728x90 AdSpace

  • Latest News

    শতকরা ৯৮ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত দেশের সরকারের জন্য ফরয হচ্ছে- ছবির ব্যবহার নিষিদ্ধ করা এবং ছবি সংশ্লিষ্ট সব বিষয় থেকে মুসলমান উনাদের বিরত রাখা।

    নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “প্রত্যেক ছবি তুলনেওয়ালা ও তোলানেওয়ালা জাহান্নামী।”

    পবিত্র কুরআন শরীফ উনার ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের দ্বারা ছবি তোলা ও আঁকা হারাম প্রমাণিত। কাজেই যতক্ষণ সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার নির্দেশ মুবারক মেনে ছবি তোলা, আঁকা, রাখা বন্ধ না করবে, ততক্ষণ পর্যন্ত শুধু নারী নির্যাতন, খুন-খারাবী ও কথিত নারীটিজিং বন্ধ কেন; মূলত কোনো অধিকারই সমুন্নত হবে না।

    উল্লেখ্য, হারাম ছবিভিত্তিক দেশী সিনেমা, ভারতীয় সিনেমা, টিভি চ্যানেলে ও বিলবোর্ডে প্রদর্শিত অবাধ অশ্লীল ছবি, মোবাইল পর্নো, অশ্লীল প্রিন্ট ছবির অনুশীলনই নারী নির্যাতন, খুন-খারাবী ও নারীটিজিংসহ সব অপকর্মের আসল কারণ। 

    অতএব, এক্ষেত্রে শতকরা ৯৮ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত দেশের সরকারের জন্য ফরয হচ্ছে- ছবির ব্যবহার নিষিদ্ধ করা এবং ছবি সংশ্লিষ্ট সব বিষয় থেকে মুসলমান উনাদের বিরত রাখা।



    যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইউস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, ক্বইয়ূমুয যামান, জাব্বারিউল আউওয়াল, ক্বউইয়্যূল আউওয়াল, সুলত্বানুন নাছীর, হাবীবুল্লাহ, জামিউল আলক্বাব, আওলাদে রসূল, মাওলানা সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “যমীনে এবং পানিতে যত ফিতনা-ফাসাদ (কথিত নারীটিজিং, নারীর অধিকার হরণ, নারীর সম্ভ্রম লুণ্ঠন, দুর্ভিক্ষ, খাদ্যাভাব, সহিংসতা, সামাজিক অস্থিরতা, হরতাল-অবরোধ) তথা আযাব-গযব সব মানুষের হাতের কামাই।”

     আজকে কথিত ইসলামী মহল ছাড়াও তথাকথিত সাধারণ শিক্ষিত সমাজেও ছবিভিত্তিক টিভি চ্যানেলের অশ্লীলতার বিরুদ্ধে কথা উঠেছে । পেপার-পত্রিকায় কবি-সাহিত্যিক, কথিত বুদ্ধিজীবীরাও অকপটে তা স্বীকার করেছে।
     
    মুজাদ্দিদে আ’যম, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, বর্তমানে নারীটিজিং বা অশ্লীলতা সমাজের একটা মারাত্মক সমস্যা। আমাদের দেশ এমন পর্যায়ে ছিল না। আমাদের সমাজে নারীর প্রতি যে সদ্ব্যবহার ছিল তা কমে যাচ্ছে । বিজাতীয় সংস্কৃতির প্রভাবে এমন হচ্ছে । হিন্দি সিনেমা, ইংরেজি ছবির অশ্লীল দৃশ্য ছোট-বড় পর্দায় প্রদর্শন করা হচ্ছে । হিন্দি, ইংরেজি এমনকি বাংলা সিনেমাতেও নারীটিজিংয়ের দৃশ্য এমনভাবে প্রদর্শন করা হচ্ছে- যেন এটা খুবই ভালো কাজ। নাউযুবিল্লাহ!

    মুজাদ্দিদে আ’যম, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, পর্যালোচনায় জানা গেছে, আমাদের আধুনিক কবিতা গল্প সাহিত্য নাটক সিনেমার ৯০ ভাগ জুড়ে এখন তরুণ-তরুণীর অশ্লীলতার ছড়াছড়ি । এছাড়া নারীটিজিংকে তথাকথিত বড় এক শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গেছে বিভ্রান্ত তরুণ নির্মাতারা । আর পর্দায় এসব দেখেই কোমলমতি ছেলেরা নারীটিজিং শিখে । নাউযুবিল্লাহ! 

    আর এসবের মূলে রয়েছে হারাম ছবি। তাই সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত ছবি থেকে বিরত থাকতে কঠোরভাবে নির্দেশ মুবারক দিয়েছে।

    মুজাদ্দিদে আ’যম, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, সমাজে শুধু নারীটিজিং নয়; পরকীয়া, খুন, নারীর অধিকার হরণ, নারীর সম্ভ্রম লুণ্ঠন, সামাজিক অস্থিরতাসহ সব অপকর্ম কখনোই দূর হবে না; যতক্ষণ পর্যন্ত পবিত্র কুরআন শরীফ উনার ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদে মধ্যে ঘোষিত ‘ছবি তোলা হারাম’- এ মূল্যবোধের জাগরণ না ঘটবে। 


    কাজেই এদেশের ৯৮ ভাগ অধিবাসী মুসলমান উনাদের মৌলিক অধিকার এই যে, সরকার তাদেরকে এমন একটা পরিবেশ দিবে, যেখানে ছবি তোলা ও দেখার মতো কবীরা গুনাহর সুযোগ থাকবে না । চর্চা থাকবে না । পাশাপাশি মুসলমান উনারা যেহেতু পরকালে বিশ্বাসী; সেহেতু মুসলমান উনাদের পারলৌকিক কল্যাণ সাধনের দায়িত্বও সরকারের। 
    • Blogger Comments
    • Facebook Comments

    0 মন্তব্য(গুলি):

    একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

    Item Reviewed: শতকরা ৯৮ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত দেশের সরকারের জন্য ফরয হচ্ছে- ছবির ব্যবহার নিষিদ্ধ করা এবং ছবি সংশ্লিষ্ট সব বিষয় থেকে মুসলমান উনাদের বিরত রাখা। Rating: 5 Reviewed By: Unknown
    Scroll to Top