728x90 AdSpace

  • Latest News

    পবিত্র দ্বীন ইসলামী তর্জ-তরীক্বা পালনেই মহিলার প্রকৃত মুক্তি নিহিত প্রকৃত পবিত্র দ্বীন ইসলাম পালনে ক্বায়িম-মক্বামে উম্মাহাতুল মু’মিনীন হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার মুবারক ছোহবত অত্যাবশ্যক

    আমরা মুসলমান। মুসলিম দেশ হিসেবে আমাদের এই দেশটা পৃথিবীর কাছে অতি পরিচিত। আমরা গর্ব করে বলি- ‘আমরা মুসলমান’ এবং ‘আমরা বাংলাদেশী’। আজকের প্রেক্ষাপটে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার মধ্যেও দেশে প্রতিবছর পালিত হচ্ছে, কথিত ‘আন্তর্জাতিক মহিলা দিবস’। এ উপলক্ষে দেশের এবং বাইরের তথাকথিত বরেণ্য ব্যক্তিরা যখন মহিলাত্ববাদের এবং মহিলা মুক্তি আন্দোলনের সাফাই গায়; তখনই মনে ভাবনায় উদয় হয়- ‘মহিলা মুক্তি’ নিয়ে আমাদেরও কিছু বলার আছে। প্রথমেই বলেছি- ‘আমরা মুসলমান’ কিন্তু এই মুসলমানদের মধ্যে শুধু পুরুষ পড়ে না, মহিলারাও পড়ে। অর্থাৎ ‘আমরা মুসলিম মহিলা’। কিন্তু আজ আমাদের দেশের সামাজিক প্রেক্ষাপটে মহিলা মুক্তির যে চিত্র চিত্রায়িত হয় তা নিদারুন বিভীষিকাময়, ভয়াল আর্তনাদের এবং পাপ-পঙ্কিলতায় ডুবে থাকা এক রূঢ় সত্য। ‘আমরা মুসলমান’। আমাদের সংস্কৃতি বা ঈঁষঃঁৎব হবে পবিত্র দ্বীন ইসলামী নিয়ম-নীতি, তর্জ-তরীক্বা অনুযায়ী। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন তিনি আমাদের পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনাকে তথা পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনাকে ধর্ম হিসেবে মনোনীত করে দিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে ‘পবিত্র সূরা মায়িদা শরীফ উনার ৩ নম্বর পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীনকে পরিপূর্ণ করে দিলাম। তোমাদের উপর আমার নিয়ামত সমাপ্ত করলাম এবং পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনাকেই তোমাদের পবিত্র দ্বীন হিসেবে মনোনীত করলাম।” অন্যত্র খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন, “নিশ্চয়ই খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট একমাত্র মনোনীত পবিত্র দ্বীন হচ্ছে ইসলাম।” (পবিত্র সূরা আল ইমরান শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ১৯) খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন, “তিনি (আল্লাহ পাক) উনার রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে হিদায়েত এবং সত্য পবিত্র দ্বীনসহ পাঠিয়েছেন সকল পবিত্র দ্বীন উনার উপর প্রাধান্য দিয়ে এবং এ বিষয়ে খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার সাক্ষ্যই যথেষ্ট। (যার সাক্ষী মহান আল্লাহ পাক) আর রসূল হচ্ছেন হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।” (পবিত্র সূরা ফাতহ শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ২৮, ২৯) পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে উল্লেখ করা হয়েছে, “হযরত জাবির রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন, একদিন হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট এসে বললেন, ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমরা ইহুদীদের নিকট থেকে কিছু নিয়ম-নীতি, তর্জ-তরীক্বা শুনে থাকি, তা থেকে কিছু লিখে রাখব কি? তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, হে হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম! আপনারাও কি ইহুদী-নাছারাদের মত পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার সম্পর্কে দ্বিধাগ্রস্ত রয়েছেন? নিশ্চয়ই আমি আপনাদের জন্য পরিপূর্ণ, উজ্জ্বল পবিত্র দ্বীন নিয়ে এসেছি। এমনকি যদি ইহুদীদের নবী হযরত মূসা আলাইহিস্ সালাম তিনিও জীবিত থাকতেন তবে উনার উপরও আমার পবিত্র দ্বীন মানা ওয়াজিব হতো।” (আহমদ, বায়হাক্বী) অতএব, খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে যে জীবন বিধান দিয়েছেন তা যেমন পুরুষদের জন্য মানা ফরয-ওয়াজিব; তেমনি মহিলাদের জন্যও বিশ্বাস করা এবং মানা ফরয-ওয়াজিব। শুধু তাই নয়, বরং খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি কুরআন শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক করেন, “খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মধ্যেই রয়েছে তোমাদের জন্য উত্তম আদর্শ মুবারক।” (পবিত্র সূরা আহ্্যাব শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ২১) অন্যত্র খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন, “তোমাদের রসূল যা এনেছেন সেটা আকঁড়িয়ে ধর এবং যা থেকে বিরত থাকতে বলেছেন, সেটা থেকে বিরত থাক। এ বিষয়ে খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনাকে ভয় কর, নিশ্চয়ই খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি কঠিন শাস্তিদাতা।” (পবিত্র সূরা হাশর শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৭) অর্থাৎ খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক এবং উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যা আদেশ করেছেন এবং যা নিষেধ করেছেন- সেটা পরিপূর্ণভাবে মেনে চলার নামই হচ্ছে- ‘পবিত্র দ্বীন ইসলাম’। তাই পুরুষদের পাশাপাশি মহিলাদেরকেও অতি উত্তমভাবে পবিত্র দ্বীন ইসলাম মুতাবিক জীবনযাপন করতে হবে। আর যখন আমরা অনুরূপ জীবনযাপন করব তখনই আমরা মুসলমান মহিলা বা মহিলা হিসেবে নিজেদের পরিচয় দিতে আনন্দবোধ করবো। প্রকৃতপক্ষে আমরা তখনই মুসলিম মহিলা হিসেবে নিজেদের সার্থক মনে করব যখন খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন তিনি এবং উনার প্রিয়তম হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তথা পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার তর্জ-তরীক্বা মুতাবিক নিজেদের জীবনকে গঠন করব। আর যথার্থ পবিত্র দ্বীন ইসলাম পালনেই মহিলামুক্তি নিহিত। এজন্যে প্রয়োজন যামানার ইমামের মুবারক সান্নিধ্য এবং ফয়েজ-তাওয়াজ্জুহ্্ হাছিল করা। যেহেতু মহিলাদের পক্ষে তো যামানার ইমাম, হযরত মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার সরাসরি দর্শন লাভে, সান্নিধ্য হাছিল সম্ভব নয়। তাই আমাদেরকে যামানার মুজাদ্দিদে আ’যম, যামানার ইমাম উনার সহধর্মিনী, আফযালুন নিসা, কায়িম-মক্বামে উম্মাহাতুল মু’মিনীন, উম্মুল উমাম হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার খাছ ছোহবতের মাধ্যমে হাক্বীক্বী মুসলিম মু’মিনায় পরিণত হতে হবে। (আমীন)
    • Blogger Comments
    • Facebook Comments

    0 মন্তব্য(গুলি):

    একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

    Item Reviewed: পবিত্র দ্বীন ইসলামী তর্জ-তরীক্বা পালনেই মহিলার প্রকৃত মুক্তি নিহিত প্রকৃত পবিত্র দ্বীন ইসলাম পালনে ক্বায়িম-মক্বামে উম্মাহাতুল মু’মিনীন হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার মুবারক ছোহবত অত্যাবশ্যক Rating: 5 Reviewed By: Baitul Hikmah
    Scroll to Top