মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআনুল কারীম উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন, 
اطيعوا الله واطيعوا الرسول واولى الامر منكم
 অর্থ: “তোমরা মহান আল্লাহ পাক উনাকে ও উনার রসূল নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদেরকে অনুকরণ কর এবং অনুসরণ যারা উলিল আমর উনাদেরকে।” 
এখানে “উলিল আমর” বলতে যিনি পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, ইজমা শরীফ ও ক্বিয়াস শরীফ অনুযায়ী সকল কাজ সম্পন্ন করেন এবং সম্মানিত সুন্নত উনার পরিপূর্ণ অনুসরণ করেন অর্থাৎ যিনি হক্কানী-রব্বানী শায়েখ বা মুর্শিদ উনাকেই বলা হয় উলিল আমর।
মহান আল্লাহ পাক তিনি অন্যত্র ইরশাদ মুবারক করেন,
يا ايها الذ ين امنوا وابتغوا اليه الوسيلة
অর্থ: এখানে وابتغوا اليه الوسيله দ্বারা হক্কানী-রব্বানী শায়েখ বা মুর্শিদ ক্বিবলা উনাদেরকেই বুঝানো হয়েছে।
* কিতাবে এসেছে,
من ليس له شيخ فشيخه الشيطان
“যার শায়েখ বা পীর সাহেব নেই, তার শায়েখ হল শয়তান।”
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,
كونوا ربانين وكونوا مع الصادقين
এখানে صادقين বলতে হক্কানী-রব্বানী ওলীউল্লাহ উনাদেরকে বুঝানো হয়েছে। 
মহান আল্লাহ পাক উনাকে পেতে হলে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে অনুসরণ করতে হবে। আর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে পেতে হলে অবশ্যই নায়েবে নবী, হক্কানী ওলীউল্লাহ উনাদেরকে অনুসরণ করে ফয়েজ-তাওয়াজ্জুহ হাছিল করতে হবে।
আর এই বাইয়াতের প্রচলন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সময় থেকেই শুরু হয়।
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,
ان الذين يبايعونك انما يبايعون الله يد الله فوق ايديهم.
অর্থ: “হে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিশ্চয়ই যারা আপনার নিকট বাইয়াত গ্রহণ করেছিল, মূলত, তারা মহান আল্লাহ পাক উনার কুদরতী হাত মুবারক উনার উপর হাত রেখে বাইয়াত গ্রহণ করেছিল।”
এ পবিত্র আয়াত শরীফ থেকে প্রমাণিত হয় বাইয়াতের ধারা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার থেকে শুরু হয়েছে। 
ইমাম আবু হানীফা রহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন,
لولا سنتان لهلك ابو نعمان
“আমি আবু নোমান যদি দুটি বছর আমার শায়খের সংস্পর্শ না পেতাম (বাইয়াত না হতাম) তাহলে আমি ধ্বংস হয়ে যেতাম।” 
ইখলাছের সাথে আমল করতে হলে অন্তরকে ইছলাহ করা ফরয। আর অন্তরের ইছলাহ হাছিল করতে হলে হক্কানী-রব্বানী ওলীউল্লাহ উনার নিকট বাইয়াত হয়ে ফয়েজ তাওয়াজ্জুহ হাসিল করে অন্তর বা ক্বলবকে ইছলাহ করা সম্ভব। অন্যথায় ক্বলব ইছলাহ করা সম্ভব নয়।
উল্লিখিত আলোচনা থেকে প্রতিভাত হয় যে, হক্কানী-রব্বানী ওলীউল্লাহ বা শায়খ উনার হাতে বাইয়াত হওয়া ফরয।
- Blogger Comments
- Facebook Comments
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
 
 
 
 
 
 
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন