যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইউস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, ক্বইয়ূমুয যামান, জাব্বারিউল আউওয়াল, ক্বউইয়্যূল আউওয়াল, সুলত্বানুন নাছীর, হাবীবুল্লাহ, জামিউল আলক্বাব, আওলাদে রসূল, মাওলানা সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করার মাঝেই মাখলুকাতের কামিয়াবী নিহিত। এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পাক তিনি ‘পবিত্র সূরা ইউনুস শরীফ’ উনার ৫৮ নম্বর পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন, “হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি উম্মাহকে জানিয়ে দিন, মহান আল্লাহ পাক তিনি ফযল-করম মুবারক এবং রহমত মুবারক হিসেবে উনার প্রিয়তম হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে হাদিয়াস্বরূপ দিয়েছেন- সেজন্য তারা যেন খুশি প্রকাশ করে।” সুবহানাল্লাহ!
মুজাদ্দিদে আ’যম, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মূলত দুনিয়ার যমীনে হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের মুবারক আগমন ও বিদায় এবং বিশেষ ঘটনা সংঘটিত হওয়ার দিন ও মাস উম্মাহর জন্য পবিত্র ঈদ বা খুশির অন্তর্ভুক্ত। সুবহানাল্লাহ! যেকোনো লোক, যেকোনো সময়, যেকোনো নিয়ামত লাভ করলে সে সন্তুষ্ট হয় ও খুশি প্রকাশ করে। সাধারণ দুনিয়াবী কারণে যদি মানুষ এত খুশি হয়, তাহলে যিনি আখিরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ উপলক্ষে কতটুকু খুশি প্রকাশ করতে হবে! মূলত, যার যতটুকু তাওফীক রয়েছে, যেভাবে তাওফীক রয়েছে ঠিক ততটুকু সেভাবে সে খুশি প্রকাশ করবে; তাহলে তার জন্যে কামিয়াবী রয়েছে। সুবহানাল্লাহ!
মুজাদ্দিদে আ’যম, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, পবিত্র ঈমান উনার একান্ত দাবির কারণেই শুধু এ মুবারক দিনেই কেবল নয়, বরং পুরো পবিত্র শাহরুল আ’যম শরীফ মাসব্যাপী সরকারি-বেসরকারি সর্বমহলে সর্বোচ্চ বাজেট বরাদ্দ করে অত্যন্ত খুশির সাথে, ব্যাপক আয়োজনে, বিপুল উৎসাহে, গভীর মূল্যায়নে, স্বতঃস্ফূর্তভাবে সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ, সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, সাইয়্যিদে ঈদে আকবর মহাপবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম- সংক্ষেপে মহাপবিত্র “সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ” পালিত হওয়া ফরয উনার অন্তর্ভুক্ত।
মুজাদ্দিদে আ’যম, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, যেহেতু বাংলাদেশের ৯৮ ভাগ জনগণ মুসলমান, প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী মুসলমান। পাশাপাশি বাংলাদেশে পবিত্র ‘ইসলাম’ উনাকে রাষ্ট্রদ্বীন ঘোষণা করা হয়েছে। তাই বাংলাদেশ সরকারের জন্য আলাদাভাবে ফরয হচ্ছে- আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আগমনী মাস তথা সাইয়্যিদুল আসইয়াদ, সাইয়্যিদুশ শুহূর, শাহরুল আ’যম মহাপবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফ উনার সম্মানার্থে সারা দেশব্যাপী ব্যাপক ও শান শওকতপূর্ণ কর্মসূচি গ্রহণ করা এবং যথাযথ তা’যীম-তাকরীম ও শান-শওক্বতের সাথে সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, সাইয়্যিদে ঈদে আকবর মহাপবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম- সংক্ষেপে মহাপবিত্র “সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ” পালনের সঠিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
মুজাদ্দিদে আ’যম, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, পাশাপাশি সমস্ত মুসলিম ও অমুসলিম সরকারের জন্যও ফরয হচ্ছে- সারা বিশ্বব্যাপী সাইয়্যিদুল আসইয়াদ, সাইয়্যদুশ শুহূর, শাহরুল আ’যম, মহাপবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফ মাস এবং মহাপবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উনাদের সম্মানার্থে পরিপূর্ণ তা’যীম-তাকরীম, আদব-মুহব্বত ও খুশি এবং শান-শওক্বত উনার সাথে সার্বিক ব্যবস্থা নেয়া এবং সে লক্ষ্যে সব দেশে কমপক্ষে এক মাসব্যাপী অর্থাৎ সম্পূর্ণ পবিত্র শাহরুল আ’যম শরীফ মাসে ছুটি প্রদান করা। যাতে সকলেই কুল-কায়িনাতের সর্বশ্রেষ্ঠ ঈদ, সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ, সাইয়ি¬্যদে ঈদে আ’যম, সাইয়্যিদে ঈদে আকবর মহাপবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সংক্ষেপে পবিত্র “সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ” যথাযথভাবে পালন করতে পারেন।

0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন