মহান আল্লাহ পাক তিনি সর্বপ্রথম উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত নূর মুবারক, মহাসম্মানিত ওযূদ মুবারক সৃষ্টি মুবারক করেছেন, প্রকাশ মুবারক করেছেন। সুবহানাল্লাহ! তারপরেও দুনিয়াতে উনার মহাসম্মানিত ওযূদ মুবারক প্রকাশ মুবারক করার ক্ষেত্রে সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, মালিকাতুল জান্নাহ, মালিকাতুল কায়িনাত সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে মধ্যস্ততা মুবারক করেছেন। সুবহানাল্লাহ! এই সম্পর্কে সম্মানিত হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে,
ثم خلق الله حضرت آدم عليه السلام من الارض فركب فيه النور في جبينه ثم انتقل منه إلى حضرت شيث عليه السلام وكان ينتقل من طاهر إلى طيب ومن طيب الى طاهر إلى أن اوصله الله صلب حضرت عبد الله بن عبد المطلب عليهما السلام، ومنه إلى رحم امى حضرت امنة بنت وهب عليها السلام، ثم أخرجني إلى الدنيا فجعلنى سيد المرسلين وخاتم النبيين ورحمة للعالمين وقائد الغر المحجلين وهكذا كان بدء خلق نبيك يا حضرت جابر رضى الله تعالى عنه. অর্থ: তারপর মহান আল্লাহ পাক তিনি মাটি থেকে হযরত আবুল বাশার ছফিউল্লাহ আলাইহিস সালাম উনাকে সৃষ্টি মুবারক করেন। অতঃপর মহান আল্লাহ পাক তিনি সাইয়্যিদুনা হযরত আবুল বাশার ছফিউল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার সম্মানিত কপাল মুবারক উনার মাঝে (আমার) সেই মহাসম্মানিত নূর মুবারক (নূরে হাবীবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উনাকে রাখলেন। সুবহানাল্লাহ! তারপর (আমার) সেই মহাসম্মানিত নূর মুবারক (নূরে হাবীবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হযরত আবুল বাশার ছফিউল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার থেকে হযরত শীস আলাইহিস সালাম উনার মাঝে স্থানান্তরিত হলেন। সুবহানাল্লাহ! আর এই সম্মানিত স্থানান্তর মুবারক পূত-পবিত্র ও সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যক্তিত্ব মুবারক উনাদের থেকে সর্বোত্তম ও সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যক্তিত্ব মুবারক উনার মাঝে, সর্বোত্তম ও সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যক্তিত্ব মুবারক উনাদের থেকে পূত-পবিত্র ও সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যক্তিত্ব মুবারক উনাদের মাঝে চলতে থাকেন। সুবহানাল্লাহ! এইভাবে মহান আল্লাহ পাক তিনি এই মহাসম্মানিত নূর মুবারক আমার মহাসম্মানিত আব্বাজান আলাইহিস সালাম উনার মাঝে পৌঁছিয়ে দেন এবং উনার থেকে আমার মহাসম্মানিতা আম্মাজান আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত খিদমত মুবারক-এ স্থানান্তরিত করেন। সুবহানাল্লাহ! তারপর মহান আল্লাহ পাক তিনি আমার মহাসম্মানিতা আম্মাজান আলাইহাস সালাম উনার মাধ্যমে আমাকে দুনিয়ার যমীনে প্রেরণ করেন তথা আমার মহাসম্মানিত বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন। সুবহানাল্লাহ! অতঃপর মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাকে ভূষিত করেন সাইয়্যিদুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, রহমতুল্লিল আলামীন সম্মানিত লক্বব মুবারক-এ এবং অতি উজ্জ্বল ব্যক্তিত্ব মুবারক তথা সমস্ত মাহবূব ব্যক্তিত্ব মুবারক উনাদের ক্বায়িদ হিসেবে। সুবহানাল্লাহ! এই হচ্ছে আপনার নবী, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সৃষ্টি মুবারক উনার সূচনা বা উৎস- হে হযরত জাবির রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু! সুবহানাল্লাহ! (মুছান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক্ব: হাদীছ শরীফ: ১৮, আল জুযউল মাফক্বূদ মিনাল জুযয়িল আউওয়াল মিনাল মুছান্নিফ লিহাফিযিল কাবীর আবী বকর আব্দির রাজ্জাক্ব আছ ছন‘আনী ৬৩ পৃ.) যদি তাই হয়ে থাকে, তাহলে মালিকাতুল কায়িনাত সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক কত বেমেছাল, সেটা সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসীর চিন্তা-কল্পনার ঊর্ধ্বে। সুবহানাল্লাহ! মুজাদিদ্দে আ’যম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ আলাইহিছ ছলাতু ওয়াস সালাম তিনি সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক সম্পর্কে আমাদের সবাইকে, সমস্ত জিন-ইনসানকে, তামাম কায়িনাতবাসীকে যেভাবে তা’লীম মুবারক দান করেন, ঠিক সেভাবেই যেন আমরা সবাই উনার প্রতি বিশুদ্ধ আক্বীদা, সর্বচ্চো হুসনে যন মুবারক পোষণ করে উনার সম্মানিত ছানা-ছিফত মুবারক করার, সম্মানিত ত’যীম-তাকরীম মুবারক করার, সম্মানিত খিদমত মুবারক উনার আনজাম মুবারক দেয়ার মাধ্যমে খালিছভাবে অনন্তকালব্যপী সম্মানিত ‘ফালইয়াফরহূ’ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করে হাক্বীক্বী মুহব্বত-মা’রিফত, নিছবত-ক্বুরবত, রেযামন্দি-সন্তুষ্টি মুবারক হাছিল করতে পারি, মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের সবাইকে সেই তাওফীক দান করুন। আমীন!
http://al-ihsan.net/FullText.aspx?subid=1&textid=12423
ثم خلق الله حضرت آدم عليه السلام من الارض فركب فيه النور في جبينه ثم انتقل منه إلى حضرت شيث عليه السلام وكان ينتقل من طاهر إلى طيب ومن طيب الى طاهر إلى أن اوصله الله صلب حضرت عبد الله بن عبد المطلب عليهما السلام، ومنه إلى رحم امى حضرت امنة بنت وهب عليها السلام، ثم أخرجني إلى الدنيا فجعلنى سيد المرسلين وخاتم النبيين ورحمة للعالمين وقائد الغر المحجلين وهكذا كان بدء خلق نبيك يا حضرت جابر رضى الله تعالى عنه. অর্থ: তারপর মহান আল্লাহ পাক তিনি মাটি থেকে হযরত আবুল বাশার ছফিউল্লাহ আলাইহিস সালাম উনাকে সৃষ্টি মুবারক করেন। অতঃপর মহান আল্লাহ পাক তিনি সাইয়্যিদুনা হযরত আবুল বাশার ছফিউল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার সম্মানিত কপাল মুবারক উনার মাঝে (আমার) সেই মহাসম্মানিত নূর মুবারক (নূরে হাবীবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উনাকে রাখলেন। সুবহানাল্লাহ! তারপর (আমার) সেই মহাসম্মানিত নূর মুবারক (নূরে হাবীবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হযরত আবুল বাশার ছফিউল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার থেকে হযরত শীস আলাইহিস সালাম উনার মাঝে স্থানান্তরিত হলেন। সুবহানাল্লাহ! আর এই সম্মানিত স্থানান্তর মুবারক পূত-পবিত্র ও সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যক্তিত্ব মুবারক উনাদের থেকে সর্বোত্তম ও সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যক্তিত্ব মুবারক উনার মাঝে, সর্বোত্তম ও সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যক্তিত্ব মুবারক উনাদের থেকে পূত-পবিত্র ও সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যক্তিত্ব মুবারক উনাদের মাঝে চলতে থাকেন। সুবহানাল্লাহ! এইভাবে মহান আল্লাহ পাক তিনি এই মহাসম্মানিত নূর মুবারক আমার মহাসম্মানিত আব্বাজান আলাইহিস সালাম উনার মাঝে পৌঁছিয়ে দেন এবং উনার থেকে আমার মহাসম্মানিতা আম্মাজান আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত খিদমত মুবারক-এ স্থানান্তরিত করেন। সুবহানাল্লাহ! তারপর মহান আল্লাহ পাক তিনি আমার মহাসম্মানিতা আম্মাজান আলাইহাস সালাম উনার মাধ্যমে আমাকে দুনিয়ার যমীনে প্রেরণ করেন তথা আমার মহাসম্মানিত বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন। সুবহানাল্লাহ! অতঃপর মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাকে ভূষিত করেন সাইয়্যিদুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, রহমতুল্লিল আলামীন সম্মানিত লক্বব মুবারক-এ এবং অতি উজ্জ্বল ব্যক্তিত্ব মুবারক তথা সমস্ত মাহবূব ব্যক্তিত্ব মুবারক উনাদের ক্বায়িদ হিসেবে। সুবহানাল্লাহ! এই হচ্ছে আপনার নবী, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সৃষ্টি মুবারক উনার সূচনা বা উৎস- হে হযরত জাবির রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু! সুবহানাল্লাহ! (মুছান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক্ব: হাদীছ শরীফ: ১৮, আল জুযউল মাফক্বূদ মিনাল জুযয়িল আউওয়াল মিনাল মুছান্নিফ লিহাফিযিল কাবীর আবী বকর আব্দির রাজ্জাক্ব আছ ছন‘আনী ৬৩ পৃ.) যদি তাই হয়ে থাকে, তাহলে মালিকাতুল কায়িনাত সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক কত বেমেছাল, সেটা সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসীর চিন্তা-কল্পনার ঊর্ধ্বে। সুবহানাল্লাহ! মুজাদিদ্দে আ’যম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ আলাইহিছ ছলাতু ওয়াস সালাম তিনি সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক সম্পর্কে আমাদের সবাইকে, সমস্ত জিন-ইনসানকে, তামাম কায়িনাতবাসীকে যেভাবে তা’লীম মুবারক দান করেন, ঠিক সেভাবেই যেন আমরা সবাই উনার প্রতি বিশুদ্ধ আক্বীদা, সর্বচ্চো হুসনে যন মুবারক পোষণ করে উনার সম্মানিত ছানা-ছিফত মুবারক করার, সম্মানিত ত’যীম-তাকরীম মুবারক করার, সম্মানিত খিদমত মুবারক উনার আনজাম মুবারক দেয়ার মাধ্যমে খালিছভাবে অনন্তকালব্যপী সম্মানিত ‘ফালইয়াফরহূ’ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করে হাক্বীক্বী মুহব্বত-মা’রিফত, নিছবত-ক্বুরবত, রেযামন্দি-সন্তুষ্টি মুবারক হাছিল করতে পারি, মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের সবাইকে সেই তাওফীক দান করুন। আমীন!
http://al-ihsan.net/FullText.aspx?subid=1&textid=12423

0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন