728x90 AdSpace

  • Latest News

    হযরত বড়পীর ছাহিব রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার রিয়াজত-মাশাক্কাত মুবারক


    ইমামুশ শরীয়ত ওয়াত তরীক্বত, সাইয়্যিদুল আউলিয়া, মাহবূবে সুবহানী, কুতুবে রব্বানী, গউছুল আ’যম, মুজাদ্দিদে যামান, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা হযরত বড়পীর ছাহিব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি নিযামিয়া মাদরাসায় অধ্যয়নকালে বাগদাদ শরীফ উনার বিভিন্ন আউলিয়ায়ে কিরাম তথা পীর-মাশায়িখগণ উনাদের দরবার শরীফ-এ যাতায়াত করতেন। 

    মাদরাসায় সম্মানিত ইলমে ফিক্বাহ তথা জাহিরী ইলিম হাছিলের পাশাপাশি সম্মানিত বাতিনী ইলিম তথা ইলমে তাছাউফ হাছিলের লক্ষ্যেই ছিল সেই যাতায়াত। 

    তিনি অতি অল্প বয়সেই এই উপলব্ধির চরম স্তরে পৌঁছেছিলেন যে, শুধু ইলমে ফিক্বাহ তথা জাহিরী ইলিম দ্বারা কখনোই মঞ্জিলে মাক্বছূদে পৌঁছা তথা মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের মুহব্বত-মা’রিফাত হাছিল করা, তায়াল্লুক-নিসবত তথা নৈকট্য মুবারক যা প্রধান লক্ষ্য-উদ্দেশ্য তাতে পৌঁছা কখনোই সম্ভব নয়।


    উপরন্তু ইলমে তাছাউফ ব্যতীত ইলমে ফিক্বাহ দ্বারা অনেকাংশে গুমরাহী বা পথভ্রষ্টতাই বৃদ্ধি পাবে। 
    পরিশেষে ঈমানহারা হয়ে কবরে যাওয়ারও সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। 

    তিনি এটাও উপলব্ধি করেছিলেন যে, মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার হাবীব, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের আদেশ-নিষেধসমূহ ভালোভাবে হৃদয়াঙ্গম করা এবং তা নিখুঁতভাবে পালন করা তথা হাক্বীক্বী ঈমানদার, হাক্বীক্বী মুসলমান হওয়ার জন্য ইলমে তাছাউফ হাছিল করা আবশ্যক।

    তিনি নিযামিয়া মাদরাসা হতে সব বিষয়ে সর্বোচ্চ ডিগ্রি লাভের পর পরেই বাগদাদ শরীফ উনার তৎকালীন তরীক্বতের বিশিষ্ট ইমাম, কামিল-মুকাম্মিল শায়েখ হযরত আবু সাঈদ মুবারক মাখদুমী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার হাত মুবারকে বাইয়াত হন। উনার দরবার শরীফ-এ হাজির হয়ে তিনি উনার আদেশানুসারে যিকির-ফিকির, রিয়াজত-মাশাক্কাতে আত্মনিয়োগ করেন। অতি অল্প সময়ে শায়েখ উনার খাছ ফায়েয-তাওয়াজ্জুহ, দোয়া পেয়ে মা’রিফাত-মুহব্বতের অতি উঁচু স্তরে পৌঁছেন। তিনি স্বীয় শায়েখ হযরত আবূ সাঈদ মুবারক মাখদুমী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার নির্দেশে কয়েক বৎসর উনার ছোহবতে থাকলেন। পরে উনার ইজাযত পেয়ে অন্যত্র চলে যান।

    “আখবারুল আখইয়ার” কিতাবে বর্ণিত রয়েছে, সাইয়্যিদুনা হযরত বড়পীর ছাহিব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বাগদাদ শরীফ-এ অবস্থানকালের প্রসঙ্গে বলেছেন, আমি পঁচিশ বছর যাবৎ ইরাকের বনে-জঙ্গলে, পাহাড়ে-প্রান্তরে রিয়াজত-মাশাক্কাত তথা সাধনার মধ্য দিয়ে অতিবাহিত করেছি। 

    চল্লিশ বছর যাবৎ ইশার ওযূ দিয়ে ফজরের নামায পড়েছি। 

    আর পনেরো বছর যাবৎ ইশার পর থেকে ফজরের ওয়াক্ত পর্যন্ত প্রত্যেক দিন একবার করে কুরআন শরীফ খতম করেছি। 

    তিন দিন থেকে শুরু করে চল্লিশ দিন পর্যন্ত না খেয়ে একাধিক্রমে রোযা রেখেছি।
    তিনি আরো বর্ণনা করেছেন- ‘আমি প্রথম দিকেই নিজের দেহকে একটি দড়ি দিয়ে বেঁধে এক প্রান্তের সাথে অন্য প্রান্তের খাটের সাথে বেঁধে নিতাম যাতে ঘুম এলে টান পড়ার সাথে সাথে ঘুম ভেঙে যায়। তারপর আমার মধ্যে জজবা বা অভ্যন্তরীণ প্রেরণা জাগ্রত হলে আমি জঙ্গলের দিকে বেড়িয়ে পড়তাম। দিগি¦দিক জ্ঞানশূন্য হয়ে এদিকে-ওদিকে ঘুরতে থাকতাম। কখনো কখনো চিৎকার দিয়ে উঠতাম। প্রায়শই আমি বেহুঁশ ও নির্জীব হয়ে পড়ে থাকতাম।

     তিনি আরো বলেন, এক রাতে আমি নামাযের জন্য প্রস্তুত হচ্ছিলাম। হঠাৎ আমার মনে আকাঙ্খা জাগলো যে, আমার একটু আরাম করে নামায পড়া উচিত। তা এজন্য যে, আমার দেহের উপর আমার হক্ব রয়েছে। আমি তৎক্ষণাৎ দাঁড়িয়ে গেলাম আর যে স্থানটিতে আমার মনে এই আকাঙ্খা জেগে উঠেছিল, ওখানেই এক পায়ে দাঁড়িয়ে পবিত্র কুরআন শরীফ পাঠ করে খতম করলাম। যাতে আমার মনে এই আকাঙ্খা আর না জেগে উঠে।

    একই প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেছেন, ক্রমশঃ আমার সাধনার ধারা এর চেয়েও কঠোর করতে লাগলাম। প্রথম একটি বছর আমি বাগদাদ শরীফ থেকে পনের মাইল দূরবর্তী প্রাচীন মাদায়েন শহরের ধ্বংসস্তূপের মধ্যে কাটালাম। তথায় বন্য ফল-মূল খেয়ে আমি জীবন ধারণ করেছিলাম। তখন আমি একমাত্র মহান আল্লাহ পাক উনার যিকির-ফিকিরের মাধ্যমেই সময় অতিবাহিত করতাম। 


    আমি কয়েক বছর কারখের জনশূন্য প্রান্তরে কাটিয়েছি। সেখানে আমার খাদ্য ছিলো স্বাদহীন বন্যখেজুর। আর পরিধেয় বস্ত্র বলতে কেবল একটি পশমের তৈরি জামা। আমার প্রতি সহানুভূতিশীল একটি লোক এসময় বনজঙ্গল থেকে আমার জন্য ওই খাদ্য সরবরাহ করতো। এ সময় আমি চলাফেরা করতাম পাদুকাহীনভাবে। পাদুকা আমার ছিলোও না। খালি পায়ে কণ্টকাকীর্ণ বন্য পথে চলে আমার দু’পায়ের তলায় চালনির মতো ছিদ্র হয়ে গিয়েছিলো। বয়সে তখন আমি পূর্ণ যুবক। এটা মানুষের রঙিন আশা-আকাঙ্খা ও আবেগ-উচ্ছ্বাসের সময়। জীবনের এ যুগ সন্ধিক্ষণেই মানুষ প্রধানতঃ কুপ্রবৃত্তির কাছে আত্মসমর্পণ করে থাকে। কিন্তু আমি মহান আল্লাহ পাক উনার মেহেরবানীতে এরূপ যাবতীয় ভোগ-লালসার ঊর্ধ্বে ছিলাম। এমনকি কখনো আমার মনে সুস্বাদু খাবার গ্রহণ, সুন্দর পোশাক পরিধান বা উত্তম গৃহে জীবনযাপনের খেয়াল পর্যন্ত আসতো না। তাছাড়া পার্থিব যেকোনো ধরনের শান্তি, মান-মর্যাদা বা প্রভুত্ব, কর্তৃত্বের লালসা আমার অন্তরে জাগতো না। এগুলোর প্রতি আমি ছিলাম সবসময় উদাসীন। আমার প্রতিটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ একমাত্র মহান আল্লাহ পাক উনার সাথেই নিমগ্ন থাকতো। আমার সমস্ত কামনা-বাসনা, চিন্তা-চেতনা ও কল্পনা মহাসত্তা মহান আল্লাহ পাক উনার দিকে ছাড়া অন্য কোনো দিকে ধাবিত হতো না। আর যাতে আমার অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ, মন-প্রাণ চিরকাল একই অবস্থায় থাকে, সেই তায়াল্লুক-নিসবতের যেন কোনো বিঘœ না ঘটে সে সাধনায় নিজেকে সবসময় নিয়োজিত রাখতাম। পরবর্তী জীবনে মহান আল্লাহ পাক তিনি আমার এই সাধনা কবুল করে হৃদয়ের বাসনা পূর্ণ করেছেন।

    একবার সাইয়্যিদুল আউলিয়া, মাহবূবে সুবহানী, গউছুল আ’যম, আওলাদে রসূল, মুহিউদ্দীন হযরত বড়পীর ছাহিব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার মুরীদদের একটি ঘটনা বর্ণনা প্রসঙ্গে বলেন, “একদা আমি নির্জনে একাকী অবস্থান করছিলাম। এমন সময় হঠাৎ এক ব্যক্তি আমার কাছে এসে বললেন, আমাকেও আপনার সাথে থাকার অনুমতি দান করুন। আমি বললাম, ঠিক আছে। ওই ব্যক্তি বললেন, একটি শর্তে যে, আপনি আমার আদেশের বিরুদ্ধাচরণ করবেন না। আমি বললাম, ঠিক আছে, আমি কোনোমতেই আপনার আদেশের বিরুদ্ধাচরণ করবো না। ওই ব্যক্তি বললেন, আচ্ছা, আপনি এখানেই অবস্থান করুন আমি এখনই আসছি, আর আমার না আসা পর্যন্ত আপনি কোথাও যাবেন না। একথা বলে তিনি গায়েব (অদৃশ্য) হয়ে গেলেন। এক বৎসর অতিবাহিত হওয়ার পর তিনি ফিরে আসলেন। আমি তখনও সেখানে অবস্থান করছিলাম। এক মুহূর্ত আমার নিকট বসে আবার দাঁড়ালেন এবং বললেন, আমি ফিরে না আসা পর্যন্ত আপনি এই স্থান ত্যাগ করবেন না। এ কথা বলে আবারও তিনি অদৃশ্য হয়ে গেলেন। আমি আবারও সেখানে অবস্থান করে ইবাদত-বন্দেগী, যিকির-ফিকিরে নিমগ্ন রইলাম। তৃতীয় বছরের মাথায় তিনি যখন ফিরে এলেন তখন উনার হাতে ছিল রুটি আর দুধের পেয়ালা। তিনি বললেন, আমি আব্বাস খিজির আলাইহিস সালাম। আমার উপর নির্দেশ এসেছে আপনার সাথে বসে পানাহার করার। তারপর আমরা দুজনে একসাথে বসে পানাহার করলাম। তারপর বললেন, বাগদাদ চলুন। অনন্তর আমরা দুজনে বাগদাদ শহরে চলে এলাম।” (নাফহাতুল উনস, হযরত বড়পীর ছাহিব উনার জীবনী মুবারক-১৪)

    তিনি যখন উনার এ অবস্থার কথা উপস্থিত লোকদের সামনে বর্ণনা করছিলেন তখন কেউ জিজ্ঞাসা করলো- এই তিন বছর আপনি কীভাবে ক্ষুধা নিবারণ করতেন? তিনি বললেন, বনের ঘাস ও পাতা খেয়ে ক্ষুধা কমিয়ে নিতাম।

    ‘তবাকাতে হানাবিল’-এ উল্লেখ আছে, একবার তিনি উনার এক মুরীদকে বললেন, রিয়াজত-মাশাক্কাত তথা সাধনায় আমার মনে হঠাৎ আকাঙ্খা জাগে যে, বাজার থেকে কিছু খাদ্যবস্তু কিনে আনি; কিন্তু আমি এদিক-ওদিক ঘুরতে থাকি। আরেক দিন আমার মনে ওই একই আকাঙ্খা জাগ্রত হলে হঠাৎ আমার সামনে গাছের একটি পাতা পড়লো। তাতে লেখা ছিল যে, ‘সুদৃঢ় ধর্ম বিশ্বাসীদের কোনো প্রবৃত্তি থাকে না; তা তো দুর্বল ঈমানদারদের মধ্যে সৃষ্ট হয়।’ তিনি বলেন- এই লেখা পাঠ করে আমি আমার অন্তর থেকে পানাহারের স্থূল প্রবৃত্তিকে বিদায় করে দিলাম।

     তিনি উনার পবিত্র যবানীতে আরও বর্ণনা করেছেন, একবার বাগদাদে দুর্ভিক্ষের কারণে লোকজন দলে দলে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়তে থাকে। কয়েক দিন ধরে পানাহারের সামান্যতম সামগ্রীও আসতো না। কেননা অন্য লোকেরা সেই বস্তুই খেতো যা আমি খেতাম। যখন আমি ঘাস বা পাতা খাওয়ার জন্য আকাঙ্খা করতাম তখন দেখতাম অন্য ফকীররাও তারই সন্ধানে গাছতলায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। আমি লজ্জিত ও বেদনাহত হয়ে ওই বস্তু তাদের জন্য ছেড়ে দিতাম আর নিজে অনাহারে থাকতাম। যেন ওই বছরগুলিতে ক্ষুধা নিবৃত্তির জন্য জঙ্গলের ঘাস ও গাছগুলির পাতায়ও টান পড়েছিল। 

    গউছুল আ’যম সাইয়্যিদুনা হযরত বড়পীর ছাহিব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বাগদাদ শরীফ উনার এক গম্বুজে এগারো বছর যাবৎ ইবাদত ও রিয়াযত করেছেন। এরই কারণে লোকেরা উনারই স্মরণে এই গম্বুজের নাম রেখেছেন ‘বুরজে-আজমী’ বা আজমী গম্বুজ।

     যা আজও এই নামে স্মরণীয় হয়ে আছে। 

    এই ইবাদতের সময়ে তিনি একবার এই মর্মে দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হলেন যে, ‘যতক্ষণ পর্যন্ত আমাকে গায়েবী বস্তু দিয়ে পানাহার করানো না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত আমি কিছুই খাবো না।’ অতএব, চল্লিশ দিন পর্যন্ত গায়েব থেকে কোনো খাদ্য-পানীয় না আসায় তিনি কিছুই পানাহার করলেন না। চল্লিশ দিন পরে এক ব্যক্তি এসে রুটি ও আরো কিছু খাদ্যবস্তু দিয়ে অদৃশ্য হয়ে গেল। খাদ্যবস্তু দেখে উনার হৃদয়-মন তা খাওয়ার জন্য আকুল হয়ে উঠলো; কিন্তু তিনি বললেন- ‘মহান আল্লাহ পাক উনার কসম! আমি প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করবো না।’ 

    কিছুক্ষণ পরে শায়খুল উলামা ওয়াল মাশায়িখ হযরত আবু সাঈদ মুবারক মাখদুমী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি এলেন এবং বললেন, ‘আবদুল ক্বাদির! কী ব্যাপার? 

    তিনি উত্তর দিলেন, ‘মহান আল্লাহ পাক উনার সন্নিধান প্রাপ্তির জন্য আত্মা পাগলপারা হয়ে উঠেছে।’ 

    এ কথা শুনে তিনি বললেন- ‘আপনি আমার গৃহে চলে আসতে পারেন।’ আমি স্থির সিদ্ধান্ত নিয়ে রেখেছি যে, যতক্ষণ পর্যন্ত মহান আল্লাহ পাক উনার তরফ হতে স্পষ্ট আদেশ না আসবে, ততক্ষণ পর্যন্ত আমার প্রতিজ্ঞা ভঙ্গ করবো না। তিনি এই সিদ্ধান্তেই অটল ছিলেন। 

    এমতাবস্থায় হযরত খিযির আলাইহিস সালাম তিনি আগমন করলেন এবং বললেন- ‘আসুন আমার সাথে এবং হযরত আবু সাঈদ মুবারক মাখদুমী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার কাছে চলুন। 

    তিনি রওনা হলেন। পৌঁছে দেখলেন, হযরত আবু সাঈদ মুবারক মাখদুমী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার জন্যই অপেক্ষা করছেন।’ উনাকে দেখে তিনি বললেন, ‘হে আবদুল ক্বাদির! আমিই হযরত খিজির আলাইহিস সালাম উনাকে পাঠিয়েছিলাম। পরিণামে হযরত খিযির আলাইহিস সালাম তিনি আপনাকে এই পর্যন্ত নিয়ে এসেছেন।’ 

    তারপর হযরত আবু সাঈদ মুবারক মাখদুমী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনাকে নিজের গৃহে নিয়ে গেলেন এবং নিজ হাতে উনাকে পানাহার করালেন। এমনকি খুব সন্তুষ্ট হলেন। তারপর খিলাফতের সনদ প্রদান করলেন। সুবহানাল্লাহ!

    • Blogger Comments
    • Facebook Comments

    0 মন্তব্য(গুলি):

    একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

    Item Reviewed: হযরত বড়পীর ছাহিব রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার রিয়াজত-মাশাক্কাত মুবারক Rating: 5 Reviewed By: Unknown
    Scroll to Top