যুগে যুগে অসংখ্য ওলীআল্লাহ রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারা তাশরীফ আনলেও মহিলাদের মাঝে হক্কানী-রব্বানী আলিমা ও ওলীআল্লাহ রহমতুল্লাহি আলাইহিমা উনাদের সংখ্যা একান্তই অপ্রতুল। যার কারণে মহিলাদের হিদায়েত ও দ্বীনি জযবা অর্জন অনেকাংশেই বাঞ্ছনীয় মাত্রায় হয়নি।
দ্বীন সম্পর্কে জানা ও মানার ক্ষেত্রে পুরুষের তুলনায় মহিলার ক্ষেত্র ও পরিসর কিছুটা সীমিত। কারণ ইলম ও হিদায়েত লাভের ক্ষেত্রে পুরুষের সুযোগ-সুবিধা সম্প্রসারিত। তারা অবাধে মসজিদে যেতে পারে, ওয়াজ মাহফিলে যেতে পারে, আলিম-উলামাগণের সাথে যোগাযোগ রাখতে পারে। কিন্তু সমাজে হক্কানী-রব্বানী আলিমা ও ওলীআল্লাহ রহমতুল্লাহি আলাইহিমা উনাদের উপস্থিতি কম হওয়ায় ইলম ও হিদায়েত লাভে মহিলাদের সুযোগ-সুবিধা একান্তই সীমিত। সাধারণ নিয়মে তাই পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনাকে জানার ও মানার ক্ষেত্রে মহিলারা অগ্রণী নয়।
চিরন্তন সত্য যে, সংসর্গ (ছোহবত) প্রভাব বিস্তার করে অর্থাৎ নেককার লোকের ছোহবতে নেককার হয়, আর বদকার লোকের ছোহবতে বদকার হয়। একজন মহিলা বা বান্দীকে আল্লাহওয়ালী হতে হলে অবশ্যই একজন নেককার বুযূর্গ মহিলা ওলীআল্লাহ রহমতুল্লাহি আলাইহা উনার ছোহবত ইখতিয়ার করতে হবে। ছোহবত মুবারক ইখতিয়ার এবং নির্দেশনা মান্য করা ব্যতীত কস্মিনকালেও হিদায়েতের উপর কোনো মহিলা-মেয়ে ইস্তিকামত থাকতে পারবে না।
খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক রাব্বুল ইজ্জত তিনি এবং উনার প্রিয়তম হাবীব, নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা রহমত করে সারা দুনিয়ায় পবিত্র দ্বীন ইসলাম পালনের এ প্রতিকূল দুর্দিনে অন্ধকারাচ্ছন্ন হিদায়েতশূন্য মহিলা জাতিকে বাঁচানোর লক্ষ্যে এ হিজরী শতকে যমীনে প্রেরণ করেছেন উনাদের মাহবুবা লক্ষ্যস্থল, বেমেছাল বুযূর্গী হুরমত ইজ্জতসম্পন্না একজন সুমহান মহিলা ওলীআল্লাহ আলাইহাস সালাম উনাকে। যিনি সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কলিজা মুবারক উনার টুকরা মুবারক তথা খাছ আওলাদ। তিনি সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, আওলাদুর রসূল, হাবীবাতুল্লাহ, উম্মুল উমাম সাইয়্যিদাতুনা রাজারবাগ শরীফ উনার হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম। উনার শান-মান, বুযূর্গী, সম্মান, হুরমত, ইজ্জত অতুলনীয়া। বর্তমান যুগে হিদায়েত প্রত্যাশিনী সকলের ফরয দায়িত্ব উনার ছোহবত মুবারক ইখতিয়ার করা, উনার তা’লিম-তালকিন গ্রহণ করা, আদেশ-নিষেধ মুবারক মান্য করা।
যে সব মহিলা সাইয়্যিদাতুন নিসায়িল আলামীন, আওলাদুর রসূল, হাবীবাতুল্লাহ, উম্মুল উমাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার ছোহবত মুবারক ইখতিয়ার করে না, তারা মুসলমান পরিচয়ধারী হলেও, মুসলমান সমাজে বসবাস করলেও ছবি তোলা, টিভি দেখা, নামায না পড়া, বেপর্দা হওয়া, গান-বাজনা করা, খেলাধুলা করা ইত্যাদি হারাম কাজ থেকে বেঁচে থাকতে পারে না।
বিশেষত বর্তমান সমাজে ছবি তোলা ব্যাপকতা লাভ করার এবং পর্দা পালনে অনীহার কারণে স্বামী স্ত্রীতে দেখা দিচ্ছে মনোমালিন্য ও পারস্পরিক বিরোধ। এতে ভাঙন ধরছে মুসলমান পরিবারে। এর মন্দ প্রভাবই মুসলমান পরিবারগুলোর সন্তান-সন্ততিদের সুস্থ স্বাভাবিক নেক মানসিকতা ধারণ ও বহন এবং উত্তম অনুগত স্বভাব-চরিত্র গঠনে অন্তরায় সৃষ্টি করছে। যার কারণে মুসলমান সন্তানরা অনিবার্যভাবে কাফির-মুশরিকদের প্রতি অনুরক্ত হয়ে পড়ছে।
তাই মহিলা জাতির বর্তমানে প্রধান ও প্রথম দায়িত্ব সাইয়্যিদাতুন নিসায়িল আলামীন, আওলাদুর রসূল, হাবীবাতুল্লাহ, উম্মুল উমাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার অনুসরণ অনুকরণ করা ও নিয়মিত ছোহবত মুবারক ইখতিয়ার করা। উনাকে অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে মুহব্বত ও তা’যীম-তাকরীম করা। কারণ যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার প্রিয়তম হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পর্যন্ত পৌঁছে দিবেন, উনাদের মুবারক মুহব্বত সন্তুষ্টি মুবারকদান করবেন, খালিছ আল্লাহওয়ালী বানাবেন উনিইতো নাজাতের মালিকা, হিদায়েতের দিশারী, বাঁচার উপলক্ষ।
http://al-ihsan.net/FullText.aspx?subid=2&textid=14750
http://al-ihsan.net/FullText.aspx?subid=2&textid=14750

0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন