অনেকেই ইনিয়ে-বিনিয়ে নানা রকম অজুহাত তুলে ও যামানার দোহাই দিয়ে শরীয়ত নিষিদ্ধ বিষয়কে জায়িয বা হালাল করতে চায়। তারা তাদের এ আকাঙ্খা বাস্তবায়িত করতে গিয়ে মিথ্যাচারও করে থাকে। পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র হাদীছ শরীফ সম্পর্কে মিথ্যাচার করে থাকে। নাউযুবিল্লাহ!
আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এ সম্পর্কে ইরশাদ মুবারক করেন, “যে আমার নামে স্বেচ্ছায় মিথ্যা বলবে, সে যেন দুনিয়ায় থাকতেই তার স্থান জাহান্নামে নির্ধারণ করে নেয়।” (বুখারী, মিশকাত শরীফ)
বর্তমান সময়ে ওইসব হালালকে হারাম ও হারামকে হালাল বলে প্রচারকারীরা ধর্মব্যবসায়ীদের অন্যতম একটি বিষয় হলো- ছবি তোলা, দেখা ইত্যাদি। অথচ এ সম্পর্কে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মাঝে সুস্পষ্টভাবে ইরশাদ মুবারক হয়েছে- ‘যারা প্রাণীর ছবি তৈরি করবে, ক্বিয়ামতের দিন তাদের কঠিন শাস্তি দেয়া হবে, তাদেরকে বলা হবে, যে ছবিগুলো তোমরা তৈরি করেছ, সেগুলোর প্রাণ দাও। সেদিন কেউই প্রাণ দিতে পারবে না।’ (মুসলিম শরীফ, ২য় খন্ড-২০১)
উম্মুল মু’মিনীন, সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ঘরে প্রাণীর ছবিযুক্ত কোনো জিনিস রাখতেন না; বরং তা ধ্বংস করে ফেলতেন। (ফতহুল বারী, উমদাতুল ক্বারী, মুসলিম শরীফ, আবু দাউদ শরীফ)
সুতরাং কোনোভাবেই নিজের মত-পথকে প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে, সুবিধা আদায় করতে গিয়ে পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের বিরুদ্ধাচরণ করার চেষ্টা করা বা মনের মধ্যে আনতে দেয়া যাবে না। আমল, আখলাক কারো কমবেশি হতে পারে, তাই বলে মিথ্যাচার বা বিকৃতকরণ কখনোই গ্রহণযোগ্য নয়। এটি নিজের ঈমান বিনষ্টের কারণ বটে।

0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন