মহান আল্লাহ পাক তিনি
ইরশাদ মুবারক করেন, “নিশ্চয়ই
আমি আপনাকে সম্মানিত কাউছার
বা সমস্ত ভালাই অর্থাৎ
সর্বোত্তম ও সর্বশ্রেষ্ঠ বিষয়গুলো
হাদিয়া মুবারক করেছি।”
“নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি
উনার পবিত্রতম বরকতময় বিলাদতী শান
মুবারক প্রকাশ করেন ‘আমুলফিল’
অর্থাৎ ‘হস্তিবর্ষের’ পবিত্র ১২ই রবীউল
আউওয়াল শরীফ’; যা বার
হিসেবে ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ পবিত্র
ছুবহে ছাদিক্ব উনার সময়।
সুবহানাল্লাহ! এমতটিই পবিত্র ছহীহ
হাদীছ শরীফসম্মত, নির্ভরযোগ্য, দলীলভিত্তিক, মশহুর ও গ্রহণযোগ্য। পক্ষান্তরে
বদ-মাযহাব বদ-আক্বীদা
তথা বাতিল ফিরক্বার লোকেরা
যেসব মনগড়া তারিখের কথা
বলে, তা পবিত্র ছহীহ
হাদীছ শরীফ উনার খিলাফ,
অনুমান নির্ভর ও দুর্বল। যা
আদৌ গ্রহণযোগ্য নয়।
যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইউস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, ক্বইয়ূমুয যামান, জাব্বারিউল আউওয়াল, ক্বউইয়্যূল আউওয়াল, সুলত্বানুন নাছীর, হাবীবুল্লাহ, জামিউল আলক্বাব, আওলাদে রসূল, মাওলানা সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যে দিন ও রাত্রি মুবারকে যমীনে তাশরীফ মুবারক নিয়েছেন, যে তারিখে বা যে বারে তিনি পবিত্রতম বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেছেন সেই সম্মানিত সময়, দিন, বার, তারিখ ও মাস উনাদের ফযীলত অন্যান্য সমস্ত সময়, দিন, বার, তারিখ ও মাসের থেকে অনেক অনেকগুণ বেশি এবং বেমেছাল সম্মানিত ও ফযীলতপ্রাপ্ত। ছহীহ হাদীছ শরীফ ও গ্রহণযোগ্য বর্ণনা দ্বারা প্রমাণিত যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সম্মানিত ১২ই রবীউল আউওয়াল শরীফ ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ যমীনে তাশরীফ মুবারক নিয়েছেন। সুবহানাল্লাহ! অথচ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ উনার তারিখ নিয়ে অনেক বদ-মাযহাব, বদ-আক্বীদা ও কাফির-মুশরিকরা মতানৈক্য করে থাকে। নাউযুবিল্লাহ! মুজাদ্দিদে আ’যম, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, এ প্রসঙ্গে হযরতুল আল্লামা হাফিয আবূ বকর ইবনে আবী শায়বাহ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি ছহীহ সনদ সহকারে বর্ণনা করেছেন- “হযরত আফফান রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার থেকে বর্ণিত। তিনি হযরত সালিম ইবনে হাইয়্যান রহমতুল্লাহি আলাইহি হতে। তিনি হযরত সাঈদ ইবনে মীনা রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার থেকে বর্ণনা করেন যে, হযরত জাবির ও হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমা উনারা বলেন- নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্রতম বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন ‘হস্তিবর্ষের পবিত্র ১২ই রবীউল আউওয়াল শরীফ; যা বার হিসেবে ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ।” অনুরূপ বর্ণনা ‘বুলুগুল আমানী শরহিল ফাতহির রব্বানী’, ‘আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া’, ‘সীরাত-ই-হালবিয়াহ’, ‘যুরক্বানী আলাল মাওয়াহিব’, ‘মাছাবাতা বিস সুন্নাহ’ ইত্যাদি নির্ভরযোগ্য কিতাবসমূহেও উল্লেখ আছে। মুজাদ্দিদে আ’যম, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, বিশিষ্ট তাফসীরকারক হযরতুল আল্লামা ইবনে কাছির রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি ‘বেদায়া-নেহায়া’ ২য় খন্ড, ২৬০ পৃষ্ঠায় লিখেন, সম্মানিত ১২ই রবীউল আউওয়াল শরীফ ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশের দিন। এটাই প্রসিদ্ধ, মাশহুর ও গ্রহণযোগ্য মত। মুজাদ্দিদে আ’যম, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, সুপ্রসিদ্ধ কিতাব ‘নূরে মুহম্মদী’ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মধ্যে উল্লেখ রয়েছে, “স্মরণ রাখতে হবে যে, সমস্ত ইমাম মুজতাহিদ, আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম সীরাতগ্রন্থাকার ও ঐতিহাসিকগণ উনারা এই কথার উপর একমত যে, হাতিওয়ালা বা আবরাহ ও তার দলবল ধ্বংস হওয়ার পঞ্চাশ দিন পর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যমীনে মুবারক তাশরীফ আনেন। এটাই সর্বাধিক বিশুদ্ধ মত। আর সেই রাত্রি মুবারক ছিলো সম্মানিত ১২ই রবীউল আউওয়াল শরীফ ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ ছুবহে ছাদিক উনার সময়। আর এই মতটিই সুপ্রসিদ্ধ। উপরন্তু এই মুবারক তারিখ মক্কাবাসী উনাদের নিকট বিশেষ প্রচলিত। উনারা উক্ত সম্মানিত ১২ই রবীউল আউওয়াল শরীফ অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ উনার স্থান মুবারক যিয়ারত করতেন এবং সেই রাত্রি মুবারক-এ পবিত্র মীলাদ শরীফ ও ক্বিয়াম শরীফ করা ও যথাযথ আদব রক্ষা করা উনাদের নিকট একটি সর্বোত্তম প্রিয় ও অত্যধিক সুপ্রচলিত আমল ছিলো।” সুবহানাল্লাহ! অনুরূপ হযরত আল্লামা মুল্লা আলী ক্বারী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার বিখ্যাত কিতাব ‘আল মাওরিদুর রাবী’ নামক কিতাবেও বর্ণিত আছে। মুজাদ্দিদে আ’যম, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, বিশুদ্ধ পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার বর্ণনা অনুযায়ী পবিত্র ১২ই রবীউল আউওয়াল শরীফই হচ্ছেন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্রতম বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশের সুমহান দিবস। এটাই ছহীহ ও মশহুর মত। এর বিপরীতে যেসব মত ঐতিহাসিকদের থেকে বর্ণিত রয়েছে তা অনুমান ভিত্তিক ও দুর্বল। যা আদৌ গ্রহণযোগ্য নয়। মুজাদ্দিদে আ’যম, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশের তারিখ সম্মানিত ১২ই রবীউল আউওয়াল শরীফ ব্যতীত অন্য যেসব তারিখ ঐতিহাসিকদের থেকে বর্ণিত হয়েছে, তা কাফিরদের নাসী তথা মাস, দিন, তারিখ পরিবর্তনের প্রেক্ষিতে বর্ণিত রয়েছে। ফলে তা মানা বা গ্রহণ করা বা স্বীকার করা কখনোই সম্মানিত শরীয়তসম্মত হবে না। মুজাদ্দিদে আ’যম, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মূলকথা হলো- নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফ মাস উনার পবিত্র ১২ই শরীফ, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ পবিত্র ছুবহে ছাদিক্ব উনার সময় যমীনে মুবারক তাশরীফ গ্রহণ করেন অর্থাৎ পবিত্রতম বরকমতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন। সুবহানাল্লাহ! এমতটিই পবিত্র ছহীহ হাদীছ শরীফ উনাদের সম্মত, নির্ভরযোগ্য, দলীলভিত্তিক, মশহুর ও গ্রহণযোগ্য। পক্ষান্তরে বদ-মাযহাব বদ-আক্বীদা তথা বাতিল ফিরক্বার লোকেরা যেসব তারিখের কথা বলে তা পবিত্র ছহীহ হাদীছ শরীফ উনার খিলাফ, অনুমান নির্ভর ও দুর্বল। যা আদৌ গ্রহণযোগ্য নয়
যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইউস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, ক্বইয়ূমুয যামান, জাব্বারিউল আউওয়াল, ক্বউইয়্যূল আউওয়াল, সুলত্বানুন নাছীর, হাবীবুল্লাহ, জামিউল আলক্বাব, আওলাদে রসূল, মাওলানা সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যে দিন ও রাত্রি মুবারকে যমীনে তাশরীফ মুবারক নিয়েছেন, যে তারিখে বা যে বারে তিনি পবিত্রতম বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেছেন সেই সম্মানিত সময়, দিন, বার, তারিখ ও মাস উনাদের ফযীলত অন্যান্য সমস্ত সময়, দিন, বার, তারিখ ও মাসের থেকে অনেক অনেকগুণ বেশি এবং বেমেছাল সম্মানিত ও ফযীলতপ্রাপ্ত। ছহীহ হাদীছ শরীফ ও গ্রহণযোগ্য বর্ণনা দ্বারা প্রমাণিত যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সম্মানিত ১২ই রবীউল আউওয়াল শরীফ ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ যমীনে তাশরীফ মুবারক নিয়েছেন। সুবহানাল্লাহ! অথচ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ উনার তারিখ নিয়ে অনেক বদ-মাযহাব, বদ-আক্বীদা ও কাফির-মুশরিকরা মতানৈক্য করে থাকে। নাউযুবিল্লাহ! মুজাদ্দিদে আ’যম, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, এ প্রসঙ্গে হযরতুল আল্লামা হাফিয আবূ বকর ইবনে আবী শায়বাহ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি ছহীহ সনদ সহকারে বর্ণনা করেছেন- “হযরত আফফান রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার থেকে বর্ণিত। তিনি হযরত সালিম ইবনে হাইয়্যান রহমতুল্লাহি আলাইহি হতে। তিনি হযরত সাঈদ ইবনে মীনা রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার থেকে বর্ণনা করেন যে, হযরত জাবির ও হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমা উনারা বলেন- নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্রতম বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন ‘হস্তিবর্ষের পবিত্র ১২ই রবীউল আউওয়াল শরীফ; যা বার হিসেবে ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ।” অনুরূপ বর্ণনা ‘বুলুগুল আমানী শরহিল ফাতহির রব্বানী’, ‘আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া’, ‘সীরাত-ই-হালবিয়াহ’, ‘যুরক্বানী আলাল মাওয়াহিব’, ‘মাছাবাতা বিস সুন্নাহ’ ইত্যাদি নির্ভরযোগ্য কিতাবসমূহেও উল্লেখ আছে। মুজাদ্দিদে আ’যম, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, বিশিষ্ট তাফসীরকারক হযরতুল আল্লামা ইবনে কাছির রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি ‘বেদায়া-নেহায়া’ ২য় খন্ড, ২৬০ পৃষ্ঠায় লিখেন, সম্মানিত ১২ই রবীউল আউওয়াল শরীফ ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশের দিন। এটাই প্রসিদ্ধ, মাশহুর ও গ্রহণযোগ্য মত। মুজাদ্দিদে আ’যম, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, সুপ্রসিদ্ধ কিতাব ‘নূরে মুহম্মদী’ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মধ্যে উল্লেখ রয়েছে, “স্মরণ রাখতে হবে যে, সমস্ত ইমাম মুজতাহিদ, আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম সীরাতগ্রন্থাকার ও ঐতিহাসিকগণ উনারা এই কথার উপর একমত যে, হাতিওয়ালা বা আবরাহ ও তার দলবল ধ্বংস হওয়ার পঞ্চাশ দিন পর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যমীনে মুবারক তাশরীফ আনেন। এটাই সর্বাধিক বিশুদ্ধ মত। আর সেই রাত্রি মুবারক ছিলো সম্মানিত ১২ই রবীউল আউওয়াল শরীফ ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ ছুবহে ছাদিক উনার সময়। আর এই মতটিই সুপ্রসিদ্ধ। উপরন্তু এই মুবারক তারিখ মক্কাবাসী উনাদের নিকট বিশেষ প্রচলিত। উনারা উক্ত সম্মানিত ১২ই রবীউল আউওয়াল শরীফ অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ উনার স্থান মুবারক যিয়ারত করতেন এবং সেই রাত্রি মুবারক-এ পবিত্র মীলাদ শরীফ ও ক্বিয়াম শরীফ করা ও যথাযথ আদব রক্ষা করা উনাদের নিকট একটি সর্বোত্তম প্রিয় ও অত্যধিক সুপ্রচলিত আমল ছিলো।” সুবহানাল্লাহ! অনুরূপ হযরত আল্লামা মুল্লা আলী ক্বারী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার বিখ্যাত কিতাব ‘আল মাওরিদুর রাবী’ নামক কিতাবেও বর্ণিত আছে। মুজাদ্দিদে আ’যম, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, বিশুদ্ধ পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার বর্ণনা অনুযায়ী পবিত্র ১২ই রবীউল আউওয়াল শরীফই হচ্ছেন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্রতম বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশের সুমহান দিবস। এটাই ছহীহ ও মশহুর মত। এর বিপরীতে যেসব মত ঐতিহাসিকদের থেকে বর্ণিত রয়েছে তা অনুমান ভিত্তিক ও দুর্বল। যা আদৌ গ্রহণযোগ্য নয়। মুজাদ্দিদে আ’যম, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশের তারিখ সম্মানিত ১২ই রবীউল আউওয়াল শরীফ ব্যতীত অন্য যেসব তারিখ ঐতিহাসিকদের থেকে বর্ণিত হয়েছে, তা কাফিরদের নাসী তথা মাস, দিন, তারিখ পরিবর্তনের প্রেক্ষিতে বর্ণিত রয়েছে। ফলে তা মানা বা গ্রহণ করা বা স্বীকার করা কখনোই সম্মানিত শরীয়তসম্মত হবে না। মুজাদ্দিদে আ’যম, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মূলকথা হলো- নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফ মাস উনার পবিত্র ১২ই শরীফ, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ পবিত্র ছুবহে ছাদিক্ব উনার সময় যমীনে মুবারক তাশরীফ গ্রহণ করেন অর্থাৎ পবিত্রতম বরকমতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন। সুবহানাল্লাহ! এমতটিই পবিত্র ছহীহ হাদীছ শরীফ উনাদের সম্মত, নির্ভরযোগ্য, দলীলভিত্তিক, মশহুর ও গ্রহণযোগ্য। পক্ষান্তরে বদ-মাযহাব বদ-আক্বীদা তথা বাতিল ফিরক্বার লোকেরা যেসব তারিখের কথা বলে তা পবিত্র ছহীহ হাদীছ শরীফ উনার খিলাফ, অনুমান নির্ভর ও দুর্বল। যা আদৌ গ্রহণযোগ্য নয়
http://al-ihsan.net/qwoulshareef/Default.aspx?language=BN&vt=full&init_id=6606

0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন