আমরা সবাই জানি যে, একটি সময়ে গোটা পৃথিবীতে মুসলমানগণ রাজত্ব করতেন ।
মুসলমানগণ উনাদের ধন-সম্পদ, প্রতিপত্তি সবই তখন ছিলো । তার সাথে সাথে ছিলো বহু লাইব্রেরী ও কিতাবখানা । অর্থাৎ মুসলমানগণ গোটা বিশ্বের ধন ভান্ডারের সাথে সাথে জ্ঞান ভান্ডারেরও মালিক ছিলেন ।
মুসলমানগণ উনাদের ধন-সম্পদ, প্রতিপত্তি সবই তখন ছিলো । তার সাথে সাথে ছিলো বহু লাইব্রেরী ও কিতাবখানা । অর্থাৎ মুসলমানগণ গোটা বিশ্বের ধন ভান্ডারের সাথে সাথে জ্ঞান ভান্ডারেরও মালিক ছিলেন ।
পরবর্তীতে মুসলমান উনাদের গাফলতিতে ও কাফির মুশরিকদের সাথে বন্ধুত্ব করার কারণে সেই রাজত্ব ও ধন-সম্পদ সবই হাতছাড়া হয় । সাথে সাথে হাতছাড়া হয় মুসলমান উনাদের বিশাল বিশাল লাইব্রেরী ও তাতে সঞ্চিত পুস্তকভান্ডার ।
মুসলমানগণ উনাদের থেকে চুরি করে নেয়া সেসব কিতাবাদি নকল করেই আজ কাফির-মুশরিকরা নিজেদেরকে বিজ্ঞানী দাবি করে থাকে ।
শুধু বিজ্ঞান নয়, ইতিহাস, অর্থনীতি,দর্শন , সমাজনীতি সহ জ্ঞান-বিজ্ঞানের সমস্ত শাখা কাফির মুশরিকরা আয়ত্ব করেছে মুসলমান উনাদের লাইব্রেরী লুট করে । পাশ্চাত্যের অনেক খ্রিস্টান ইতিহাসবিদ তা স্বীকারও করে থাকে ।
জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের মুসলমান শিক্ষক ফুয়াদ সেজগিন । মুসলমান বিজ্ঞানীগণ উনাদের নিয়ে গবেষণার স্বীকৃতি হিসেবে তুর্কী বংশোদ্ভূত এই অধ্যাপকের নামে তুরস্কেরর রাজধানী আঙ্কারায় একটি রাস্তার নামকরণ করা হয়েছে ।
ফুয়াদ সেজগিন জার্মান ভাষায় ১৩ খন্ডের বই লিখেছেন মুসলিম বিজ্ঞানীগণ উনাদের অবদান সম্পর্কে ।
ফুয়াদ সেজগিন তার গবেষনা চালানোর সময়ে ইস্তাম্বুল লাইব্রেরীতে খুঁজে পেয়েছিলেন ১ লক্ষ ২০ হাজার পান্ডুলিপি, যা মুসলমান বিজ্ঞানীগণ উনাদের অসামান্য উৎকর্ষতার দলিল বলে প্রমাণিত হয় । ঐসব পান্ডুলিপি নিয়ে গবেষণার পর ফুয়াদ সেজগিন জানান , গোটা বিশ্বে আরব বিজ্ঞানীগণ উনাদের ১ কোটি ৫০ লক্ষেরও বেশি বৈজ্ঞানিক পান্ডুলিপি ছড়িয়ে রয়েছে ।
ফুয়াদ সেজগিন তার গবেষণায় আরো দেখান, কিভাবে পাশ্চাত্যের খ্রিস্টানরা মুসলমান বিজ্ঞানীগণ উনাদের গবেষণাকর্ম চুরি করে নিজেদের নামে চালিয়ে দিয়েছিলো ।
গবেষণা করে বের করেন, একটি সময়ে আরবগণ কর্তৃক সেই চক্রান্ত ধরা পড়ে গিয়েছিলো । তাই সেই সময় ডিক্রি জারি করা হয় যে, "খ্রিস্টানদের কাছে বিজ্ঞানের কোনো লেখা বিক্রি করা যাবে না ।" পরে আরো কঠোরভাবে বলা হয় যে, "আরবী বৈজ্ঞানিক কিতাবের অনুবাদ প্রকাশ করলে কঠোর শাস্তি দেয়া হবে।"
কিন্তু স্পেনের মুসলমান উনারা ছিলো ইহুদী এবং খ্রিস্টানদের প্রতি নমনীয় । তাই মুসলিম শাসিত স্পেনের টলেডো শহর হয়ে উঠে মুসলমানগণ উনাদের জ্ঞান-বিজ্ঞান পাচারের মূল কেন্দ্র ।
স্পেনের মুসলিম প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলো পাশ্চাত্যের খ্রিস্টান ছাত্রদের জন্য উম্মুক্ত ছিলো এবং তারা সেখান থেকে বিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয় চুরি করা শুরু করলো ।
আরবী বিজ্ঞান কিতাবসমূহকে ল্যাটিন ভাষায় অনুবাদ করতে স্পেনকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠলো এক খ্রিস্টান অনুবাদক দল । এই খ্রিস্টান অনুবাদকরাই তাদের বইগুলোতে মুসলিম বিজ্ঞানীগণ উনাদের নামগুলো বিকৃত করে প্রচার করা শুরু করে ।
ঐসব অনুবাদক কারা কারা ছিলো, তার ইতিহাস খ্রিস্টানরা সংরক্ষণ করেছে ।
যেমন 'জেরার্ড অফ ক্রেমোনা' নামক এক অনুবাদক একাই নব্বইটির বেশি পান্ডুলিপি অনুবাদ করেছিলো ।
যেমন 'জেরার্ড অফ ক্রেমোনা' নামক এক অনুবাদক একাই নব্বইটির বেশি পান্ডুলিপি অনুবাদ করেছিলো ।
মুসলিম বিজ্ঞানী আল জারকালি উনার প্রনীত অ্যাস্ট্রোনমিকাল টেবিল বা নক্ষত্র তালিকা ল্যাটিন ভাষায় অনুবাদ করে জেরার্ড অফ ক্রেমোনা, যেখানে আল জারকালি উনার নাম বিকৃত করে লেখা হয় 'আরজাখেল' ।
আল ফারাবী উনার কিতাব অনুবাদ করে জেরার্ড অফ ক্রেমোনা উনার নাম বিকৃত করে দেয় 'ফারাবিয়াস' ।
আল খাওয়ারিজমি উনার কিতাব অনুবাদ করে উনার বিকৃত করে দেয়া হয় 'আলগোরিদমি' ।
উদ্দেশ্যমূলকভাবেই মুসলিম বিজ্ঞানীগণ উনাদের নাম বিকৃত করে বই লিখেছিল খ্রিস্টানরা, যেন ঐসব নাম শুনে মুসলমান বিজ্ঞানীগণ উনাদেরকে মুসলমান হিসেবে চিহ্নিত করা না যায় । নাউযুবিল্লাহ !
এতে করে খ্রিস্টানদের পক্ষে চুরি করাটাও হয়ে উঠে সহজ ।
' প্লেটো ভন টিভোলি ' নামক এক অনুবাদক আল বাত্তানী উনার মহাকাশবিজ্ঞান সম্পর্কিত জগদ্বিখ্যাত বইটি অনুবাদ করে নিজের নামেই চালিয়ে দেয় ।
এছাড়াও সে সর্বপ্রথম আস্তারলব সম্পর্কিত মুসলিম বিজ্ঞানীগণ উনাদের একটি বই অনুবাদ করেছিলো বলে ইতিহাস রয়েছে ।
এই ' প্লেটো ভন টিভোলি' তার সাথে সহযোগী হিসেবে নিয়েছিলো 'আব্রাহাম বার হাইয়া ' নামক এক ইহুদীকে।
ইহুদীরা আরবী জানতো বিধায় তাদেরকে দিয়ে স্পেনের খ্রিস্টানরা মুসলমান বিজ্ঞানীগণ উনাদের বইগুলো অনুবাদ করাতো ।
ইতিহাসের পাতায় এরকম ইহুদীদের বেশ কয়েকজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে । এদের মধ্যে রয়েছে আব্রাহাম ইবনে দাউদ, যে ইবনে সীনা উনার রচিত 'কিতাবুশ শিফা' অনুবাদ করেছিলো । 'ডেভিড দ্য জিউ' অনুবাদ করেছিলো মুসলিম চিকিৎসা বিজ্ঞানী আর রাজী উনার কিতাবসমূহ ।
উপরের ঘটনাগুলো দ্বাদশ ঈসায়ী শতকে স্পেনে মুসলিম শাসন জারি থাকার সময়ে ঘটেছিলো ।
অর্থাৎ মুসলমান উনাদের রাজত্বে বসেই খ্রিস্টানরা মুসলমান বিজ্ঞানীগণ উনাদের অবদানসমূহ চুরি করতো, মুসলমান বিজ্ঞানীগণ উনাদের নাম গুলো বিকৃত করে বই লিখতো ।
কিন্তু স্পেনের মুসলমানরা খ্রিস্টান ও ইহুদীদের প্রতি বন্ধুত্বপূর্ণ মনোভাব পোষণ করায় এসবের বিরুদ্ধে কোনো জোরালো প্রতিবাদ হয়নি ।
খ্রিস্টানদের সাথে বন্ধুত্বের মনোভাব পোষণ করার ফলশ্রুতিতে স্পেন মুসলমান উনাদের হস্তচ্যুত হয় ।
পরবর্তীতে মুসলমান শাসনের অবর্তমানে স্পেনে মুসলমানগণ উনাদের লাইব্রেরীগুলো পরিত্যক্ত হয়েছিলো এবং সেসব লাইব্রেরীগুলো থেকে রীতিমত 'পুকুরচুরি' করে মুসলিম বিজ্ঞানীগণ উনাদের অবদানসমূহ নিজেদের নামে প্রচার করতে খ্রিস্টানদের আর কোনো বেগ পেতে হয়নি ।
অর্থাৎ মুসলিমবিজ্ঞানীগণ উনাদের অবদানসমূহ চুরি করার জন্য বিধর্মীদের প্রধান লক্ষ্যবস্তু হলো মুসলমানগণ উনাদের লাইব্রেরীসমূহ । বৈজ্ঞানিক গবেষণা ও পর্যালোচনা করার জন্য যে আলাদা গবেষণাগার প্রতিষ্ঠা করতে হয়, লাইব্রেরী তৈরী করতে হয় এগুলো মুসলমানগণ উনারাই শিখিয়ে গিয়েছেন ।
আর কাফির-মুশরিকরা লাইব্রেরীগুলো লুট করতে পেরেছিলো কেনো ?
কারণ মুসলমান উনারা দ্বীন ইসলাম থেকে দূরে সরে গিয়ে কাফির- মুশরিকদেরকে বন্ধু বলে মনে করা শুরু করেছিলো । নাউযুবিল্লাহ !
কারণ মুসলমান উনারা দ্বীন ইসলাম থেকে দূরে সরে গিয়ে কাফির- মুশরিকদেরকে বন্ধু বলে মনে করা শুরু করেছিলো । নাউযুবিল্লাহ !
স্পেনের মুসলিম প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে খ্রিস্টানরা প্রবেশ করতে পেরেছিলো তাদের প্রতি মুসলমান উনাদের সহানুভূতিশীল মনোভাবের কারণে ।
স্পেনে মুসলিম শাসনের পতন ও লাইব্রেরীগুলো লুন্ঠিত হয়েছিলো খ্রিস্টানদের বন্ধু বলে মনে করার কারণে ।
স্পেনে মুসলিম শাসনের পতন ও লাইব্রেরীগুলো লুন্ঠিত হয়েছিলো খ্রিস্টানদের বন্ধু বলে মনে করার কারণে ।
মুসলমান উনাদের আগে অনুধাবন করতে হবে, মুসলিম বিজ্ঞানীগণ উনাদের অবদান চুরি হওয়ার মূল কারণ কী ?
এর উত্তরে বলতে হয়, মহান আল্লাহপাক তিনি কর্তৃত্ব দেন, আবার তিনিই কর্তৃত্ব কেড়ে নেন ।
এর উত্তরে বলতে হয়, মহান আল্লাহপাক তিনি কর্তৃত্ব দেন, আবার তিনিই কর্তৃত্ব কেড়ে নেন ।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি হলো দুনিয়াতে কর্তৃত্ব করার একটা অন্যতম হাতিয়ার ।
মুসলমানদের উদ্দেশ্য করে মহান আল্লাহপাক এবং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হযূরপাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা জানিয়েছেন যে, কাফির-মুশরিকরা তোমাদের শত্রু, তাদেরকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করোনা ।
যতোদিন মুসলমান উনারা এই নির্দেশ মুবারক পালন করে এসেছেন, ততোদিন মুসলমানরা বিজ্ঞানের কর্তৃত্ব তথা দুনিয়ার কর্তৃত্ব ধরে রাখতে পেরেছেন । যখনই তারা পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীস শরীফ উনাদের এই নির্দেশ মুবারক থেকে সরে এসেছে এবং কাফির-মুশরিকদের সাথে বন্ধুত্ব করেছে, তখনই কাফির-মুশরিকরা মুসলমান উনাদের নিকট থেকে জ্ঞান-বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখার অবদানগুলো চুরি করে নিজেদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে শুরু করে ।
আর মুসলমানগণ পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের থেকে সরে আসার ফলে উনাদের উপর যুলুম-নির্যাতন নেমে আসে।
মুসলমান উনাদেরকে কাফির-মুশরিকদের বন্ধু হিসেবে নয়, বরং মনিব হিসেবে পাঠানো হয়েছে । গোলাম তো বন্ধু হওয়ার যোগ্য নয়, তাকে বন্ধু বানালে সে মনিবের উপড়ে চড়ে বসবেই । এটি অনুধাবন করতে পারলেই মুসলমান উনারা বিজ্ঞানের অবদানসমূহ নিজেদের করে নিতে পারবে । কাফির-মুশরিকদের শত্রুজ্ঞান করতে পারলেই জ্ঞানবিজ্ঞানের উপর মুসলমান উনাদের নিয়ন্ত্রন ফের প্রতিষ্ঠিত হবে, যেমনটি পূর্ববর্তী সময়ের মুসলমানগণ প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন । (ইনশা আল্লাহ চলবে......)

If you're looking to lose pounds then you absolutely have to start using this brand new personalized keto diet.
উত্তরমুছুনTo create this keto diet service, licensed nutritionists, personal trainers, and professional cooks have united to develop keto meal plans that are productive, convenient, economically-efficient, and enjoyable.
Since their first launch in early 2019, 100's of people have already remodeled their body and health with the benefits a great keto diet can give.
Speaking of benefits; clicking this link, you'll discover eight scientifically-certified ones provided by the keto diet.