728x90 AdSpace

  • Latest News

    “একমাত্র মনোনীত, পরিপূর্ণ, সন্তুষ্টিপ্রাপ্ত, অপরিবর্তনীয় সম্মানিত দ্বীন হচ্ছেন পবিত্র ইসলাম।”




    মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “একমাত্র মনোনীত, পরিপূর্ণ, সন্তুষ্টিপ্রাপ্ত, অপরিবর্তনীয় সম্মানিত দ্বীন হচ্ছেন পবিত্র ইসলাম।”
    পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ অর্থাৎ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এবং মহান আল্লাহ পাক উনারা ঈমানদারদের বিবাহের বয়স নির্দিষ্ট করে দেননি। অতএব, কেউ যদি ঈমানদারদের বিয়ের বয়স নির্দিষ্ট করতে চায়; তাহলে সে ঈমানদার থাকতে পারবে না।
    কাজেই কোনো মুসলমান পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের খিলাফ কোনো আইন জারি করতে পারে না, মানতে পারে না এবং আমলও করতে পারে না।

    যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইউস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, ক্বইয়ূমুয যামান, জাব্বারিউল আউওয়াল, ক্বউইয়্যূল আউওয়াল, সুলত্বানুন নাছীর, হাবীবুল্লাহ, জামিউল আলক্বাব, আওলাদে রসূল, মাওলানা সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, পবিত্র কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ অনুযায়ী ছেলে ও মেয়েকে বিয়ে করার ও বিয়ে দেয়ার জন্য কোনো বয়স নির্দিষ্ট করে দেয়া হয়নি। 

    অর্থাৎ ৫, ১০, ১৫ ইত্যাদি বছরের কমে অথবা ৪০, ৬০, ৮০ ইত্যাদি বছরের চেয়ে বেশি বয়সে বিয়ে করা যাবে বা যাবে না- এমন কোনো শর্ত-শারায়িত সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার মধ্যে বর্ণনা করা হয়নি। 

    অর্থাৎ স্বয়ং যিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এবং স্বয়ং খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনারা ঈমানদারদের বিবাহের বয়স নির্দিষ্ট করে দেননি। 

    তাহলে সরকার কিভাবে ঈমানদারদের বিবাহের বয়স নির্দিষ্ট করে? 

    তাহলে সরকার কি দাবি করে- সরকারের প্রতি ওহী নাযিল হয়? নাউযুবিল্লাহ! 

    অতএব, কেউ যদি ঈমানদারদের বিয়ের বয়স নির্দিষ্ট করতে চায়, তাহলে সে ঈমানদার থাকতে পারবে না।
     
    মুজাদ্দিদে আ’যম, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের প্রতি অবজ্ঞা প্রদর্শন করে অর্থাৎ খাছ সুন্নতী বাল্যবিবাহ মুবারক উনার বিরোধিতা করার উদ্দেশ্যেই মূলত ব্রিটিশ সরকার কোনো মেয়ের বিয়ে বসা বা বিয়ে দেয়ার জন্য কমপক্ষে ১৮ বছর বয়স হওয়ার আইন বা শর্ত করে দেয় এবং ১৮ বছর বয়সের নিচে কোনো মেয়েকে বিয়ে দেয়া, বিয়ে করা বা কোনো মেয়ের জন্য বিয়ে বসা দ-নীয় অপরাধ বলে সাব্যস্ত করে। নাঊযুবিল্লাহ! নাঊযুবিল্লাহ! নাঊযুবিল্লাহ!

    মুজাদ্দিদে আ’যম, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, ব্রিটিশদের এই আইনও সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার সম্পূর্ণ খিলাফ ও কুফরীর অন্তর্ভুক্ত। 

    এ প্রসঙ্গে স্মর্তব্য যে, সম্মানিত হানাফী মাযহাব মুতাবিক ১৫ বছর বয়স হলেই ছেলে বা মেয়ে বালিগ বা বালিগা বলে গণ্য হবে, যদিও জাহিরীভাবে তার কোনো লক্ষণ প্রকাশ না পায়। আর এর আগে যদি কোনো লক্ষণ প্রকাশ পায়, তবে তখন থেকেই সে বালেগ বা বালিগা বলে গণ্য হবে।

    মুজাদ্দিদে আ’যম, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, স্মরণীয় যে- যিনি সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি স্বয়ং নিজেই উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যদাতুনা হযরত ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনার সাথে উনার ৬ বছর বয়স মুবারকে আক্বদ্ মুবারক সম্পন্ন করেছিলেন ও উনার ৯ বছর বয়স মুবারকে উনাকে মুবারক হুজরা শরীফে তুলে নিয়েছিলেন। 

    তাহলে কি মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এবং উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ সাইয়্যদাতুনা হযরত ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত পিতা সাইয়্যদাতুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনারা গণতান্ত্রিক নিয়মনীতি অনুযায়ী দন্ডনীয় হবেন?  (নাঊযুবিল্লাহ্ মিন যালিক)।

     যা কেউ কল্পনা করলেও কাট্টা কাফির ও চির জাহান্নামী হবে এবং তার প্রতি মুরতাদের হুকুম বর্তাবে।

     তাই সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার ফতওয়া মুতাবিক- বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে বলা, বাল্যবিবাহকে কটাক্ষ করা এবং বাল্যবিবাহ রোধে আইন করা কাট্টা কুফরীর অন্তর্ভুক্ত। 

    উল্লেখ্য, বাল্যবিবাহ বিরোধীরা সম্মানিত শরীয়ত উনার ফতওয়া মুতাবিক মুরতাদের অন্তর্ভুক্ত। ক্ষমতাসীন সরকার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিতে বলেছে, ‘সরকার পবিত্র কুরআন সুন্নাহ ও শরীফ বিরোধী কোনো আইন পাস করবে না।’

    মুজাদ্দিদে আ’যম, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি বলেন- অতএব, কেউ যদি ঈমানদারদের বিয়ের বয়স নির্দিষ্ট করতে চায়; তাহলে সে ঈমানদার থাকতে পারবে না। 

    সরকার যদি ঈমানদার দাবি করে, তাহলে সরকারকে স্মরণ রাখতে হবে- এ প্রসঙ্গে স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “তোমরা যদি সত্যবাদী হও, তাহলে দলীল পেশ করো।” 

    কাজেই সরকার যদি ঈমানদারদের জন্য বিবাহের বয়স নির্দিষ্ট করতে চায় এবং নিজেদেরকে ঈমানদার দাবি করে, তাহলে সরকারকে অবশ্যই পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ থেকে দলীল পেশ করতে হবে। 

    অন্যথায় সরকারকে এ আইন অবশ্যই প্রত্যাহার করতে হবে। কারণ সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার কোনো হুকুম বাড়ানো বা কমানো জায়িয নেই। 

    সুতরাং কোনো মুসলমান পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের খিলাফ কোনো আইন জারি করতে পারে না, মানতে পারে না এবং আমলও করতে পারে না।
    -০-

    • Blogger Comments
    • Facebook Comments

    0 মন্তব্য(গুলি):

    একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

    Item Reviewed: “একমাত্র মনোনীত, পরিপূর্ণ, সন্তুষ্টিপ্রাপ্ত, অপরিবর্তনীয় সম্মানিত দ্বীন হচ্ছেন পবিত্র ইসলাম।” Rating: 5 Reviewed By: Unknown
    Scroll to Top