একমাত্র খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা দায়িমীভাবে পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করেন। এ সম্পর্কে পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনাতে ইরশাদ মুবারক হয়েছে,
إِنَّ اللَّهَ وَمَلَائِكَتَهُ يُصَلُّونَ عَلَى النَّبِيِّ
অর্থ: “নিশ্চয় খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং হযরত ফেরেশতাকুল আলাইহিমুস সালাম উনারা সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি ছলাত সালাম পাঠ করেন তথা সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করেন।” এই পবিত্র আয়াত শরীফে يُصَلُّونَ শব্দটি ফেলে মুদ্বারের ছীগাহ। যা দ্বারা অতীতে শুরু করা, বর্তমানে চলতে থাকা এবং ভবিষ্যতেও হতে থাকবে- এমন অর্থ বুঝায়। তার মানে হচ্ছে- সৃষ্টির শুরু হতে বর্তমানে এবং অনন্তকাল ধরে খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি ছলাত সালাম পড়তেছিলেন, পড়তে আছেন, অনন্তকাল ধরে পড়তে থাকবেন। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনিতো মহান আল্লাহ পাক তিনি এজন্য এ বিষয়টি উনার জন্য সাধারণ বিষয়। আর হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে এ জন্যই সৃষ্টি করা হয়েছে। তাই উনাদের জন্য সম্ভব হচ্ছে।
তৃতীয়ত, হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারাও ২৪ ঘণ্টা দায়িমীভাবে পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করেছেন; যা হযরত উবাই ইবনে কা’ব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার বর্ণিত পবিত্র হাদীছ শরীফ দ্বারা প্রমাণিত। হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের ২৪ ঘণ্টা দায়িমীভাবে পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করার যোগ্যতা অর্জনের কারণ হচ্ছে, উনারা সরাসরি আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ছোহবত মুবারক পেয়েছেন। অর্থাৎ মুবারক তাওয়াল্লুক, মুবারক নিসবত উনাদের কারণে উনাদের জন্য সহজ ও সম্ভব হয়েছে। তবে হযরত ছাহাবায়ে কিরাম আজমাইন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের পর থেকে শুরু করে অদ্যবধি কোনো ব্যক্তিত্ব দায়িমীভাবে সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করার চিন্তা করেননি, ফিকির করেননি, আরজিও করেননি। কারণ মুবারক এই বিষয়টি দায়িমীভাবে ২৪ পালন করা খুবই কঠিন ও দূরহ।
তারপরও কুল-কায়িনাতে যিনি সর্বশ্রেষ্ঠ মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, হাবীবে আ’যম, গাউছুল আ’যম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ঢাকা রাজারবাগ শরীফ উনার সম্মানিত হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি অনন্তকাল ধরে দায়িমীভাবে ২৪ ঘণ্টা সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করার জন্য খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক এবং উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের মুবারক খিদমতে আরজি পেশ করেন। সুবহানাল্লাহ!
খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক এবং উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা সাদরে মুবারক আরজিখানি গ্রহণ করেন এবং মুবারক ইজাজত ও নির্দেশ মুবারক দেন অনন্তকালব্যাপী দায়িমীভাবে সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ, ঈদে আ’যম, ঈদে আকবার পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করার জন্য। আর তাইতো ১৪৩৫ হিজরী সনের ৫৮ দিনব্যাপী মুবারক মাহফিল শেষ হতে না হতেই ১লা রবীউছ ছানী শরীফ হতে ঐতিহ্যবাহী রাজারবাগ দরবার শরীফে শুরু করেন অনন্তকালব্যাপী পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন উপলক্ষে মুবারক মাহফিল। সুবহানাল্লাহ!
রাজারবাগ শরীফ উনার সম্মানিত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার এই অভূতপূর্ব মুবারক তাজদীদ, মুবারক কাজ ও মুবারক আমল ইত্যাদি দ্বারাই প্রমাণিত হয়, তিনিই হচ্ছেন কুল-কায়িনাতের সর্বশ্রেষ্ঠ মুজাদ্দিদ, সর্বশ্রেষ্ঠ ওলীআল্লাহ। সুবহানাল্লাহ!
إِنَّ اللَّهَ وَمَلَائِكَتَهُ يُصَلُّونَ عَلَى النَّبِيِّ
অর্থ: “নিশ্চয় খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং হযরত ফেরেশতাকুল আলাইহিমুস সালাম উনারা সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি ছলাত সালাম পাঠ করেন তথা সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করেন।” এই পবিত্র আয়াত শরীফে يُصَلُّونَ শব্দটি ফেলে মুদ্বারের ছীগাহ। যা দ্বারা অতীতে শুরু করা, বর্তমানে চলতে থাকা এবং ভবিষ্যতেও হতে থাকবে- এমন অর্থ বুঝায়। তার মানে হচ্ছে- সৃষ্টির শুরু হতে বর্তমানে এবং অনন্তকাল ধরে খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি ছলাত সালাম পড়তেছিলেন, পড়তে আছেন, অনন্তকাল ধরে পড়তে থাকবেন। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনিতো মহান আল্লাহ পাক তিনি এজন্য এ বিষয়টি উনার জন্য সাধারণ বিষয়। আর হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে এ জন্যই সৃষ্টি করা হয়েছে। তাই উনাদের জন্য সম্ভব হচ্ছে।
তৃতীয়ত, হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারাও ২৪ ঘণ্টা দায়িমীভাবে পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করেছেন; যা হযরত উবাই ইবনে কা’ব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার বর্ণিত পবিত্র হাদীছ শরীফ দ্বারা প্রমাণিত। হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের ২৪ ঘণ্টা দায়িমীভাবে পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করার যোগ্যতা অর্জনের কারণ হচ্ছে, উনারা সরাসরি আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ছোহবত মুবারক পেয়েছেন। অর্থাৎ মুবারক তাওয়াল্লুক, মুবারক নিসবত উনাদের কারণে উনাদের জন্য সহজ ও সম্ভব হয়েছে। তবে হযরত ছাহাবায়ে কিরাম আজমাইন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের পর থেকে শুরু করে অদ্যবধি কোনো ব্যক্তিত্ব দায়িমীভাবে সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করার চিন্তা করেননি, ফিকির করেননি, আরজিও করেননি। কারণ মুবারক এই বিষয়টি দায়িমীভাবে ২৪ পালন করা খুবই কঠিন ও দূরহ।
তারপরও কুল-কায়িনাতে যিনি সর্বশ্রেষ্ঠ মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, হাবীবে আ’যম, গাউছুল আ’যম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ঢাকা রাজারবাগ শরীফ উনার সম্মানিত হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি অনন্তকাল ধরে দায়িমীভাবে ২৪ ঘণ্টা সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করার জন্য খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক এবং উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের মুবারক খিদমতে আরজি পেশ করেন। সুবহানাল্লাহ!
খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক এবং উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা সাদরে মুবারক আরজিখানি গ্রহণ করেন এবং মুবারক ইজাজত ও নির্দেশ মুবারক দেন অনন্তকালব্যাপী দায়িমীভাবে সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ, ঈদে আ’যম, ঈদে আকবার পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করার জন্য। আর তাইতো ১৪৩৫ হিজরী সনের ৫৮ দিনব্যাপী মুবারক মাহফিল শেষ হতে না হতেই ১লা রবীউছ ছানী শরীফ হতে ঐতিহ্যবাহী রাজারবাগ দরবার শরীফে শুরু করেন অনন্তকালব্যাপী পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন উপলক্ষে মুবারক মাহফিল। সুবহানাল্লাহ!
রাজারবাগ শরীফ উনার সম্মানিত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার এই অভূতপূর্ব মুবারক তাজদীদ, মুবারক কাজ ও মুবারক আমল ইত্যাদি দ্বারাই প্রমাণিত হয়, তিনিই হচ্ছেন কুল-কায়িনাতের সর্বশ্রেষ্ঠ মুজাদ্দিদ, সর্বশ্রেষ্ঠ ওলীআল্লাহ। সুবহানাল্লাহ!

0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন