কাট্টা কাফির আবরাহা সম্মানিত কা’বা শরীফ ধ্বংস করতে এসে সাইয়্যিদুনা হযরত জাদ্দু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত দোআ মুবারক উনার বদৌলতে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়ার দ্বারাও বিষয়টি সুস্পষ্ট হয়ে উঠেছে যে, মহান আল্লাহ পাক উনার সাথে জাদ্দু রসূলিনা সাইয়্যিদুনা হযরত জাদ্দু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত তাওল্লুক-নিসবত মুবারক কত বেমেছাল। সুবহানাল্লাহ। এই সম্পর্কে কিতাব-এ বর্ণিত রয়েছে, তিনি আবরাহার বিরুদ্ধে এইভাবে সম্মানিত মুনাজাত মুবারক করেছিলেন-
اللهم ان المرء يمنع + رحله فامنع رحالك
وانصر على ال الصليب + وعابديه اليوم لك
لا يغلبن صليبهم + ومحالهم ابدا محالك
جروا جميع بلادهم + والفيل كى يسبوا عيالك
عمدوا حمال بليدهم + جهلا وما رقبوا جلالك
অর্থ: “হে আল্লাহ পাক! বান্দা তার জায়গার হিফাযত করে, আর আপনি নিজ ঘরের হিফাযত করুন। ক্রুশের অধিকারী এবং ক্রুশের উপসনাকারীদের মুকাবিলায় আপনার অনুসারীদের সাহায্য করুন। ওদের ক্রুশ এবং ওদের প্রচেষ্টা আপনার ইচ্ছার উপর কখনো বিজয়ী হতে পারে না। সৈন্য-সামন্ত ও হাতি নিয়ে আবরাহা এসেছে আপনার প্রতিবেশীদের গ্রেফতার করতে। আপনার পবিত্র ঘর ধ্বংস করার উদ্দেশ্য নিয়ে জিহালতীর কারণে তারা এ সংকল্প করেছে, তারা আপনার বড়ত্ব ও শক্তির প্রতি কোনো ভ্রƒক্ষেপ করছে না।” (দালাইলিনু নুুবুওওয়াহ, মাদারিযুন নবুওওয়াত, সীরাতুল মুস্তফা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)সাইয়্যিদুনা হযরত জাদ্দু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সম্মানিত কা’বা শরীফ উনার সম্মানিত গিলাফ মুবারক ধরে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত উসীলা মুবারক দিয়ে দোয়া করলেন, আয় বারে ইলাহী! আমি তো সম্মানিত কা’বা শরীফ উনার মালিক না, আপনি মালিক। আমাকে দেখা শুনার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে, আমি দেখাশুনা করে রাখতে ছিলাম। এখন হঠাৎ করে আবরাহা এসেছে তার সৈন্য সামন্ত নিয়ে, হাতি-ঘোড়া নিয়ে, অস্ত্রপাতি নিয়ে। আয় বারে ইলাহী! আমাদের সেই প্রস্তুতি নেই তার মোকাবেলা করার। সাইয়্যিদুনা হযরত আব্দুল মুত্ত্বালিব আলাইহিস সালাম তিনি আরো বললেন, আমাদের প্রস্তুতি নেই আয় বারে ইলাহী! কাজেই, আপনি সম্মানিত কা’বা শরীফ উনার মালিক, আপনিই উনার হিফাযতকারী। আপনিই হিফাযত করুন। (আমীন) (মুজাদ্দিদে আ’যম সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার সম্মানিত মুকবুল মুনাজাত শরীফ)
উনার সম্মানিত দোয়া মুবারক উনার বদৌলতে আবরাহা তার দলবলসহ নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়। সুবহানাল্লাহ!
এই সকল বিষয় দ্বারা সাইয়্যিদুনা হযরত জাদ্দু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ফযীলত ও বুযূর্গী-সম্মান মুবারক উনার বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে যায়। সুবহানাল্লাহ!
স্বয়ং উনার সম্মানিত আওলাদ সাইয়্যিদুনা হযরত যাবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেছেন,
وَإِن ابِىْ ذُو الْمَجْدِ وَالسُّؤْدَدِ الَّذِىْ .
يُشَارُ بِهِ مَا بَيْنَ نَشْزٍ إِلَى خَفْضِ
অর্থ: “আর নিশ্চয়ই আমার সম্মানিত পিতা সাইয়্যিদুনা হযরত আব্দুল মুত্ত্বালিব আলাইহিস সালাম তিনি হচ্ছেন সীমাহীন মর্যাদা-মর্তবা, শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক ও সম্মানিত কর্তৃত্ব মুবারক উনার অধিকারী। উনার সম্মানিত ইশারা-ইঙ্গিত মুবারক-এ, নির্দেশ মুবারক-এ পরিচালিত হয় উঁচু থেকে নিচু (সম্মানিত আরশে আযীম থেকে তাহ্তাছছারা পর্যন্ত) এতোদুভয়ের মাঝে (সারা কায়িনাতে) যা কিছু রয়েছে সমস্ত কিছু। (সুবহানাল্লাহ!) (‘আল হাওই শরীফ ২/২২১, মাসালিকুল হুনাফা ফী হুকমি ঈমানি ওয়ালিদাইল মুছত্বফা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ২৫ পৃষ্ঠা, সুবুলুল হুদা ওয়ার রশাদ ফী সীরাতি খইরিল ইবাদ শরীফ ১/২৪৭, সুমতুন নুজূম ১/২৯৮ ইত্যাদি)
اللهم ان المرء يمنع + رحله فامنع رحالك
وانصر على ال الصليب + وعابديه اليوم لك
لا يغلبن صليبهم + ومحالهم ابدا محالك
جروا جميع بلادهم + والفيل كى يسبوا عيالك
عمدوا حمال بليدهم + جهلا وما رقبوا جلالك
অর্থ: “হে আল্লাহ পাক! বান্দা তার জায়গার হিফাযত করে, আর আপনি নিজ ঘরের হিফাযত করুন। ক্রুশের অধিকারী এবং ক্রুশের উপসনাকারীদের মুকাবিলায় আপনার অনুসারীদের সাহায্য করুন। ওদের ক্রুশ এবং ওদের প্রচেষ্টা আপনার ইচ্ছার উপর কখনো বিজয়ী হতে পারে না। সৈন্য-সামন্ত ও হাতি নিয়ে আবরাহা এসেছে আপনার প্রতিবেশীদের গ্রেফতার করতে। আপনার পবিত্র ঘর ধ্বংস করার উদ্দেশ্য নিয়ে জিহালতীর কারণে তারা এ সংকল্প করেছে, তারা আপনার বড়ত্ব ও শক্তির প্রতি কোনো ভ্রƒক্ষেপ করছে না।” (দালাইলিনু নুুবুওওয়াহ, মাদারিযুন নবুওওয়াত, সীরাতুল মুস্তফা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)সাইয়্যিদুনা হযরত জাদ্দু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সম্মানিত কা’বা শরীফ উনার সম্মানিত গিলাফ মুবারক ধরে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত উসীলা মুবারক দিয়ে দোয়া করলেন, আয় বারে ইলাহী! আমি তো সম্মানিত কা’বা শরীফ উনার মালিক না, আপনি মালিক। আমাকে দেখা শুনার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে, আমি দেখাশুনা করে রাখতে ছিলাম। এখন হঠাৎ করে আবরাহা এসেছে তার সৈন্য সামন্ত নিয়ে, হাতি-ঘোড়া নিয়ে, অস্ত্রপাতি নিয়ে। আয় বারে ইলাহী! আমাদের সেই প্রস্তুতি নেই তার মোকাবেলা করার। সাইয়্যিদুনা হযরত আব্দুল মুত্ত্বালিব আলাইহিস সালাম তিনি আরো বললেন, আমাদের প্রস্তুতি নেই আয় বারে ইলাহী! কাজেই, আপনি সম্মানিত কা’বা শরীফ উনার মালিক, আপনিই উনার হিফাযতকারী। আপনিই হিফাযত করুন। (আমীন) (মুজাদ্দিদে আ’যম সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার সম্মানিত মুকবুল মুনাজাত শরীফ)
উনার সম্মানিত দোয়া মুবারক উনার বদৌলতে আবরাহা তার দলবলসহ নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়। সুবহানাল্লাহ!
এই সকল বিষয় দ্বারা সাইয়্যিদুনা হযরত জাদ্দু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ফযীলত ও বুযূর্গী-সম্মান মুবারক উনার বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে যায়। সুবহানাল্লাহ!
স্বয়ং উনার সম্মানিত আওলাদ সাইয়্যিদুনা হযরত যাবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেছেন,
وَإِن ابِىْ ذُو الْمَجْدِ وَالسُّؤْدَدِ الَّذِىْ .
يُشَارُ بِهِ مَا بَيْنَ نَشْزٍ إِلَى خَفْضِ
অর্থ: “আর নিশ্চয়ই আমার সম্মানিত পিতা সাইয়্যিদুনা হযরত আব্দুল মুত্ত্বালিব আলাইহিস সালাম তিনি হচ্ছেন সীমাহীন মর্যাদা-মর্তবা, শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক ও সম্মানিত কর্তৃত্ব মুবারক উনার অধিকারী। উনার সম্মানিত ইশারা-ইঙ্গিত মুবারক-এ, নির্দেশ মুবারক-এ পরিচালিত হয় উঁচু থেকে নিচু (সম্মানিত আরশে আযীম থেকে তাহ্তাছছারা পর্যন্ত) এতোদুভয়ের মাঝে (সারা কায়িনাতে) যা কিছু রয়েছে সমস্ত কিছু। (সুবহানাল্লাহ!) (‘আল হাওই শরীফ ২/২২১, মাসালিকুল হুনাফা ফী হুকমি ঈমানি ওয়ালিদাইল মুছত্বফা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ২৫ পৃষ্ঠা, সুবুলুল হুদা ওয়ার রশাদ ফী সীরাতি খইরিল ইবাদ শরীফ ১/২৪৭, সুমতুন নুজূম ১/২৯৮ ইত্যাদি)

0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন