সব প্রশংসা মুবারক খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য; যিনি সব সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হযরত নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, হযরত রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অফুরন্ত পবিত্র দুরূদ শরীফ ও সালাম মুবারক।
ফক্বীহুল উম্মত, মুহইউস সুন্নাহ, ছহিবুল ইলম ওয়াল হিকাম, কুতুবুজ্জামান, ছহিবুল কাশফ ওয়াল কারামত, ফখরুল উলামা, সুলতানুল আরেফিন, আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা হযরত মাওলানা আলহাজ্জ সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুখলেছুর রহমান আলাইহিস সালাম- যিনি সারাবিশ্বে, কুল-কায়িনাতে মহাসম্মানিত দাদা হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম পরিচয়ে মশহুর।
অর্থাৎ তিনি বর্তমান পঞ্চদশ হিজরী শতকের সুমহান মুজাদ্দিদ, সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমামুল আইম্মা, মুহইউস সুন্নাহ, আওলাদে রসূল ঢাকা রাজারবাগ শরীফ উনার সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার সম্মানিত আব্বাজান বা ওয়ালিদ। সুবহানাল্লাহ!
তিনি ১৪১৯ হিজরী সনের শাহরুল আ’যম, সাইয়্যিদুশ শুহর, মহাপবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফ উনার ১৩ই তারিখে পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করেন।
উনার স্মরণে তা’যীম-তাকরীম, ব্যাপক জওক-শওক এবং বহুমুখী ইবাদত-বন্দেগী তথা পবিত্র ক্বাছীদা শরীফ, পবিত্র মীলাদ শরীফ এবং মকবুল মুনাজাত ও দোয়ার মাধ্যমে মহান এ দিনটি বিশেষভাবে পালিত হয়। সুবহানাল্লাহ!
বিশেষভাবে উল্লেখ্য, মুসতাজাবুদ দাওয়াত, ছহিবে কাশফ ওয়া কারামত, কুতুবুল ইরশাদ, আওলাদে রসূল হযরত দাদা হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার সবচেয়ে বড় কারামত মুবারক হলেন, উনার সুযোগ্য আওলাদ, যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার লক্ষ্যস্থল আওলাদে রসূল, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনাকে যমীনে হাদিয়া করে গেছেন।
তিনি আজীবন মুবারক আওলাদ হযরত মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার খিদমতের আঞ্জাম দেয়ার কোশেশ করে গেছেন। মুবারক আওলাদ, উনার সুমহান মাক্বাম সম্পর্কে তিনি ছিলেন সম্যক অবগত। কেননা তিনি আজমীর শরীফ-এ হযরত খাজা ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার যিয়ারত শেষে, হযরত খাজা ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার দেয়া হাদিয়া পাগড়ী মুবারক উনার সুযোগ্য আওলাদ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, রাহবারে আ’যম, গাউছুল আ’যম, সুলত্বানুল আউলিয়া, সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার জন্য তিনি নিজেই নিয়ে এসেছিলেন। সুবহানাল্লাহ!
আজীবন মুসতাজাবুদ দাওয়াত, ছহিবে কাশফ ওয়া কারামত, কুতুবুল ইরশাদ, আওলাদে রসূল হযরত দাদা হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি পিতা হয়েও হযরত মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার সম্মানে দাঁড়িয়ে যেতেন, উনাকে ইস্তেকবাল জানাতেন, উপস্থিত সকলকে দাঁড়ানোর জন্য আদেশ করতেন। সুবহানাল্লাহ!
প্রসঙ্গত, আমভাবে একটি মশহুর পবিত্র হাদীছ শরীফ-ই ফক্বীহুল উম্মত, কুতুবুল ইরশাদ সাইয়্যিদুনা হযরত দাদা হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার ফাযায়িল-ফযীলত অনুধাবনের জন্য যথেষ্ট।
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে- “যিনি ইলম শিক্ষা করলেন, সে অনুযায়ী আমল করলেন উনার সম্মানার্থে উনার পিতা-মাতাকে হাশরের ময়দানে সম্মানস্বরূপ এমন এক টুপী প্রদান করা হবে যার উজ্জ্বলতা সূর্যের আলোর চেয়েও বহুগুণ বেশি হবে।” সুবহানাল্লাহ! অর্থাৎ উনারা শুধু জান্নাতীই হবেন না, মহাসম্মানিত শানে জান্নাতীই হবেন।
তবে এটা যদি হয় সাধারণ আলিমের পিতা-মাতার ফযীলতের কথা; তাহলে যিনি মুজাদ্দিদে আ’যম, যিনি লুপ্তপ্রায় সব সুন্নতের জিন্দাকারী, যিনি পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার জিন্দাকারী, যাঁর উসীলায় প্রতি মুহূর্তে শুধু লক্ষ-কোটি হক্ব আলিম নয়; বরং হক্কানী-রব্বানী আলা দরজার ওলীআল্লাহ তৈরি হন; তাহলে সেই মহান ব্যক্তিত্ব, যিনি মুজাদ্দিদে আ’যম উনার পিতা-মাতা উনাদের তাহলে কী ফাযায়িল-ফযীলত থাকতে পারে! মূলত, এটা অকল্পনীয়, অব্যক্ত ও ভাষায় প্রকাশের অযোগ্য।
মূলত, উনারা শুধু মহাসম্মানিত জান্নাতীই নন, বরং উনারা এমন অযুদ মুবারক উনার অধিকারী, যাঁদের জন্য জান্নাত ব্যাকুল হয়ে, অধীর আগ্রহে প্রতীক্ষা করছে, যাদের তাশরীফে জান্নাত নিজেই সম্মানিত হয়ে যায়।
বলাবাহুল্য, উনারা এ সম্মানের চেয়েও মহামর্যাদাবান। এ মর্যাদা উনাদের অর্জন। উনাদের শান। উনাদের বৈশিষ্ট্য। উনারা শরহে সুদূরের কারণে কখনো মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম উনাকে শুধু সন্তান হিসেবে দেখেননি। সবসময়ই দেখেছেন মুজাদ্দিদে আ’যম হিসেবে। যে কারণে উনি স্বয়ং পিতা হয়েও সম্বোধন করতেন “হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম ও মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম বলে”। সুবহানাল্লাহ!
সঙ্গতকারণেই উম্মাহর জন্য ফরয-ওয়াজিব- কুতুবুজ্জামান, ছহিবুল ইলম ওয়াল হিকাম, ছহিবুল কাশফ ওয়াল কারামত, ছহিবুত তাক্বওয়া, ফখরুল উলামা, আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা হযরত দাদা হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার মা’রিফাত অর্জন করা উনাকে মুহব্বত করা। তা’যীম-তাকরীম করা। অনন্তকাল উনার শান-মান আলোচনা করা। উনার সম্মানার্থে নেক কাজ করা আর্থিক নেক কাজ করা এবং সমূহ হক্ব আদায় করা।
মূলত, এসব দায়িত্ব ও সচেতনতা তখনই অর্জিত হবে, যখন যথাযথ পবিত্র ইসলামী মূল্যবোধ জাগরূক থাকবে। কিন্তু তার জন্য প্রয়োজন খাছ রূহানী ফয়েয-তাওয়াজ্জুহ মুবারক।
যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আযম, সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারক-এ কেবলমাত্র তা লাভ করা সম্ভব।
খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তা নছীব করুন। (আমীন)

0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন