728x90 AdSpace

  • Latest News

    ছহিবে মি’রাজ, ছহিবে কাবা কাওছাইনি আও আদনা, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর ‘আরশে মুয়াল্লায়’ তাশরীফ ও আনুষ্ঠানিকভাবে আল্লাহ পাক-এর দীদার, সাক্ষাৎ ও ছোহবত লাভ (২৪)

    মুকাদ্দামাহ
    হাদীছ শরীফ-এ এসেছে, হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, “যে ব্যক্তি কুরআন শরীফ-এর মনগড়া বা স্বীয় রায় অনুযায়ী তাফসীর বা ব্যাখ্যা করবে সে যেন তার স্থান দোযখে নির্ধারণ করে নেয়।” (তিরমিযী শরীফ, মিশকাত শরীফ)

    ইসলামের শুরু থেকে ইহুদী-মুশরিক-খ্রিস্টান বা বিধর্মীরা তাদের অনুসারী বাতিল ৭২ ফিরকা ওহাবী, খারিজী, রাফিজী তথা উলামায়ে ‘ছূ’ গংরা কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ-এর মনগড়া তাফসীর বা ব্যাখ্যা করে আসছে। ঐ সমস্ত বদ আক্বীদাযুক্ত, বিভ্রান্তিমূলক ও মনগড়া তাফসীর বা ব্যাখ্যা পরিহার করে নবীদের নবী, রসূলদের রসূল, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মি’রাজ শরীফ-এ মহান আল্লাহ পাক-এর হাক্বীক্বী দীদার, দর্শন ও ছোহবত লাভ করেছেন সে সম্পর্কে বিশুদ্ধ, গ্রহণযোগ্য, আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের ছহীহ আক্বীদাযুক্ত তাফসীরসমূহ থেকে দলীল-আদিল্লা উপস্থাপন করা হলো।
    তাফসীরে হাসান বছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি
    ইমামুশ শরীয়ত ওয়াত ত্বরীকত, সাইয়িদুত্‌ ত্বয়ীফাহ হযরত হাসান বছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার বিশ্ব বিখ্যাত, প্রসিদ্ধ ও নির্ভরযোগ্য তাফসীর গ্রন' ‘তাফসীরে হাসান বছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি’ ৮৫ ও ৮৬ পৃষ্ঠায় ১৫৭৪ নম্বর তাফসীরে উল্লেখ করেন।
    আল্লাহ পাক কুরআন শরীফ-এর সূরা নজম ১১ নম্বর আয়াত শরীফ-এ ইরশাদ করেন, “তিনি (নূরে মুজাস্‌সাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যে (আল্লাহ পাককে) দেখেছেন তার অন্তর মুবারক অস্বীকার করেনি।”
    ইমামুশ শরীয়ত ওয়াত্‌ তরীক্বত হযরত হাসান বছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, “নিশ্চয়ই নূরে মুজাস্‌সাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মহান আল্লাহ পাককে হাক্বীক্বীভাবে দেখেছেন।”
    বিশিষ্ট ছাহাবী, রঈসুল মুফাস্‌সিরীন হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু, হযরত কা’ব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু ও হযরত আনাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনারা তিনজন ছাহাবায়ে কিরাম বলেন, “নিশ্চয়ই নূরে মুজাস্‌সাম ও হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার রব আল্লাহ পাককে মি’রাজ শরীফ-এর রাত্রিতে দেখেছেন।”
    হযরত হাসান বছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর ক্বওল (মত) সমূহের মধ্যে এটি একটি মত। রঈসুল মুফাস্‌সিরীন হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, “তোমরা কি আশ্চর্য বোধ করছ যে হযরত ইবরাহীম আলাইহিস্‌ সালাম আল্লাহ পাক-এর খলীল (বন্ধু) ছিলেন, হযরত মূসা আলাইহিস্‌ সালাম আল্লাহ পাক-এর কালীম ছিলেন তথা আল্লাহ পাক-এর সাথে কথা বলতেন এবং সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মহান আল্লাহ পাক-এর দীদার ও সাক্ষাৎ লাভ করেছেন।” অর্থাৎ এতে আশ্চর্যের কিছু্‌ই নেই।
    উপরোক্ত হাদীছ শরীফখানা মুসতাদরিকে হাকিম ২য় জিল্‌দ ৪৬৯ পৃষ্ঠায় উল্লেখ রয়েছে, হযরত হাকিম রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন উক্ত হাদীছ শরীফখানা ছহীহ হযরত বুখারী রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর শর্তের উপর।
    কাজেই, বিশিষ্ট তিনজন ছাহাবী থেকে বর্ণিত ছহীহ হাদীছ শরীফ দ্বারাই সুস্পষ্ট ভাবে দিবালোকের ন্যায় প্রমাণিত যে, আল্লাহ পাক-এর হাবীব, নবীদের নবী, রসূলদের রসূল, নূরে মুজাস্‌সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মহান আল্লাহ পাককে হাক্বীক্বী সূরত মুবারকে দেখেছেন দীদার লাভ করেছেন। (সুবহানাল্লাহ)
    http://al-ihsan.net/FullText.aspx?subid=2&textid=57
    • Blogger Comments
    • Facebook Comments

    0 মন্তব্য(গুলি):

    একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

    Item Reviewed: ছহিবে মি’রাজ, ছহিবে কাবা কাওছাইনি আও আদনা, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর ‘আরশে মুয়াল্লায়’ তাশরীফ ও আনুষ্ঠানিকভাবে আল্লাহ পাক-এর দীদার, সাক্ষাৎ ও ছোহবত লাভ (২৪) Rating: 5 Reviewed By: Baitul Hikmah
    Scroll to Top