রে মুজাস্সাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হলেন সৃষ্টির মূল, যিনি সারা আলমের জন্য রহমত। যাকে সৃষ্টি না করলে কোন কিছুই করা হতো না। এমনকি চন্দ্র, সূর্য, পৃথিবী, মানুষ কিছুই সৃষ্টি হতো না। সেই আল্লাহ পাক-এর হাবীব, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন্ নাবিয়্যীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর শানে মীলাদ শরীফ পাঠ ও ক্বিয়াম করা নিয়ে আমাদের দেশে কিছু নামধারী মুফতী, মুহাদ্দিছ, মুফাস্সির, শায়খুল হাদীছ, শায়খুত্ তাফসীর, খতীব নামধারী আলিম ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের বিভ্রান্ত করার জন্য নানা ফন্দি-ফিকির করছে। তারাই উলামায়ে ‘ছূ’ যারা বিভিন্ন সময় হারামকে হালাল, হালালকে হারাম, নাজায়িযকে জায়িয, জায়িযকে নাজায়িয হিসাবে ফতওয়া দেয়।
কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান না থাকার কারণেই এসব উলামায়ে ‘ছূ’রা খোদ আল্লাহ পাক-এর হাবীব, নূরে মুজাস্সাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর শানে মীলাদ শরীফ পাঠ ও ক্বিয়াম করাকে নিয়ে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের মধ্যে ধূম্রজাল সৃষ্টি করছে। তারা মীলাদ শরীফ পাঠ করা ও ক্বিয়াম করাকে বিদয়াত হিসেবে ফতওয়া দিচ্ছে। হাদীছ শরীফ-এ বর্ণিত আছে, “হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু একদা তাঁর নিজগৃহে সমবেত ছাহাবীগণকে আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর ঘটনাসমূহ শুনাচ্ছিলেন। এতে শ্রবণকারীগণ আনন্দ ও খুশি প্রকাশ করছিলেন এবং আল্লাহ পাক-এর প্রশংসা তথা তাসবীহ-তাহলীল পাঠ করছিলেন এবং আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর উপর ছলাত ও সালাম তথা দরূদ শরীফ পাঠ করছিলেন। এমন সময়ে রসূলে পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সেখানে উপসি'ত হলেন এবং মীলাদ শরীফ-এর পাঠের অনুষ্ঠান দেখে বললেন, তোমাদের জন্য আমার শাফায়াত ওয়াজিব হয়ে গেলো।”
আরেকটি হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, “হযরত আবু দারদা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু একদা তিনি রসূলে পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সাথে হযরত আমির আনছারী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু-এর গৃহে উপসি'ত হয়ে দেখতে পেলেন যে, তিনি তাঁর সন্তানাদি এবং আত্মীয়-স্বজন, জ্ঞাতি-গোষ্ঠী, পাড়া-প্রতিবেশীদেরকে নিয়ে রসূলে পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর বিলাদত শরীফ-এর ঘটনাসমূহ শুনাচ্ছেন এবং বললেন, এই দিবসে রসূলে পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যমীনে তাশরীফ এনেছেন। এই দিবসে এটা সংঘটিত হয়েছে ইত্যাদি ইত্যাদি। এতদ্শ্রবণে রসূলে পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ পাক রহমতের দরজা আপনার জন্য উন্মুক্ত করেছেন এবং সমস্ত ফেরেশতাগণ আপনার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করছেন এবং যে কেউ আপনার মত এরূপ কাজ করবে, আপনার মত সেও নাযাত বা ফযীলত লাভ করবে।”
উলামায়ে ‘ছূ’রা উপরোক্ত হাদীছ শরীফদ্বয়ের মর্মার্থ উপলব্ধি করতে পারলে বুঝতে পারতেন আখিরী রসূল, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মীলাদ শরীফ-এর মজলিসকে শুধু সমর্থনই করেননি বরং তা করার জন্যে উম্মতদেরকে বিশেষভাবে উৎসাহিত করেছেন। অথচ বর্তমানে ওহাবী, খারিজী, অতি সুন্নী, রেযাখানী, জামাতী, তাবলীগী, লা-মাযহাবী, দেওবন্দী ইত্যাদি ফিরকার লোকেরা তথা উলামায়ে ‘ছূ’ আল্লাহ পাক-এর হাবীব, নূরে মুজাস্সাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর শানে মীলাদ শরীফ পাঠ ও ক্বিয়াম করাকে বিদ্য়াত বলে প্রচার করছে যা কিনা কুফরীর অন্তর্ভুক্ত।
যামানার খাছ লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস্ সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম, মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম-এই উছীলায় আল্লাহ পাক আমাদেরকে এসব নামধারী আলিমদেরকে সব চক্রান্ত থেকে হিফাজত করুন। (আমীন)
কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান না থাকার কারণেই এসব উলামায়ে ‘ছূ’রা খোদ আল্লাহ পাক-এর হাবীব, নূরে মুজাস্সাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর শানে মীলাদ শরীফ পাঠ ও ক্বিয়াম করাকে নিয়ে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের মধ্যে ধূম্রজাল সৃষ্টি করছে। তারা মীলাদ শরীফ পাঠ করা ও ক্বিয়াম করাকে বিদয়াত হিসেবে ফতওয়া দিচ্ছে। হাদীছ শরীফ-এ বর্ণিত আছে, “হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু একদা তাঁর নিজগৃহে সমবেত ছাহাবীগণকে আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর ঘটনাসমূহ শুনাচ্ছিলেন। এতে শ্রবণকারীগণ আনন্দ ও খুশি প্রকাশ করছিলেন এবং আল্লাহ পাক-এর প্রশংসা তথা তাসবীহ-তাহলীল পাঠ করছিলেন এবং আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর উপর ছলাত ও সালাম তথা দরূদ শরীফ পাঠ করছিলেন। এমন সময়ে রসূলে পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সেখানে উপসি'ত হলেন এবং মীলাদ শরীফ-এর পাঠের অনুষ্ঠান দেখে বললেন, তোমাদের জন্য আমার শাফায়াত ওয়াজিব হয়ে গেলো।”
আরেকটি হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, “হযরত আবু দারদা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু একদা তিনি রসূলে পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সাথে হযরত আমির আনছারী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু-এর গৃহে উপসি'ত হয়ে দেখতে পেলেন যে, তিনি তাঁর সন্তানাদি এবং আত্মীয়-স্বজন, জ্ঞাতি-গোষ্ঠী, পাড়া-প্রতিবেশীদেরকে নিয়ে রসূলে পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর বিলাদত শরীফ-এর ঘটনাসমূহ শুনাচ্ছেন এবং বললেন, এই দিবসে রসূলে পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যমীনে তাশরীফ এনেছেন। এই দিবসে এটা সংঘটিত হয়েছে ইত্যাদি ইত্যাদি। এতদ্শ্রবণে রসূলে পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ পাক রহমতের দরজা আপনার জন্য উন্মুক্ত করেছেন এবং সমস্ত ফেরেশতাগণ আপনার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করছেন এবং যে কেউ আপনার মত এরূপ কাজ করবে, আপনার মত সেও নাযাত বা ফযীলত লাভ করবে।”
উলামায়ে ‘ছূ’রা উপরোক্ত হাদীছ শরীফদ্বয়ের মর্মার্থ উপলব্ধি করতে পারলে বুঝতে পারতেন আখিরী রসূল, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মীলাদ শরীফ-এর মজলিসকে শুধু সমর্থনই করেননি বরং তা করার জন্যে উম্মতদেরকে বিশেষভাবে উৎসাহিত করেছেন। অথচ বর্তমানে ওহাবী, খারিজী, অতি সুন্নী, রেযাখানী, জামাতী, তাবলীগী, লা-মাযহাবী, দেওবন্দী ইত্যাদি ফিরকার লোকেরা তথা উলামায়ে ‘ছূ’ আল্লাহ পাক-এর হাবীব, নূরে মুজাস্সাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর শানে মীলাদ শরীফ পাঠ ও ক্বিয়াম করাকে বিদ্য়াত বলে প্রচার করছে যা কিনা কুফরীর অন্তর্ভুক্ত।
যামানার খাছ লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস্ সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম, মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম-এই উছীলায় আল্লাহ পাক আমাদেরকে এসব নামধারী আলিমদেরকে সব চক্রান্ত থেকে হিফাজত করুন। (আমীন)
 

 
 
 
 
 
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন