728x90 AdSpace

  • Latest News

    সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হাবীবুল্লাহ, হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হচ্ছেন আল্লাহ পাক উনার রহমত। আর উনাকে পাওয়ার কারনে ঈদ বা খুশি প্রকাশ করা আল্লাহ পাক উনার আদেশ।

    মহান আল্লাহ পাক ইরশাদ মুবারক করেন, হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমি আপনাকে সমগ্র জগতের জন্য রহমত স্বরূপ প্রেরন করেছি। (সূরা আম্বিয়া ১০৭) সমগ্র জগতে রহমত হচ্ছেন সাইয়্যিদুল মুরসালী
    ন,ইমামুল মুরসালীন, হাবীবুল্লাহ, হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। উনাকে রহমত হিসাবে প্রেরন করা হয়েছে। আর মহান আল্লাহ পাক আরো ইরশাদ মুবারক করেন, ثُمَّ تَوَلَّيْتُم مِّن بَعْدِ ذَٰلِكَۖ فَلَوْلَا فَضْلُ اللَّـهِ عَلَيْكُمْ وَرَحْمَتُهُ لَكُنتُم مِّنَ الْخَاسِرِينَ ﴿٦٤﴾ অর্থ: তারপরেও তোমরা তা থেকে ফিরে গেছো। কাজেই আল্লাহ পাক উনার অনুগ্রহ ও রহমত যদি তোমাদের উপর না থাকত, তবে অবশ্যই তোমরা ধবংস হয়ে যেতে। (সূরা বাক্বারা শরীফ ৬৪ ) এই পবিত্র আয়াত শরীফ উনার তাফসীরে দেওবন্দীদের অন্যতম মুরুব্বী পাকিস্তানের মুফতে শফী তার “মারেফুল কুরআন” তাফসীরে লিখেছে, “আর হাদীছ শরীফের ভিত্তিতে যেহেতু আযাব অবর্তীন না হওয়াটা মহানবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বরকত। কাজেই কোন কোন তাফসীর কারক মহানবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আর্বিভাবকেই আল্লাহ পাকের রহমত ও করুনা বলে বিশ্লেষন করেছেন।” (তাফসীরে মারেফুল কুরআন : সূরা বাক্করা শরীফ উনার ৬৪ নং আয়াত শরীফ উনার তাফসীর) বর্তমান সময়ে পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ বা পবিত্র ঈদে মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিরোধীতাকারীদের অন্যতম মুরুব্বী মুফতে শফীর তাফসীর থেকেই দেখতে পাওয়া গেলো নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আগমনকে রহমত ও অনুগ্রহ হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে। আর মহান আল্লাহ পাক সেই বিষয়টা স্পষ্ট করে বলে দিলেন, قال بفضل الله و برحمته فبذالك فليفرحوا هو خيرمما يجمعون হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি বলে দিন, মহান আল্লাহ পাক উনার অনুগ্রহ ও রহমত তথা নূরে মুজাসাম, হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে পাওয়ার কারনে খুশি প্রকাশ করো। এই খুশি প্রকাশ করা হচ্ছে সব কিছুর চাইতে উত্তম। (পবিত্র সূরা ইউনূছ আলাইহিস সালাম : আয়াত শরীফ ৫৮) উক্ত আয়াত শরীফ উনার “রহমত” শব্দের তাফসীরে পৃথিবী বিখ্যাত সব তাফসীরের কিতাবে সাইয়্যিদুল মুরসালীন,ইমামুল মুরসালীন, হাবীবুল্লাহ, হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কথাই বলা হয়েছে। উক্ত আয়াত শরীফ উরার তাফসিরে বিখ্যাত মুফাসসির, সমগ্র মাদ্রাসায় যাঁর তাফসীর পড়ানো হয়, হাফিযে হাদীস, আল্লামা জালালুদ্দীন সূয়ুতী রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন, عن ابن عباس رضي الله تعال عنهما قال في الاية فضل الله العلم و رحمته محمد صلي الله عليه و سلم قال الله تعالي وما ارسلناك الا رحمة للعلمين অর্থ : হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা বলেন, এ আয়াত শরীফ উনার তাফসিরে এখানে আল্লাহ পাক উনার অনুগ্রহ বলতে “ইলিম” বুঝানো হয়েছে। আর রহমত দ্বারা বুঝানো হয়েছে “সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হাবীবুল্লাহ, হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম” উনাকে। যেমন, আল্লাহ পাক বলেন, আমিতো আপনাকে তামাম আলমের জন্য রহমত স্বরূপ প্রেরন করেছি।” (দলীল- তাফসীরে দুররে মানছুর ১০ নং সূরা শরীফ ১১ পারা- সূরা ইউনূছ ৫৮ আয়াত, তাফসীরে রুহুল মা’য়ানী, তাফসীরে কবীর) উক্ত আয়াত শরীফ উনার তাফসীরে ” রহমত” মানে কিন্তু সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হাবীবুল্লাহ, হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে বুঝানো হয়েছে। অর্থ দাঁড়াচ্ছে, আল্লাহ পাক উনার অনুগ্রহ এবং সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হাবীবুল্লাহ, হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আগমনের কারনে খুশি বা ঈদ পালন করো। উপরোক্ত সূরা আম্বিয়া ১০৭ নং আয়াত শরীফ ও সূরা বাক্বারা ৬৪ নং আয়াত শরীফ থেকে আমরা জানতে পারলাম “রহমত” হচ্ছেন স্বয়ং সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হাবীবুল্লাহ, হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম । উছুলে তাফসীরে তাফসীর করার কয়েকটা প্রকারের কথা উল্লেখ করা আছে। প্রথমত, আয়াত শরীফ দিয়ে আয়াত শরীফ উনার তাফসীর। দ্বিতীয়ত, হাদীছ শরীফ দ্বারা আয়াত শরীফ উনার তাফসীর। তৃতীয়ত, হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু আনহুম উনাদের ব্যাখা দ্বারা আয়াত শরীফ উনার তাফসীর। চর্তুথত, ইমাম মুজতাহিদ রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের ব্যাখা দ্বারা আয়াত শরীফ উনার তাফসীর। এবার আমরা পবিত্র সূরা ইউনুছ উনার ৫৮ নম্বর আয়াত শরীফ উনার তাফসীর এই চার প্রক্রিয়ায় দেখবো। মহান আল্লাহ পাক বলেন, হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি বলে দিন, আল্লাহপাক উনার অনুগ্রহ ও রহমত পাওয়ার কারনে খুশি প্রকাশ করো। এই খুশি প্রকাশ করা হচ্ছে সব কিছুর চাইতে উত্তম। (পবিত্র সূরা ইউনূছ আলাইহিস সালাম : আয়াত শরীফ ৫৮) এই আয়াত শরীফে “রহমত” বলতে কি বুঝানো হয়েছে এটা জানতে পারলেই পবিত্র সাইয়্যিদুল আইয়াদ শরীফ পালনের বিষয়টা পানির মত পরিষ্কার হয়ে যাবে। তাফসীর গুলো দেখা যাক- আয়াত শরীফ দ্বারা আয়াত শরীফ উনার তাফসীর: মহান আল্লাহপাক ইরশাদ করেন, হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমি আপনাকে সমগ্র জগতের জন্য রহমত স্বরূপ প্রেরন করেছি। (সূরা আম্বিয়া ১০৭) এই আয়াত শরীফ দ্বারা মহান আল্লাহ পাক রহমত উনার সজ্ঞা দিয়ে দিলেন। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হাবীবুল্লাহ, হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হচ্ছেন আল্লাহ পাক উনার রহমত। সূতরাং রহমত মুবারক পাওয়ার কারনে খুশি প্রকাশ করা আল্লাহ পাক উনার আদেশ মুবারক। হাদীছ শরীফ দ্বারা আয়াত শরীফ উনার তাফসীর: সাইয়্যিদুল মুরসালীন,ইমামুল মুরসালীন, হাবীবুল্লাহ, হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, وعن أبي أمامة قال : قال النبي صلى الله عليه وسلم إن الله تعالى بعثني رحمة للعالمين অর্থ: “নিশ্চয়ই আল্লাহ পাক তিনি আমাকে তামাম আলমের জন্য রহমত হিসেবে পাঠিয়েছেন” (তাবরানী শরীফ, মুসনাদে আহমদ, মিরকাত শরীফ, দালায়েলুন নবুওওয়া লি আবু নুয়াইম ১) উক্ত পবিত্র হাদীছ শরীফ দ্বারা সূরা ইউনূছ উনার ৫৮ নং আয়াত উনার ব্যাখা পাওয়া গেলো। স্বয়ং সাইয়্যিদুল মুরসালীন,ইমামুল মুরসালীন, হাবীবুল্লাহ, হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ মুবারক করেন, তিনিই হচ্ছেন আল্লাহ পাক উনার রহমত। সূতরাং সাইয়্যিদুল মুরসালীন,ইমামুল মুরসালীন, হাবীবুল্লাহ, হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে পাওয়ার কারনে খুশি প্রকাশ করতে হবে এটা হাদীছ শরীফ উনার ব্যাখা দ্বারা প্রমান হলো। হযরত ছাহাবায়ে কিরাম উনাদের ব্যাখা দ্বারা আয়াত শরীফ উনার তাফসীর: সূরা ইউনূছ শরীফ উনার ৫৮ নং আয়াত শরীফ উনার তাফসীরে বিখ্যাত ছাহাবী রঈসূল মুফাসসিরীন ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, “এ আয়াত শরীফ উনার তাফসীরে এখানে মহান আল্লাহ পাক উনার রহমত দ্বারা বুঝানো হয়েছে “সাইয়্যিদুল মুরসালীন,ইমামুল মুরসালীন, হাবীবুল্লাহ, হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম” উনাকে। যেমন, আল্লাহ পাক ইরশাদ মুবারক করেন, আমিতো আপনাকে তামাম আলমের জন্য রহমত স্বরূপ প্রেরন করেছি।” (দলীল- তাফসীরে দুররে মানছুর ১০ নং সূরা শরীফ ১১ পারা- সূরা ইউনূছ ৫৮ আয়াত) সূতরাং তাফসীর কারকদের মাথার তাজ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু আনহু তিনি সূরা ইউনূছ শরীফ উনার ৫৮ আয়াত শরীফে রহমত দ্বারা “সাইয়্যিদুল মুরসালীন,ইমামুল মুরসালীন, হাবীবুল্লাহ, হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে বুঝানো হয়েছে। আর এ কারনে খুশি প্রকাশ করতে হবে। ইমাম মুজতাহিদ উনাদের ব্যাখা দ্বারা আয়াত শরীফ উনার তাফসীর: হাফিজে হাদীস, মুজাদ্দিদে যামান, বিখ্যাত মুফাসসির হযরত জালালুদ্দীন সূয়ুতি রহমতুল্লাহি আলাইহি, তাজুল মানতেকীন ফখরুদ্দীন রাজী রহমতল্লাহি আলাইহি, বিখ্যাত মুফাসসির আল্লামা আলুসী বাগদাদী রহমতল্লাহি আলাইহি বলেন, তাফসীরে বর্ণিত রহমত মুবারক হচ্ছেন “সাইয়্যিদুল মুরসালীন,ইমামুল মুরসালীন, হাবীবুল্লাহ, হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি। (দলীল- তাফসীরে দুররে মানছুর ১০ নং সূরা শরীফ ১১ পারা- সূরা ইউনূছ ৫৮ আয়াত, তাফসীরে রুহুল মা’য়ানী, তাফসীরে কবীর) উপরোক্ত চার প্রকার তাফসীর থেকে স্পষ্ট প্রমাণ হলো, মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি বলে দিন, আল্লাহ পাক উনার অনুগ্রহ ও রহমত “সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হাবীবুল্লাহ, হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে পাওয়ার কারনে খুশি প্রকাশ করো। এই খুশি প্রকাশ করা হচ্ছে সব কিছুর চাইতে উত্তম। (পবিত্র সূরা ইউনূছ আলাইহিস সালাম : আয়াত শরীফ ৫৮)
    • Blogger Comments
    • Facebook Comments

    0 মন্তব্য(গুলি):

    একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

    Item Reviewed: সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হাবীবুল্লাহ, হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হচ্ছেন আল্লাহ পাক উনার রহমত। আর উনাকে পাওয়ার কারনে ঈদ বা খুশি প্রকাশ করা আল্লাহ পাক উনার আদেশ। Rating: 5 Reviewed By: Baitul Hikmah
    Scroll to Top