পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন যে, একদা তিনি উনার বাড়িতে কিছু লোকজন একত্রিত করে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র বিলাদত শরীফ উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করে তাসবীহ তাহলীল, প্রশংসা এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি ছলাত শরীফ বা পবিত্র দুরূদ শরীফ পাঠ করছিলেন। অতঃপর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সেখানে তাশরীফ মুবারক নিলেন। (দেখে) বললেন, আপনাদের জন্য আমার সুপারিশ ওয়াজিব হয়ে গেলো। সুবহানাল্লাহ!
এ প্রসঙ্গে আরো একখানা পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে- হযরত আবু দারদা রদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আমি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে হযরত আমির আনছারী রদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহু উনার নিজ গৃহে তাশরীফ মুবারক নিয়ে দেখতে পেলাম তিনি উনার সন্তানাদি, আত্মীয়-স্বজন পাড়া-প্রতিবেশী সকলকে নিয়ে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র বিলাদত শরীফ উনার ঘটনাসমূহ শুনাচ্ছেন। এবং বলছিলেন এই দিন এই দিন। (পবিত্র মীলাদ শরীফ উনার মাহফিল করে) (তখন) নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সেখানে উপস্থিত হয়ে ইরশাদ মুবারক করলেন, নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক আপনার জন্য রহমতের সমস্ত দরজা খুলে দিয়েছেন। সুবহানাল্লাহ! হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা আপনার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করছেন এবং আপনার মতো ক্বিয়ামত পর্যন্ত যারা (পবিত্র মীলাদ শরীফ উনার মাহফিল) এভাবে আমল করবে (ক্বিয়ামত পর্যন্ত) তারাও আপনার মতোই নাজাত (জান্নাত) লাভ করবে। সুবহানাল্লাহ! উল্লেখিত পবিত্র হাদীছ শরীফ দুখানা দ্বারা সুস্পষ্টভাবে বুঝা যায় যে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মীলাদ শরীফ ও ক্বিয়াম শরীফ মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন। সুবহানাল্লাহ! অর্থাৎ হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহুম উনারাই মীলাদ শরীফ ক্বিয়াম শরীফ করেছেন। সুবহানাল্লাহ! বর্তমান যামানার যিনি সুমহান মুজাদ্দিদে আ’যম, খলীফাতুল্লাহ ওয়া রসূলিল্লাহ, মুহইউস সুন্নাহ, সাইয়্যিদুল আওলিয়া, আওলাদে রসূল ঢাকা রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি পবিত্র মীলাদ শরীফ ও ক্বিয়াম শরীফ উনার এত গুরুত্ব থাকার কারণেই সারা বিশ্বে সকল জিন-ইনসান উনাদের মাঝে জারি করে দিয়েছেন। সুবহানাল্লাহ! আজ উনারই অবদান যে শিশু বাচ্চা (৫ বছর) থেকে শুরু করে বৃদ্ধ এবং মাদরাসা পড়–য়া থেকে শুরু করে, রিকশা চালকসহ সকল প্রকার মানুষ পবিত্র মীলাদ শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াম শরীফ পড়েন ও পড়াতে পারেন। শুধু তাই নয়, তিনি পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের পরে পবিত্র মীলাদ শরীফ পাঠ করা জারি করেছেন। সুবহানাল্লাহ! এ থেকেই সহজে বুঝা যায় পবিত্র মীলাদ শরীফ উনার কত মর্যাদা ও গুরুত্ব রয়েছে। পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার হাক্বীক্বী শান-মান তুলে ধরেছেন তিনিই। তাই নাম করণ করেছেন, সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ, সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, সাইয়্যিদে ঈদে আকবর, পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অর্থাৎ সকল ঈদের সাইয়্যিদ, সকল মহান ঈদের সাইয়্যিদ, সকল বড় ঈদেরও সাইয়্যিদ পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। সুবহানাল্লাহ! শুধু তাই পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উপলক্ষে খুশি প্রকাশ এবং পালন করতে গিয়ে মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে অনন্তকালব্যাপি মাহফিল জারী করেছেন। যা হচ্ছে এবং হতেই থাকবে। সুবহানাল্লাহ! হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহুম উনাদের অনুসরণে দায়িমীভাবে, সদা-সর্বদা তিনি পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করে থাকেন এবং সারা কায়িনাতবাসীদের পালন করার জন্য বলেন। সুবহানাল্লাহ! সাইয়্যিদুনা মামদূহ আক্বা মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, সমস্ত আমল ও কাজগুলো পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উপলক্ষেই করতে হবে। কাজেই পবিত্র মীলাদ শরীফ ও পবিত্র কিয়াম শরীফ এবং সাইয়্যিদুল আইয়াদ শরীফ সমস্ত আমলের চেয়ে শ্রেষ্ঠ আমল এবং পূর্ব থেকেই ছিলো, আছে এবং তাকবে অনন্তকালব্যাপী।
http://al-ihsan.net/FullText.aspx?subid=1&textid=12145
এ প্রসঙ্গে আরো একখানা পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে- হযরত আবু দারদা রদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আমি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে হযরত আমির আনছারী রদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহু উনার নিজ গৃহে তাশরীফ মুবারক নিয়ে দেখতে পেলাম তিনি উনার সন্তানাদি, আত্মীয়-স্বজন পাড়া-প্রতিবেশী সকলকে নিয়ে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র বিলাদত শরীফ উনার ঘটনাসমূহ শুনাচ্ছেন। এবং বলছিলেন এই দিন এই দিন। (পবিত্র মীলাদ শরীফ উনার মাহফিল করে) (তখন) নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সেখানে উপস্থিত হয়ে ইরশাদ মুবারক করলেন, নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক আপনার জন্য রহমতের সমস্ত দরজা খুলে দিয়েছেন। সুবহানাল্লাহ! হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা আপনার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করছেন এবং আপনার মতো ক্বিয়ামত পর্যন্ত যারা (পবিত্র মীলাদ শরীফ উনার মাহফিল) এভাবে আমল করবে (ক্বিয়ামত পর্যন্ত) তারাও আপনার মতোই নাজাত (জান্নাত) লাভ করবে। সুবহানাল্লাহ! উল্লেখিত পবিত্র হাদীছ শরীফ দুখানা দ্বারা সুস্পষ্টভাবে বুঝা যায় যে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মীলাদ শরীফ ও ক্বিয়াম শরীফ মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন। সুবহানাল্লাহ! অর্থাৎ হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহুম উনারাই মীলাদ শরীফ ক্বিয়াম শরীফ করেছেন। সুবহানাল্লাহ! বর্তমান যামানার যিনি সুমহান মুজাদ্দিদে আ’যম, খলীফাতুল্লাহ ওয়া রসূলিল্লাহ, মুহইউস সুন্নাহ, সাইয়্যিদুল আওলিয়া, আওলাদে রসূল ঢাকা রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি পবিত্র মীলাদ শরীফ ও ক্বিয়াম শরীফ উনার এত গুরুত্ব থাকার কারণেই সারা বিশ্বে সকল জিন-ইনসান উনাদের মাঝে জারি করে দিয়েছেন। সুবহানাল্লাহ! আজ উনারই অবদান যে শিশু বাচ্চা (৫ বছর) থেকে শুরু করে বৃদ্ধ এবং মাদরাসা পড়–য়া থেকে শুরু করে, রিকশা চালকসহ সকল প্রকার মানুষ পবিত্র মীলাদ শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াম শরীফ পড়েন ও পড়াতে পারেন। শুধু তাই নয়, তিনি পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের পরে পবিত্র মীলাদ শরীফ পাঠ করা জারি করেছেন। সুবহানাল্লাহ! এ থেকেই সহজে বুঝা যায় পবিত্র মীলাদ শরীফ উনার কত মর্যাদা ও গুরুত্ব রয়েছে। পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার হাক্বীক্বী শান-মান তুলে ধরেছেন তিনিই। তাই নাম করণ করেছেন, সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ, সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, সাইয়্যিদে ঈদে আকবর, পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অর্থাৎ সকল ঈদের সাইয়্যিদ, সকল মহান ঈদের সাইয়্যিদ, সকল বড় ঈদেরও সাইয়্যিদ পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। সুবহানাল্লাহ! শুধু তাই পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উপলক্ষে খুশি প্রকাশ এবং পালন করতে গিয়ে মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে অনন্তকালব্যাপি মাহফিল জারী করেছেন। যা হচ্ছে এবং হতেই থাকবে। সুবহানাল্লাহ! হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহুম উনাদের অনুসরণে দায়িমীভাবে, সদা-সর্বদা তিনি পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করে থাকেন এবং সারা কায়িনাতবাসীদের পালন করার জন্য বলেন। সুবহানাল্লাহ! সাইয়্যিদুনা মামদূহ আক্বা মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, সমস্ত আমল ও কাজগুলো পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উপলক্ষেই করতে হবে। কাজেই পবিত্র মীলাদ শরীফ ও পবিত্র কিয়াম শরীফ এবং সাইয়্যিদুল আইয়াদ শরীফ সমস্ত আমলের চেয়ে শ্রেষ্ঠ আমল এবং পূর্ব থেকেই ছিলো, আছে এবং তাকবে অনন্তকালব্যাপী।
http://al-ihsan.net/FullText.aspx?subid=1&textid=12145

0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন