মুজাদ্দিদে আ’যম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ আলাইহিছ ছলাতু ওয়াস সালাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আল ঊলা আলাইহাস সালাম তিনি হচ্ছেন হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের মধ্যে ঊলা বা প্রথমা, কুবরা বা মূল, বড়।” সুবহানাল্লাহ!
মুজাদ্দিদে আ’যম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ আলাইহিছ ছলাতু ওয়াস সালাম তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন, “সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আল ঊলা আলাইহাস সালাম তিনি হচ্ছেন হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের এবং মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের প্রত্যেকের মূল। সুবহানাল্লাহ! আমার নিকট মনে হয়, যেন তিনি সম্পূর্ণ সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনাকে পরিপূর্ণরূপে আঁকড়িয়ে ধরে রেখেছেন। উনার সম্মানার্থেই সম্মানিত দ্বীন ইসলাম টিকে রয়েছে।” সুবহানাল্লাহ!
এখন উপরোক্ত বিষয়ে দলীলভিত্তিক আলোচনা করা হবে ইনশাআল্লাহ!
মুজাদ্দিদে আ’যম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ আলাইহিছ ছলাতু ওয়াস সালাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আল ঊলা আলাইহাস সালাম তিনি আমাকে উনার শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক আলোচনা মুবারক করার জন্য বলেছেন। তিনি বলেছেন, আমি যেন, উনার শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক সম্পর্কে আলোচনা করি। সুবহানাল্লাহ!
তখন আমি বললাম, (বিনয় প্রকাশার্থে মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বললেন,) আমার তো আপনার শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক সম্পর্কে তেমন কিছুই জানা নেই। তখন তিনি আমাকে বললেন, যতটুকু জানা রয়েছে, ততটুকুই যেন আমি আলোচনা মুবারক করি। সুবহানাল্লাহ!
তারপর থেকে আমি একাধারে পাঁচ জুমুয়াহ শরীফ-এ উনার শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান সম্পর্কে আলোচনা মুবারক করি।” সুবহানাল্লাহ!
মূলত, মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অর্থাৎ উনাদের পর আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুজাদ্দিদে আ’যম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ আলাইহিছ ছলাতু ওয়াস সালাম তিনিই উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আল ঊলা আলাইহাস সালাম উনার সর্বোত্তম ছানা-ছিফত মুবারক বর্ণনা করেছেন, উনার শান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক প্রকাশ করেছেন। সুবহানাল্লাহ!
উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আল ঊলা আলাইহাস সালাম তিনি হচ্ছেন হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের মধ্যে ঊলা বা প্রথমা:
উম্মুল মু’মিনীন আল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম তিনি হচ্ছেন হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের মধ্যে ‘ঊলা বা প্রথমা’। সুবহানাল্লাহ! নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের মধ্যে উম্মুল মু’মিনীন আল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম উনাকেই সর্বপ্রথম উম্মুল মু’মিনীন হিসেবে গ্রহণ করেছেন। সুবহানাল্লাহ! আর উম্মুল মু’মিনীন আল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম তিনি বেমেছালভাবে একাধারে প্রায় ২৫ বছর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত খিদমত মুবারক উনার আনজাম মুবারক দিয়েছেন। সুবহানাল্লাহ! তিনি যতদিন দুনিয়ার যমীনে অবস্থান মুবারক করেছেন, ততদিন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অন্য কোনো উম্মুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদেরকে গ্রহণ করেননি। সুবহানাল্লাহ! এই সম্পর্কে সম্মানিত ও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে,
সম্মানিত ও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে,
عَنْ اُم المؤمنين حَضْرَتْ عَائِشَةَ الصديقة عليها السلام قَالَتْ كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا ذَكَرَ حَضْرَتْ خَدِيجَةَ عليها السلام أَثْنَى عَلَيْهَا فَأَحْسَنَ الثَّنَاءَ، قَالَتْ فَغِرْتُ يَوْمًا فَقُلْتُ مَا أَكْثَرَ مَا تَذْكُرُهَا حَمْرَاءَ الشِّدْقِ قَدْ أَبْدَلَكَ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ بِهَا خَيْرًا مِنْهَا، قَالَ مَا أَبْدَلَنِي اللهُ عَزَّ وَجَلَّ خَيْرًا مِنْهَا، قَدْ آمَنَتْ بِي إِذْ كَفَرَ بِي النَّاسُ وَصَدَّقَتْنِي إِذْ كَذَّبَنِي النَّاسُ وَوَاسَتْنِي بِمَالِهَا إِذْ حَرَمَنِي النَّاسُ، وَرَزَقَنِي اللهُ عَزَّ وَجَلَّ وَلَدَهَا إِذْ حَرَمَنِي أَوْلَادَ النِّسَاءِ
অর্থ: “উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছিদ্দীক্বাহ আলাইহাস সালাম উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যখন উম্মুল মু’মিনীন আল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত আলোচনা মুবারক করতেন, উনার সম্মানিত ছানা-ছিফত মুবারক করতেন, তখন উনার সর্বোত্তম ছানা-ছিফত মুবারক করতেন। সুবহানাল্লাহ! (এতো অধিক এবং সর্বোত্তম ছানা-ছিফত মুবারক করতেন, যেটা অন্য কোনো উম্মুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের শানে বা অন্য কারো শানে করতেন না। সুবহানাল্লাহ! একদিন আমি বিস্ময় প্রকাশ করলাম, (উনার শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক উনার বিষয়টি স্পষ্ট করার জন্য আমি বললাম,) উনার এতো ছানা-ছিফত মুবারক, এতো প্রশংসা। তিনি তো অতীত হয়ে গেছেন এবং তিনি তো অনেক বয়স্কা ছিলেন। মহান আল্লাহ পাক তিনি তো এখন আপনাকে উনার চেয়ে উত্তম অনেক উম্মুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদেরকে হাদিয়া মুবারক করেছেন। তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, উনার থেকে উত্তম কোনো উম্মুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদেরকে মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাকে হাদিয়া মুবারক করেননি। সুবহানাল্লাহ! মানুষ যখন আমাকে অস্বীকার করেছে, ঈমান আনেনি, তখন তিনি সর্বপ্রথম আমার প্রতি ঈমান মুবারক এনেছেন। সুবহানাল্লাহ! মানুষ যখন আমার বিষয় মুবারকগুলোকে সত্যারোপ করতে পারেনি, তিনি কিন্তু আমাকে সত্যারোপ করেছেন, আমাকে তাছদীক্ব করেছেন, আমার বিষয় মুবারকগুলো বিশ্বাস করেছেন, সত্য বলে গ্রহণ করেছেন। সুবহানাল্লাহ! মানুষ যখন আমার কোনো সম্মানিত খিদমত মুবারক উনার আনজাম মুবারক দেয়নি, তখন তিনি উনার সমস্ত মাল-সম্পদ দিয়ে আমার সম্মানিত খিদমত মুবারক উনার আনজাম মুবারক দিয়েছেন, আমাকে সান্তনা মুবারক দিয়েছেন এবং মহান আল্লাহ পাক তিনি উম্মুল মু’মিনীন আল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম তিনি ব্যতীত অন্য কোনো উম্মুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের মাধ্যম দিয়ে আমার সম্মানিত নসব মুবারক জারি করেননি, আমাকে আওলাদ আলাইহিমুস সালাম, আওলাদ আলাইহিন্নাস সালাম উনাদেরকে হাদিয়া মুবারক করেননি। অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক তিনি একমাত্র উম্মুল মু’মিনীন আল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম উনার মাধ্যম দিয়েই আমার সম্মানিত নসব মুবারক জারি করেছেন, আমাকে সম্মানিত আওলাদ আলাইহিমুস সালাম ও সম্মানিত আওলাদ আলাইহিন্নাস সালাম উনাদেরকে সম্মানিত হাদিয়া মুবারক করেছেন।” সুবহানাল্লাহ! (মুসনাদে আহমদ শরীফ)
সম্মানিত ও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে,
عَنْ ام المؤمنين حضرت عَائِشَةَ الصديقة عليها السلام قَالَتْ مَا غِرْتُ عَلَى أَحَدٍ مِنْ نِسَاءِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا غِرْتُ عَلَى خَدِيجَةَ وَمَا رَأَيْتُهَا وَلَكِنْ كَانَ يُكْثِرُ ذِكْرَهَا وَرُبَّمَا ذَبَحَ الشَّاةَ ثُمَّ يُقَطِّعُهَا أَعْضَاءً ثُمَّ يَبْعَثُهَا فِي صدائق خَدِيجَة فَرُبَّمَا قُلْتُ لَهُ كَأَنَّهُ لَمْ يَكُنْ فِي الدُّنْيَا امْرَأَةٌ إِلَّا خَدِيجَةُ فَيَقُولُ إِنَّهَا كَانَتْ وَكَانَتْ وَكَانَ لِي مِنْهَا وَلَدٌ.
অর্থ: “উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছিদ্দীক্বাহ আলাইহাস সালাম উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, উম্মুল মু’মিনীন আল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম উনার ব্যাপারে আমার যতটা বিস্ময় হয়, আমি যতটা বিস্ময় প্রকাশ করতাম, ততটা বিস্ময় প্রকাশ অপর কোনো উম্মুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের প্রতি আমি করতাম না। অথচ উনাকে আমি দেখিনি। কিন্তু (বিস্ময় প্রকাশ করার কারণ ছিলো এই যে, সম্মানিত মদীনা শরীফ-এ তাশরীফ মুবারক নেয়ার পরেও) সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সবসময় দায়িমীভাবে উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আল ঊলা কুবরা আলাইহাস সালাম উনার কথা তথা উনার খুছূছিয়াত-বৈশিষ্ট্য মুবারক, শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক সম্পর্কে আলোচনা মুবারক করতেন। সুবহানাল্লাহ! প্রায় সময় যখন খাসী যবাই করতেন, তখন সেই খাসীর কিছু অংশ মুবারক কেটে উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আল ঊলা কুবরা আলাইহাস সালাম উনার যারা মুহব্বতকারিণী ছিলেন, উনার যারা খিদমতের আনজাম দিতেন উনাদের কাছে (হাদিয়াস্বরূপ) পাঠিয়ে দিতেন। সুবহানাল্লাহ! আমি কখনো কখনো নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে বলতাম, মনে হয় যেন যমীনে একমাত্র উম্মুল মু’মিনীন আল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম তিনি ব্যতীত অন্য কোনো উম্মুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা নেই। তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি জবাবে ইরশাদ মুবারক করতেন, নিশ্চয়ই তিনি এরূপ, এরূপই ছিলেন। সুবহানাল্লাহ! আর উনার থেকেই আমার সম্মানিত আওলাদ আলাইহিমুস সালাম ও আলাইহিন্নাস সালাম উনারা তাশরীফ মুবারক এনেছেন এবং উনার মাধ্যম দিয়েই আমার সম্মানিত নসব মুবারক দুনিয়ার যমীনে জারী থাকবে।” সুবহানাল্লাহ! (বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ, মিশকাত শরীফ)
প্রথমোক্ত সম্মানিত ও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি স্পষ্টভাবে ইরশাদ মুবারক করেছেন,
مَا أَبْدَلَنِي اللهُ عَزَّ وَجَلَّ خَيْرًا مِنْهَا
অর্থ: “মহান আল্লাহ পাক তিনি উম্মুল মু’মিনীন আল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম উনার থেকে উত্তম কোনো উম্মুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদেরকে আমাকে হাদিয়া মুবারক করেননি।” সুবহানাল্লাহ!
দ্বিতীয় সম্মানিত ও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে,
قُلْتُ لَهُ كَأَنَّهُ لَمْ يَكُنْ فِي الدُّنْيَا امْرَأَةٌ إِلَّا خَدِيجَةُ فَيَقُولُ إِنَّهَا كَانَتْ وَكَانَتْ وَكَانَ لِي مِنْهَا وَلَدٌ.
অর্থ: “(উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম তিনি বলেন,) আমি কখনো কখনো নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে বলতাম, মনে হয় যেন যমীনে একমাত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আল ঊলা কুবরা আলাইহাস সালাম তিনি ব্যতীত অন্য কোনো উম্মুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা নেই। তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি জবাবে ইরশাদ মুবারক করতেন, নিশ্চয়ই তিনি এরূপ, এরূপই ছিলেন।” সুবহানাল্লাহ!
সুতরাং উপরোক্ত সম্মানিত ও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের থেকে অত্যন্ত সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হলো যে, উম্মুল মু’মিনীন আল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম তিনি হচ্ছেন হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের মধ্যে কুবরা তথা মূল, বড়, মহান, শ্রেষ্ঠা। সুবহানাল্লাহ!
তাহলে উনার শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক কতো বেমেছাল, সেটা সকলের চিন্তা ও কল্পনার ঊর্ধ্বে। সুবহানাল্লাহ!
আমভাবে হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের ফযীলত-বুযূর্গী-সম্মান মুবারক সম্পর্কে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,
اَلنَّبِيُّ أَوْلَى بِالْمُؤْمِنِينَ مِنْ أَنْفُسِهِمْ وَأَزْوَاجُهُ أُمَّهَاتُهُمْ
অর্থ: “নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হচ্ছেন মু’মিন উনাদের নিকট তাদের জানের চেয়ে অধিক প্রিয় এবং উনার মহাসম্মানিতা ‘আযওয়াজুম মুত্বহহারাত’ (হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা) হচ্ছেন সমস্ত মু’মিনীনদের মাতা।” সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত সূরা আহযাব শরীফ, সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ: ৬)
এখন বলার বিষয় হচ্ছে, মু’মিন কারা?
মূলত, একমাত্র যিনি খলিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ব্যতীত হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনারাসহ সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সকলেই মু’মিনীন।
উনারা প্রত্যেকেই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি ঈমান এনেছেন। সুবহানাল্লাহ! কোনো হযরত নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে সম্মানিত নুবুওওয়াত মুবারক দেয়া হয়নি, কোনো হযরত রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে সম্মানিত রিসালাত মুবারক দেয়া হয়নি; যতক্ষণ পর্যন্ত না উনারা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি ঈমান এনেছেন। সুবহানাল্লাহ!
অর্থাৎ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি ঈমান আনার পরেই মহান আল্লাহ পাক তিনি সমস্ত হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে সম্মানিত নুবুওওয়াত মুবারক ও সম্মানিত রিসালাত মুবারক হাদিয়া মুবারক করেছেন।
তাহলে এখান থেকে স্পষ্ট হয়ে যায় যে, হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা হচ্ছেন একমাত্র যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অর্থাৎ উনারা ব্যতীত হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনারাসহ সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িানাতবাসী সকলেরই মহাসম্মানিতা মাতা আলাইহিন্নাস সালাম। সুবহানাল্লাহ!
আর সম্মানিত ও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে এসেছে,
اِنَّ الْـجَنَّةَ تَـحْتَ اَقْدَامِ اُمَّهَاتِكُمْ
অর্থ: “নিশ্চয়ই তোমাদের জন্নাত হচ্ছে তোমাদের মায়ের পায়ের নিচে।” সুবহানাল্লাহ!
তাহলে এখান থেকে দিবালোকের ন্যায় অত্যন্ত সুস্পষ্ট হয়ে গেলো যে, যেহেতু হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা হচ্ছেন একমাত্র যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অর্থাৎ উনারা ব্যতীত হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনারাসহ সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সকলেরই মহাসম্মানিতা মাতা। সুবহানাল্লাহ!
কাজেই উনাদের সম্মানিত শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক হচ্ছে একমাত্র যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অর্থাৎ উনারা ব্যতীত হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনারাসহ সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সকলের উপরে। সুবহানাল্লাহ! সুবহানাল্লাহ! সুবহানাল্লাহ!
আর এ জন্যই মুজাদ্দিদে আ’যম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ আলাইহিছ ছলাতু ওয়াস সালাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেছেন যে, হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা শুধু যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি নন এবং উনার হবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নন; এছাড়া যত শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক রয়েছে, সমস্ত কিছুর অধিকারিণী হচ্ছেন উনারা। সুবাহানাল্লাহ!
উনারা সম্মানিত নুবুওওয়াত-রিসালাত মুবারক উনাদের মূল। সুবহানাল্লাহ!
উনারা সম্মানিত নুবুওওয়াত-রিসালাত মুবারক উনার মুহতাজ নন; সম্মানিত নুবুওওয়াত-রিসালাত মুবারক-ই উনাদের মুহতাজ। সুবহানাল্লাহ!
এই সম্পর্কে সম্মানিত ও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে,
اَنَّ نَبِـىَّ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَقُوْلُ نَـحْنُ اَهْلُ بَيْتٍ طَهَّرَهُمُ اللهُ مِنْ شَجَرَةِ النُّبُوَّةِ وَمَوْضِعِ الرِّسَالَـةِ وَمُـخْتَلِفِ الْمَلَائِكَةِ وَبَيْتِ الرَّحْمَةِ وَمَعْدِنِ الْعِلْمِ.
অর্থ: “নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি প্রায় ইরশাদ মুবারক করতেন- আমরা মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম। সুবহানাল্লাহ! মহান আল্লাহ পাক তিনি মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস উনাদেরকে (আমাদেরকে) সম্মানিত নুবুওয়াত মুবারক উনার বৃক্ষ, সম্মানিত রিসালাত মুবারক উনার স্থান, বিভিন্ন ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদের, উনাদের দ্বারা সম্মানিত খিদমত মুবারক, সম্মানিত রহমত মুবারক উনার ঘর মুবারক এবং সম্মানিত ইলম মুবারক উনার খনি মুবারক (ইত্যাদি সমস্ত কিছু) থেকে পবিত্র রেখেছেন, ছমাদ তথা বেনিয়ায (অমুখাপেক্ষী) করেছেন।” সুবহানাল্লাহ! সুবহানাল্লাহ! সুবহানাল্লাহ! (তাফসীরে দুররে মানছূর লিস সুয়ূত্বী ৬/৬০৬, তাফসীরে ইবনে আবী হাতিম ৯/৩১৩৩)
মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা সম্মানিত নুবুওয়াত মুবারক, সম্মানিত রিসালাত মুবারক, বিভিন্ন ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদের, উনাদের দ্বারা সম্মানিত খিদমত মুবারক, সম্মানিত রহমত মুবারক উনার ঘর মুবারক এবং সম্মানিত ইলম মুবারক উনার খনি মুবারক ইত্যাদি সমস্ত কিছু থেকে পবিত্র, ছমাদ তথা বেনিয়ায। সুবহানাল্লাহ! সুবহানাল্লাহ! সুবহানাল্লাহ!
উনাদের কারণেই সম্মানিত নুবুওয়াত মুবারক, সম্মানিত রিসালাত মুবারক, সমস্ত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা, সম্মানিত রহমত মুবারক এবং সম্মানিত ইলম মুবারকসহ সমস্ত কিছুই ফযীলতপ্রাপ্ত হয়েছেন, সম্মানিত হয়েছেন।” সুবহানাল্লাহ!
তাহলে মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সম্মানিত শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক কত বেমেছাল, তা এখান থেকে স্পষ্ট হয়ে যায়। সুবহানাল্লাহ!
আর মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মধ্যে বিশেষ ব্যক্তিত্বা মুবারক হচ্ছেন হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা। সুবহানাল্লাহ!
আবার উনাদের মধ্যে উম্মুল মু’মিনীন আল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম তিনি হচ্ছেন ঊলা তথা প্রথমা, কুবরা মূল, বড়, মহান। সুবহানাল্লাহ! তাহলে উম্মুল মু’মিনীন আল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম উনার শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক কতো বেমেছাল, সেটা সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসীর চিন্তা ও কল্পনার ঊর্ধ্বে। সুবহানাল্লাহ!
উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আল ঊলা কুবরা আলাইহাস সালাম তিনি মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরও মূল:
উম্মুল মু’মিনীন আল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম তিনি হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের মূল এবং তিনি হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরও মূল সুবহানাল্লাহ!
সেটাই আমরা দেখতে পাই ইবনু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত আন নূরুর রাবি’ আলাইহিস সালাম তিনি ব্যতীত নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অন্য সকল হযরত আওলাদ আলাইহিমুস সালাম এবং আওলাদ আলাইহিন্নাস সালাম উনারা উম্মুল মু’মিনীন আল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম উনার মাধ্যমে সম্মানিত তাশরীফ মুবারক এনেছেন এবং একমাত্র উনার মাধ্যম দিয়েই ক্বিয়ামত পর্যন্ত নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত নসব মুবারক জারি থাকবেন।
সুবহানাল্লাহ! সেটাই সম্মানিত ও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে,
وَرَزَقَنِي اللهُ عَزَّ وَجَلَّ وَلَدَهَا إِذْ حَرَمَنِي أَوْلَادَ النِّسَاءِ
অর্থ: “মহান আল্লাহ পাক তিনি একমাত্র উম্মুল মু’মিনীন আল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম উনার মাধ্যম দিয়েই আমার মহাসম্মানিত নসব মুবারক জারি করেছেন, আমাকে সম্মানিত আওলাদ আলাইহিমুস সালাম, সম্মানিত আওলাদ আলাইহিন্নাস সালাম উনাদেরকে হাদিয়া মুবারক করেছেন। সুবহানাল্লাহ! তিনি ব্যতীত অন্য কোনো উম্মুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের মাধ্যম দিয়ে মহান আল্লাহ পাক তিনি আমার সম্মানিত নসব মুবারক জারি করেননি, আমাকে সম্মানিত আওলাদ আলাইহিমুস সালাম, সম্মানিত আওলাদ আলাইহিন্নাস সালাম উনাদেরকে হাদিয়া মুবারক করেননি।” সুবহানাল্লাহ! (মুসনাদে আহমদ শরীফ)
সম্মানিত ও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো বলা হয়েছে,
وَكَانَ لِي مِنْهَا ولدٌ.
অর্থ: “আর উনার থেকেই আমার সম্মানিত আওলাদ আলাইহিমুস সালাম ও সম্মানিত আওলাদ আলাইহিন্নাস সালাম উনারা তাশরীফ মুবারক এনেছেন এবং উনার মাধ্যমেই আমার সম্মানিত নসব মুবারক দুনিয়ার যমীনে জারি থাকবে।” সুবহানাল্লাহ! (বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ, মিশকাত শরীফ)
উম্মুল মু’মিনীন আল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিতা আওলাদ হচ্ছেন বিনতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুর রবি‘য়াহ যাহরা আলাইহাস সালাম তিনি। সুবহানাল্লাহ!
সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুর রাবি‘য়াহ যাহরা আলাইহাস সালাম উনার দুই জন মহাসম্মানিত আওলাদ হচ্ছেন ইমামুছ ছানী মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম হাসান আলাইহিস সালাম তিনি এবং ইমামুছ ছালিছ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম তিনি। সুবহানাল্লাহ!
আর উনাদের মাধ্যম দিয়েই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত নসব মুবারক ক্বিয়ামত পর্যন্ত জারি থাকবেন। সুবহানাল্লাহ!
উনাদের মাধ্যম দিয়েই ক্বিয়ামত পর্যন্ত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা এবং হযরত আওলাদে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা দুনিয়ার যমীনে সম্মানিত তাশরীফ মুবারক রাখবেন। সুবহানাল্লাহ!
কাজেই উম্মুল মু’মিনীন আল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম তিনি হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদেরও মূল এবং মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরও মূল। সুবহানাল্লাহ!
সুতরাং উনার শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক বেমেছাল, যা জিন-ইনসান, কায়িনাতবাসী কখনো ভাষায় প্রকাশ করতে পারবে না। সুবহানাল্লাহ!
উম্মুল মু’মিনীন আল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম তিনি পুরো সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনাকে পরিপূর্ণরূপে আঁকড়িয়ে ধরে রেখেছেন। উনার সম্মানার্থেই সম্মানিত দ্বীন ইসলাম টিকে রয়েছে:
উম্মুল মু’মিনীন আল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম তিনিই মহান আল্লাহ পাক উনার সৃষ্টি জগতে সর্বপ্রথম সম্মানিত ইসলাম ও সম্মানিত ঈমান মুবারক প্রকাশ করেছেন। সুবহানাল্লাহ!
এই সম্পর্কে কিতাবে বর্ণিত রয়েছে,
اَوَّلُ مَنْ اَسْلَمَ وَاٰمَنَ فِىْ خَلْقِ اللهِ عَزَّ وَجَلَّ لَـمْ يتقدمها رَجُلٌ وَلَا اِمْرَاَةٌ سَيِّدَتُنَا حَضْرَتْ خَدِيْجَةُ عَلَيْهِا السَّلَامُ.
অর্থ: “উম্মুল মু’মিনীন আল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম তিনিই মহান আল্লাহ পাক উনার সৃষ্টি জগতে সর্বপ্রথম সম্মানিত ইসলাম ও ঈমান মুবারক প্রকাশ করেছেন। সুবহানাল্লাহ! উনার পূর্বে কোনো পুরুষ মহিলা সম্মানিত দ্বীন ইসলাম গ্রহণ করেনি এবং সম্মানিত ঈমান মুবারক প্রকাশ করেনি।” সুবহানাল্লাহ!
এই সম্পর্কে সম্মানিত ও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে,
عَنْ رَبِيعَةَ السَّعْدِيِّ قَالَ أَتَيْتُ حُذَيْفَةَ بْنَ الْيَمَانِ وَهُوَ فِي مَسْجِدِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَسَمِعْتُهُ يَقُولُ كَانَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ خَدِيجَةُ بِنْتُ خُوَيْلِدٍ سَابِقَةُ نِسَاءِ الْعَالَمِينَ إِلَى الْإِيمَانِ بِاللَّهِ وَبِمُحَمَّدٍ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ.
অর্থ: “হযরত রাবী‘আহ সা’দী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বর্ণনা করেন। আমি হযরত হুযায়ফাহ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার নিকট আসলাম। তখন তিনি মসজিদে নববী শরীফ-এ অবস্থান মুবারক করতেছিলেন। আমি উনাকে বলতে শুনেছি, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি প্রায় ইরশাদ মুবারক করতেন, উম্মুল মু’মিনীন আল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অর্থাৎ উনাদের প্রতি সম্মানিত ঈমান মুবারক প্রকাশ করার ক্ষেত্রে মহান আল্লাহ পাক উনার কায়িনাতে যত মহিলা রয়েছেন সকলের অগ্রগামী। অথাৎ তিনি সকলের পূর্বে সম্মানিত ঈমান মুবারক প্রকাশ করেছেন।” সুবহানাল্লাহ! (মুস্তাদরকে হাকিম ৩/২০৩, আল ফাতহুল কাবীর ২/৮০ ইত্যাদি)
কাজেই উম্মুল মু’মিনীন আল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম তিনি সর্বপ্রথম সম্মানিত ইসলাম ও ঈমান মুবারক প্রকাশ করেছেন। সুবহানাল্লাহ!
শুধু তাই নয়, তিনি সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার প্রচার-প্রসারের ক্ষেত্রে বেমেছাল অবদান মুবারক রেখেছেন। যা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়। সুবহানাল্লাহ!
উনার সম্মানার্থেই সম্মানিত দ্বীন ইসলাম টিকে রয়েছে। সুবহানাল্লাহ!
তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানার্থে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার প্রচার-প্রসারের ক্ষেত্রে যে অঢেল ধন-সম্পদ ব্যয় করেছেন, সেটা বেমেছাল, তুলনাহীন। কুরাইশ গোত্র অনেক বড় গোত্র। সমস্ত কুরাইশদের যত সম্পদ ছিলো, উম্মুল মু’মিনীন আল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম উনার এককভাবে তার চেয়ে বেশি সম্পদ ছিলো। সুবহানাল্লাহ! তিনি উনার সমস্ত সম্পদ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার জন্য ব্যয় করেছেন। সুবহানাল্লাহ!
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,
مَا أَبْدَلَنِي اللهُ عَزَّ وَجَلَّ خَيْرًا مِنْهَا، قَدْ آمَنَتْ بِي إِذْ كَفَرَ بِي النَّاسُ وَصَدَّقَتْنِي إِذْ كَذَّبَنِي النَّاسُ وَوَاسَتْنِي بِمَالِهَا إِذْ حَرَمَنِي النَّاسُ وَرَزَقَنِي اللهُ عَزَّ وَجَلَّ وَلَدَهَا إِذْ حَرَمَنِي أَوْلَادَ النِّسَاءِ
অর্থ: “উম্মুল মু’মিনীন আল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম উনার থেকে উত্তম কোনো উম্মুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদেরকে মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাকে হাদিয়া মুবারক করেননি। সুবহানাল্লাহ!
মানুষ যখন আমাকে অস্বীকার করেছে, ঈমান আনেনি, তখন তিনি সর্বপ্রথম আমার প্রতি ঈমান মুবারক এনেছেন। সুবহানাল্লাহ! মানুষ যখন আমার বিষয় মুবারকগুলোকে সত্যারোপ করতে পারেনি, তিনি কিন্তু আমাকে সত্যারোপ করেছেন, আমাকে তাছদীক্ব করেছেন, আমার বিষয় মুবারকগুলো বিশ্বাস করেছেন, সত্য বলে গ্রহণ করেছেন। সুবহানাল্লাহ! মানুষ যখন আমার কোনো সম্মানিত খিদমত মুবারক উনার আনজাম মুবারক দেয়নি, তখন তিনি উনার সমস্ত মাল-সম্পদ দিয়ে আমার সম্মানিত খিদমত মুবারক উনার আনজাম মুবারক দিয়েছেন, আমাকে সান্তনা মুবারক দিয়েছেন এবং মহান আল্লাহ পাক তিনি একমাত্র উম্মুল মু’মিনীন আল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম উনার মাধ্যম দিয়েই আমার মহাসম্মানিত নসব মুবারক জারি করেছেন, আমাকে সম্মানিত আওলাদ আলাইহিমুস সালাম, সম্মানিত আওলাদ আলাইহিন্নাস সালাম উনাদেরকে হাদিয়া মুবারক করেছেন। সুবহানাল্লাহ! তিনি ব্যতীত অন্য কোনো উম্মুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের মাধ্যম দিয়ে মহান আল্লাহ পাক তিনি আমার সম্মানিত নসব মুবারক জারি করেননি, আমাকে সম্মানিত আওলাদ আলাইহিমুস সালাম, সম্মানিত আওলাদ আলাইহিন্নাস সালাম উনাদেরকে হাদিয়া মুবারক করেননি।” সুবহানাল্লাহ! (মুসনাদে আহমদ শরীফ)
সুতরাং উম্মুল মু’মিনীন আল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম উনার মাধ্যম দিয়েই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত নসব মুবারক ক্বিয়ামত পর্যন্ত জারি থাকবে, ক্বিয়ামত পর্যন্ত মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা এবং আওলাদে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা সম্মানিত তাশরীফ মুবারক নিবেন। সুবহানাল্লাহ!
আর সম্মানিত ও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে,
عَنْ حَضْرَتْ عَلِـىٍّ عَلَيْهِ السَّلَامُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ النُّجُوْمُ اَمَانٌ لِّاَهْلِ السَّمَاءِ اِذَا ذَهَبَتِ النُّجُوْمُ ذَهَبَ اَهْلُ السَّمَاءِ وَاَهْلُ بَيْتِـىْ اَمَانٌ لِّاَهْلِ الْاَرْضِ فَاِذَا ذَهَبَ اَهْلُ بَيْـتِـىْ ذَهَبَ اَهْلُ الْاَرْضِ.
অর্থ: “সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, তারকারাজি আসমানবাসীর জন্য নিরাপত্তাদানকারী। যখন তারকারাজি বিদায় নিবে, তখন আসমানবাসীরাও ধ্বংস হয়ে যাবে। আর আমার মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা হচ্ছেন যমীনবাসীর জন্য, তামাম কায়িনাতবাসীর জন্য নিরাপত্তাদানকারী। যখন আমার মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা বিদায় নিবেন, তখন সমস্ত যমীনবাসীরা, সমস্ত কায়িনাতবাসীরা ধ্বংস হয়ে যাবে।” সুবহানাল্লাহ! (ফাদ্বায়িলুছ ছাহাবাহ ২/৬৭১, আছ ছওয়ায়িকুল মুহরিক্বহ ২/৬৭৫, আল মু’জাম ১/৪০৪, মিরক্বাত শরীফ ৯/৩৯৮৮, যাখায়িরুল ‘উক্ববাহ ১/১৭, সুবুলুল হুদা ওয়ার রশাদ ১১/৭)
অপর বর্ণনায় এসেছে,
عَنْ حَضْرَتْ سَلَمَةَ بْنِ الْاَكْوَعِ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اَلنُّجُوْمُ اَمَانٌ لِّاَهْلِ السَّمَاءِ وَاَهْلُ بَيْتِـىْ اَمَانٌ لِّاُمَّتِـىْ.
অর্থ: “হযরত সালামাহ ইবনে আকওয়া’ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, তারকারাজি হচ্ছে আসমানবাসীর জন্য নিরাপত্তাদানকারী। আর আমার মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা হচ্ছেন আমার সমস্ত উম্মতের জন্য নিরাপত্তাদানকারী।” সুবহানাল্লাহ! (মুছান্নাফ ইবনে আবী শায়বাহ, মুসাদ্দাদ, আবূ ইয়া’লা, হাকিম, তিরমিযী, ত্ববারনী, ইবনে ‘আসাকির, সুবুলুল হুদা ওয়ার রশাদ ১১/৬, যাখায়িরুল ‘উক্ববাহ ১/১৭)
কাজেই এখান থেকে দিবালোকের ন্যায় অত্যন্ত সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হলো যে, মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের উসীলায়, উনাদের মাধ্যমে, উনাদের সম্মানার্থে ক্বিয়ামত অবধি সারা পৃথিবী, সারা কায়িনাত, সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী, সমস্ত উম্মত ধ্বংস হওয়া থেকে নিরাপদ থাকবে, নিরাপত্তা লাভ করবে এবং সম্মানিত দ্বীন ইসলাম দুনিয়ার যমীনে ক্বিয়ামত পর্যন্ত টিকে থাকবে। সুবহানাল্লাহ!
আর সেই মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরই মূল হচ্ছেন উম্মুল মু’মিনীন আল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম তিনি। সুবহানাল্লাহ!
সুতরাং উম্মুল মু’মিনীন আল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম তিনিই সম্পূর্ণ সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনাকে পরিপূর্ণভাবে আঁকড়িয়ে ধরে রেখেছেন। সুবহানাল্লাহ! উনার সম্মানার্থেই সম্মানিত দ্বীন ইসলাম টিকে রয়েছেন এবং ক্বিয়ামত পর্যন্ত টিকে থাকবেন। সুবহানাল্লাহ!
যেমন বর্তমানে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম টিকে রয়েছেন মুজাদ্দিদে আ’যম, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ আলাইহিছ ছলাতু ওয়াস সালাম উনার এবং উনার মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সম্মানার্থে। সুবহানাল্লাহ!
আর উনারা হচ্ছেন উম্মুল মু’মিনীন আল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত বংশধর। সুবহানাল্লাহ!
আর এভাবেই উম্মুল মু’মিনীন আল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত আল ঊলা কুবরা আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত আওলাদ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মাধ্যমে ক্বিয়ামত পর্যন্ত সম্মানিত দ্বীন ইসলাম টিকে থাকবেন। সুবহানাল্লাহ!
তাহলে উম্মুল মু’মিনীন আল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম উনার শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক কতো বেমেছাল, সেটা সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসীর চিন্তা ও কল্পনার বাইরে। যা ভাষায় প্রকাশ করা আদৌ সম্ভব নয়। সুবহানাল্লাহ! তবে এক কথায় তিনি শুধু যিনি খ¦ালিক মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি নন এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নন; এছাড়া যত শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান রয়েছে, সমস্ত শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান উনাদের অধিকারিণী। সুবহানাল্লাহ!
মুজাদ্দিদে আ’যম, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ আলাইহিছ ছলাতু ওয়াস সালাম তিনি আফদ্বলুন নাস ওয়ান নিসা বা’দা রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, উম্মুল মু’মিনীন আল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম উনার সম্মানার্থে আমাদের সবাইকে হাক্বীক্বী তায়াল্লুক-নিসবত মুবারক, মা’রিফত-মুহব্বত, রেযামন্দি-সন্তুষ্টি মুবারক, গভীর ইলম-ইখলাছ ও পবিত্র মুবারক, হাক্বীক্বী ফায়েয-তাওয়াজ্জুহ মুবারক নছীব করুন। আমীন!


0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন