728x90 AdSpace

  • Latest News

    ‘যে ঘরে বা স্থানে প্রকাশ্যে প্রাণীর ছবি, মূর্তি, ভাস্কর্য, ম্যানিকিন থাকে সেখানে রহমতের ফেরেশ্তা উনারা থাকেন না।’



    নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘যে ঘরে বা স্থানে প্রকাশ্যে প্রাণীর ছবি, মূর্তি, ভাস্কর্য, ম্যানিকিন থাকে সেখানে রহমতের ফেরেশ্তা উনারা থাকেন না।’

    ৯৮ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত এই বাংলাদেশকে রহমতশূন্য করছে সিনেমার অশ্লীল পোস্টার, নারী-পুরুষের অশ্লীল ছবিযুক্ত বিলবোর্ড, মূর্তি, ভাস্কর্য ও ম্যানিকিনগুলো। নাউযুবিল্লাহ! অপরদিকে মুসলমান উনাদের পবিত্র ঈমান ও দ্বীনী পবিত্রতা বিনষ্ট করার সাথে নৈতিক চরিত্রও বিনষ্ট করছে। নাউযুবিল্লাহ!

    তাই ‘পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের বিরোধী কোনো আইন পাস হবে না’- এ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সরকারের জন্য ফরয হলো- এদেশের ৯৮ ভাগ অধিবাসী মুসলমান উনাদের পবিত্র ঈমান হিফাযত, রহমত, নাজাত লাভ ও নৈতিক পবিত্রতা রক্ষার্থে অশ্লীল পোস্টার, বিলবোর্ড, মূর্তি, ভাস্কর্য ও ম্যানিকিনগুলো অতিসত্বর মিটিয়ে দেয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

    যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইউস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, ক্বইয়ূমুয যামান, জাব্বারিউল আউওয়াল, ক্বউইয়্যূল আউওয়াল, সুলত্বানুন নাছীর, হাবীবুল্লাহ, জামিউল আলক্বাব, আওলাদে রসূল, মাওলানা সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি ‘পবিত্র সূরা হাশর শরীফ উনার ৭নং পবিত্র আয়াত শরীফ’ উল্লেখ করে বলেন, “আমার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যা আদেশ মুবারক করেন তা পালন করো, আর যা নিষেধ মুবারক করেন তা থেকে বিরত থাকো, মহান আল্লাহ পাক উনাকে ভয় করো। নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি কঠিন শাস্তিদাতা।” কাজেই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতিটি আদেশ ও নির্দেশ মুবারক পালন করা হচ্ছে ফরয আর তার খিলাফ করাই হচ্ছে হারাম। সুতরাং প্রাণীর ছবি, মূর্তি, ভাস্কর্য ও ম্যানিকিন প্রকাশ্যে রাখাও হারাম। যেহেতু পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে সেটা নিষেধ করা হয়েছে। যেমন এ প্রসঙ্গে ‘বুখারী শরীফ’ উনার ২য় খন্ডের ৮৮০ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে, হযরত আবু তালহা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “ওই ঘরে রহমতের ফেরেশতা প্রবেশ করেন না, যে ঘরে প্রাণীর ছবি, মূর্তি, ভাস্কর্য, ম্যানিকিন অথবা কুকুর থাকে।” নাউযুবিল্লাহ!

    মুজাদ্দিদে আ’যম, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, ‘মুছান্নাফ ইবনে আবী শায়েবা’ কিতাব উনার ৮ম খ-ের ২৯২ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে, হযরত যায়িদ ইবনে আসলাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি উনার পিতা থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন.... আমি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেন, ‘ওই ঘরে রহমতের ফেরেশতা প্রবেশ করেন না, যে ঘরে প্রাণীর ছবি, মূর্তি, ভাস্কর্য, ম্যানিকিন অথবা কুকুর থাকে।’ নাউযুবিল্লাহ! পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘আমি বাদ্যযন্ত্র, গান-বাজনা ও মূর্তি-ভাস্কর্য-ম্যানিকিন ধ্বংস করার জন্য প্রেরিত হয়েছি।’ সুবহানাল্লাহ!

    মুজাদ্দিদে আ’যম, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, বিনোদনের নামে দেশব্যাপী অশ্লীল থেকে অশ্লীলতর সিনেমা মুক্তি পাচ্ছে। সেগুলোর অশ্লীল পোস্টারে অলি-গলি ছেয়ে ফেলা হচ্ছে। বিজ্ঞাপনের নামে রাস্তার দুই পাশে বাড়ি ঘরের ছাদের উপরে দেশব্যাপী চরম অশ্লীল চিত্রযুক্ত বিলবোর্ড ঝুলিয়ে রাখা হচ্ছে এবং শহরের সৌন্দর্য বর্ধনের নামে রাস্তার মোড়ে মোড়ে স্থাপিত করা হয়েছে ও আরো স্থাপন করা হচ্ছে প্রাণীর মূর্তি বা ভাস্কর্য এবং মার্কেটের দোকানে দোকানে সাজিয়ে রাখা হচ্ছে ম্যানিকিন মূর্তি। যা এদেশের শতকরা ৯৮ ভাগ মুসলমান অধিবাসী উনাদের দ্বীনী অনুভূতির প্রতি চরম আঘাতস্বরূপ। 

    মুজাদ্দিদে আ’যম, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, সিনেমার অশ্লীল পোস্টার, বিলবোর্ড ও মূর্তি-ভাস্কর্য বা ম্যানিকিনগুলো যে অবাধে ও ব্যাপকভাবে মুসলমান উনাদের পবিত্র ঈমান ও নৈতিক পবিত্রতা বিনষ্ট করছে, সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার ভাবগাম্ভীর্যতা ও মর্যাদা ক্ষুণœ করছে সে ব্যাপারে এদেশের ৯৮ ভাগ অধিবাসী মুসলমান উনাদের সচেতন হওয়া ও শক্ত প্রতিবাদ করা ফরয। কারণ পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “তোমরা যখন কোনো অন্যায় কাজ হতে দেখ তখন তা হাত দিয়ে বাধা দাও। না পারলে মুখে বলো। না পারলে অন্তর থেকে ঘৃণা করো এবং এরপরে আর কোনো ঈমানের স্তর নেই।”

    মুজাদ্দিদে আ’যম, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, ৯৮ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত দেশ- বাংলাদেশের মধ্যে আজ যে অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে, তাতে কতোটুকু পবিত্র ঈমান রক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে তা চিন্তার বিষয়। কাজেই পবিত্র ঈমান রক্ষার্থে দেশবাসী মুসলমান উনাদের ফরয হবে- সম্মানিত ইসলামী চেতনা ও আদর্শ উনাদের খিলাফ সব অশ্লীলতা ও অনৈসলামিক কাজের বিরুদ্ধে কঠিন চাপ সৃষ্টি করা এবং সারাবছরই তা বন্ধ রাখতে সরকারকে বাধ্য করা। অন্যথায় ঈমানহারা হয়ে মারা যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। নাঊযুবিল্লাহ! পাশাপাশি ‘পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের বিরোধী কোনো আইন পাস হবে না’- এ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সরকারের জন্য ফরয হলো: এদেশের ৯৮ ভাগ অধিবাসী মুসলমান উনাদের ঈমান হিফাযত, রহমত, নাজাত লাভ ও চারিত্রিক পবিত্রতা রক্ষার্থে অশ্লীল পোস্টার, বিলবোর্ড, মূর্তি-ভাস্কর্য বা ম্যানিকিনগুলো অতিসত্বর অপসারণে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা। 
    -০-
    • Blogger Comments
    • Facebook Comments

    0 মন্তব্য(গুলি):

    একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

    Item Reviewed: ‘যে ঘরে বা স্থানে প্রকাশ্যে প্রাণীর ছবি, মূর্তি, ভাস্কর্য, ম্যানিকিন থাকে সেখানে রহমতের ফেরেশ্তা উনারা থাকেন না।’ Rating: 5 Reviewed By: Unknown
    Scroll to Top