মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “তোমরা মহান আল্লাহ পাক উনাকে, উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে এবং উলিল আমর উনাদেরকে অনুসরণ-অনুকরণ করো।”
৯৮ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত দেশ- বাংলাদেশে পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উনার সুমহান সম্মানার্থে- নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত নাম মুবারকে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত হযরত আব্বা-আম্মা আলাইহিমাস সালাম উনাদের নাম মুবারকে, হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের নাম মুবারকে, হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের নাম মুবারকে, হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের নাম মুবারকে এবং হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের নাম মুবারকে বিশ্ববিদ্যালয়সহ সর্বপ্রকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও গবেষণাকেন্দ্র তৈরি করতে হবে।
সাথে সাথে উনাদের শান-মান মুবারক ও পবিত্র জীবনী মুবারক সম্বলিত কিতাব বেশি বেশি রচনা করতে, প্রকাশ করতে ও প্রচার-প্রসার করতে এবং প্রত্যেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে উনাদের সাওয়ানেহ উমরী মুবারক অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। যাতে মুসলমান উনারা সকলেই উনাদের ঐতিহ্য ও ইতিহাস জেনে এবং উনাদেরকে অনুসরণ ও অনুকরণ করে হাক্বীক্বী মুসলমান হতে পারেন।
যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইউস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, ক্বইয়ূমুয যামান, জাব্বারিউল আউওয়াল, ক্বউইয়্যূল আউওয়াল, সুলত্বানুন নাছীর, হাবীবুল্লাহ, জামিউল আলক্বাব, আওলাদে রসূল, মাওলানা সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, ৯৮ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত দেশ- বাংলাদেশে পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উনার সুমহান সম্মানার্থে- নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত নাম মুবারকে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত হযরত আব্বা আলাইহিস সালাম উনার নাম মুবারকে ও হযরত আম্মা আলাইহাস সালাম উনার নাম মুবারকে, হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের নাম মুবারকে, হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের নাম মুবারকে, হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের নাম মুবারকে, হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের নাম মুবারকে বিশ্ববিদ্যালয়সহ সর্বপ্রকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও গবেষণাকেন্দ্র তৈরি করতে হবে। সাথে সাথে উনাদের শান ও মান মুবারকে কিতাব রচনা করতে এবং প্রত্যেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে উনাদের সাওয়ানেহ উমরী মুবারক অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
মুজাদ্দিদে আ’যম, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, কেননা প্রত্যেক মুসলমান পুরুষ-মহিলা সকলের জন্য ফরয হচ্ছে, প্রথমতঃ সব বিষয়ে সর্বক্ষেত্রে দায়িমীভাবে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে অনুসরণ করা।
এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “নিশ্চয়ই তোমাদের জন্য অর্থাৎ জিন-ইনসান সকলের জন্যই তোমাদের যিনি রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মধ্যে সর্বোত্তম ও পরিপূর্ণ আদর্শ মুবারক রয়েছে।” সুবহানাল্লাহ!
এ সম্মানিত আয়াত শরীফ উনার ব্যাখ্যায় মহান আল্লাহ পাক তিনি অন্যত্র ইরশাদ মুবারক করেন, “তোমরা মহান আল্লাহ পাক উনাকে, উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে এবং উলিল আমর (নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত হযরত আব্বা আলাইহিস সালাম ও হযরত আম্মা আলাইহাস সালাম, হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম, হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম, হযরত খুলাফায়ে রাশিদীন আলাইহিমুস সালাম, হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম এবং হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম) উনাদেরকে অনুসরণ-অনুকরণ করো। তাহলেই তোমাদের পক্ষে হাক্বীক্বীভাবে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে অনুসরণ ও অনুকরণ করা সম্ভব হবে।”
মুজাদ্দিদে আ’যম, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, অতএব, প্রমাণিত হলো যে- নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত হযরত আব্বা আলাইহিস সালাম উনাকে ও হযরত আম্মা আলাইহাস সালাম উনাকে, হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদেরকে, হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে, হযরত খুলাফায়ে রাশিদীন আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে, হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদেরকে এবং হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদেরকে মুহব্বত করা, তা’যীম-তাকরীম করা ও অনুসরণ-অনুকরণ করা প্রত্যেক বান্দা-বান্দী ও উম্মত উনাদের জন্য ফরয।
তাই উনাদের সম্পর্কে জানা ও ইলম অর্জন করাও সকলের জন্য ফরয।
তাই ৯৮ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত দেশ- বাংলাদেশের সরকারের জন্যও ফরয হচ্ছে, দেশের সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যেমন- মাদরাসা, স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত পাঠ্যপুস্তকে উনাদের পবিত্র জীবনী মুবারক অন্তর্ভুক্ত করা।
উনাদের নামে বিশ্ববিদ্যালয়সহ সর্বপ্রকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও গবেষণাকেন্দ্র তৈরি করা। পাশাপাশি উনাদের শান-মান মুবারক ও পবিত্র জীবনী মুবারক সম্বলিত কিতাব বেশি বেশি রচনা করা ও প্রকাশ করা ও প্রচার-প্রসার করা।


0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন