মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলুপ্ত পবিত্র সুন্নত মুবারকসমূহকে যুগে যুগে আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারা জিন্দা বা পুনঃপ্রচলন করেছেন। উলামায়ে ‘সূ’দের পবিত্র সুন্নত বিমুখতা, তাদের মনগড়া আমল ও হীনম্মন্যতার কারণে পবিত্র সুন্নত মুবারক বিলুপ্ত হয়ে থাকে। আর তদস্থলে বিদয়াতের প্রচলন হয়। ইহুদী-নাছারাদের গভীর ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে ক্ষেত্র বিশেষে ইচ্ছাকৃত তাদের দালালী বা পৃষ্ঠপোষকতা করে উলামায়ে ‘সূ’রা পবিত্র দ্বীন ধ্বংস পবিত্র সুন্নত মুবারক উনাকে মিটিয়ে দেয়ার কাজে সবসময় তৎপর রয়েছে। যারা সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ইত্তিবা বা অনুসরণ-অনুকরণ না করে পশ্চিমাদের নীলনকশা, বাস্তবায়নে, যারা বলে এতো সুন্নত লাগে না, ফরযের খবর নেই অথচ সুন্নত নিয়েই ব্যস্ত বা মাতামাতি। যারা ছবি তোলে বা তোলায়, পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার নাম দিয়ে গণতন্ত্র করে, ভোট, নির্বাচন করে, রেডিও টেলিভিশনে প্রোগ্রাম করে কিংবা সমর্থন করে তারা যে উলামায়ে ‘সূ’ সে কথার আজ আর ব্যাখ্যার প্রয়োজন পড়ে না।
মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার প্রিয়তম হাবীব, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলুপ্ত বা মৃত সেই পবিত্র সুন্নত মুবারক উনাকে জিন্দা বা পুনঃপ্রচলন করার জন্য যুগে যুগে অনেক হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদেরকে কবুল করেছেন। উনারা নিজেরা যেমন মাথার তালু হতে পায়ের তলা পর্যন্ত, হায়াত মুবারক থেকে ইন্তিকাল মুবারক পর্যন্ত জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে পবিত্র সুন্নত মুবারক উনার পরিপূর্ণ পাবন্দ ছিলেন। উনাদের মুরীদ, মুতাক্বিদ ও মুহব্বীনগণকেও অনুরূপ ইত্তিবা, অনুসরণ-অনুকরণ করার তারগীব বা উৎসাহ দিতেন, তাকিদ করতেন। সাথে সাথে আওয়ামুন নাস তথা সাধারণ মানুষও যেন অতীব সহজে ও আগ্রহ ভরে পবিত্র সুন্নত মুবারক উনার পাবন্দ হতে পারেন তার সার্বিক ব্যবস্থা করতেন। সুবহানাল্লাহ।
আফদ্বালুল আউলিয়া, ইমামে রব্বানী, আবুল বারাকাত, বদরুদ্দীন হযরত শায়েখ আহমদ ফারূক্বী সিরহিন্দী মুজাদ্দিদে আলফে ছানী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনাদের অন্যতম। তিনি ৯৭১ হিজরী সনের পবিত্র ১৪ই শাওওয়াল শরীফ পূর্ব পাঞ্জাব প্রদেশের পাতিয়ালার সিরহিন্দী শরীফ উনার মধ্যে পবিত্র বিলাদত শরীফ গ্রহণ করেন। আর ১০৩৪ হিজরী সনের পবিত্র ২৮শে ছফর শরীফ বিছাল শরীফ গ্রহণ করেন।
আফদ্বালুন আউলিয়া, ইমামে রব্বানী, আবুল বারাকাত, বদরুদ্দীন হযরত শায়েখ আহমদ ফারূক্বী সিরহিন্দী মুজাদ্দিদে আলফে ছানী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি কত দৃঢ়তার সাথে ও সূক্ষ্মাতি-সূক্ষ্মভাবে পবিত্র সুন্নত মুবারক উনার পাবন্দ ছিলেন তা দু’একটি কথার দ্বারা উপলব্ধি করা যায়। খাবারের সময় প্রথম চিবানোটা ডান দিকের মাড়ির দাঁত দ্বারা চিবানো শুরু হচ্ছে কিনা সেটাও তিনি গভীরভাবে লক্ষ্য করতেন। একদিন উনার খাদিম উনাকে ৬টি লবঙ্গ বা লং এনে দিলেন। তা দেখে তিনি বললেন, আমার এ খাদিম উনার জন্য শত আফসুস। তিনি বেজোড় যে পবিত্র সুন্নত মুবারক তার দিকে লক্ষ্য করলেন না। তিনি বলেছেন- দুপুরে খাওয়ার পর কিছুক্ষণ বিশ্রাম নেয়া পবিত্র সুন্নত বর্জিত হাজার বছরের নফল ইবাদত হতে উত্তম। অথচ এই মহান ব্যক্তিত্ব উনার জীবনী মুবারক থেকে কতজন মানুষ ফায়দা হাছিল করতে পারছে? হাতেগোনা কিছু মুখে চিনা কিছু মানুষ উনার সম্পর্কে জানে। যারা চেনেন তারাও পরিপূর্ণভাবে উনার আদর্শের প্রতিফলন ঘটাতে পারেন না। এ অক্ষমতার তার একটাই অন্যতম মুখ্য কারণ। আর তা হচ্ছে উনার জীবনী মুবারক সম্পর্কে উম্মাহ জ্ঞান হাছিল করতে পারছে না। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো কাফির, মুশরিক, ফাসিক-ফুজ্জারদের প্রচারণা চালাচ্ছে। কাজেই আমাদের একটি দাবি উনার জীবনী মুবারক স্কুল, কলেজ মাদরাসাসহ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাঠ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হোক। যারা এ কাজে জড়িত থাকবেন মহান আল্লাহ পাক তিনি উনাদেরকে নেক হায়াত দারাজ করুন, কামিয়াব করুন। আমীন!
http://al-ihsan.net/FullText.aspx?subid=1&textid=12272
http://al-ihsan.net/FullText.aspx?subid=1&textid=12272

0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন