগুণ। তবে নিয়ত বা খুলূছিয়তের কারণে কম-বেশি হতে পারে। সুবহানাল্লাহ!
মুজাদ্দিদে আ’যম, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, প্রত্যেক ঈমানদার বান্দা-বান্দী ও উম্মতের জন্য ফরয হলো, মহান আল্লাহ পাক সুবহানাহূ ওয়া তায়ালা উনার এবং উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদেরকে সন্তুষ্ট ও মুহব্বত মুবারক করা। 
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে কিরূপ মুহব্বত করতে হবে সে প্রসঙ্গে তিনি নিজেই ইরশাদ মুবারক করেন- “তোমাদের কেউ ততক্ষণ পর্যন্ত মু’মিন হতে পারবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত সে তার পিতা-মাতা, সন্তান-সন্তুতি এবং সমস্ত মানুষ অপেক্ষা আমাকে বেশি মুহব্বত না করবে।” অপর এক বর্ণনায় রয়েছে, “তার মাল ও জান অপেক্ষা বেশি মুহব্বত না করবে।” 
এ পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার বাস্তব প্রতিফলন আমরা দেখতে পাই হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের মধ্যে। উনারা উনাদের সবকিছু থেকে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে মুহব্বত করেছেন। উনার মুবারক খিদমতে উনারা উনাদের সর্বস্ব কুরবানী করে দিয়েছেন। একদিকে মাল, আরেকদিকে জান উৎসর্গ করতে উনারা কোনোরূপ দ্বিধা করেননি। যার ফলে মহান আল্লাহ পাক তিনি ও উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা খুশি হয়ে উনাদের প্রতি সন্তুষ্টি মুবারক ঘোষণা করেন। সুবহানাল্লাহ!
মুজাদ্দিদে আ’যম, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, তাহলে বুঝা যায়- মহান আল্লাহ পাক উনার যিনি হাবীব ও রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার জন্য অর্থাৎ পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উপলক্ষে ব্যয় বা খরচ করলে উনারা কতো খুশি হবেন! 
তাই বলা হয়েছে, পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উপলক্ষে মাত্র এক দিরহাম খরচ করার অর্থ হচ্ছে- নিশ্চিতরূপে জান্নাত লাভ করা। সুবহনাল্লাহ! 
এ প্রসঙ্গে বিশ্ব সমাদৃত ও সুপ্রসিদ্ধ পবিত্র মীলাদ শরীফ উনার কিতাব “আন নি’য়ামাতুল কুবরা আলাল আলাম ফী মাওলিদি সাইয়্যিদি ওয়ালা আদম” শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে, আফদ্বালুন নাস বা’দাল আম্বিয়া, খলীফাতু রসূলিল্লাহ সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, “যে ব্যক্তি পবিত্র মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অর্থাৎ পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উপলক্ষে এক দিরহাম ব্যয় করবে, সে জান্নাতে আমার বন্ধু হয়ে থাকবে।” সুবহানাল্লাহ! 
আর আমীরুল মু’মিনীন সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, “যে ব্যক্তি পবিত্র মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অর্থাৎ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উপলক্ষে এক দিরহাম খরচ করলো, সে যেন বদর ও হুনাইন জিহাদে শরীক থাকলো।” সুবহানাল্লাহ!
মুজাদ্দিদে আ’যম, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মূলকথা হলো- পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উপলক্ষে যে ব্যক্তি এক দিরহাম খরচ করবে, সে হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনার সাথে জান্নাতে থাকবে, বদর ও হুনাইন জিহাদে শরীক থাকার ফযীলত পাবে, উহুদ পাহাড় পরিমাণ স্বর্ণ দান করার ফযীলত লাভ করবে। তাই সকলের জন্য দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে- পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উপলক্ষে সাধ্য-সামর্থ্য অনুযায়ী খরচ করা বা খিদমতের আঞ্জাম দেয়া।    -০-
 

 
 
 
 
 
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন