| কিতাবে বর্ণিত আছে, হযরত বড়পীর ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি যখন কঠিন ইবাদত, রিয়াযত-মুজাহাদার সর্বোচ্চ সোপানে অধিষ্ঠিত, ঠিক সে সময় উনার সম্মুখে একটি আলোর ঝলক উদ্ভাসিত হলো, সেখান হতে এক প্রকার আকৃতিও জাহির হলো। সেই আকৃতি আওয়াজ করে বলে উঠলো, ‘হে আব্দুল ক্বাদির রহমতুল্লাহি আলাইহি! খোশ খবরী নিন। আমি আপনার মহামহিম রব! আপনার ইবাদত, মুজাহাদা বন্দেগী মুরাকাবায় আমি চিরতরে সন্তুষ্ট হয়ে গেলাম। যান, আজকে থেকে আপনি পবিত্র ইসলামী শরীয়ত উনার লাগাম থেকে সম্পূর্ণরূপে মুক্ত। আপনার জন্য সমস্ত হালাল হারামের ভেদাভেদ তুলে দিলাম।’ হযরত বড়পীর ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি এমন আওয়াজ শ্রবণে জালালী আওয়াজে ইরশাদ মুবারক করেন, ওরে আদম সন্তানের চির দুশমন ইবলিশ শয়তান; দূর-হ, দূর-হ। ইবলিস শয়তান দূরে সরে গিয়ে খোলস পাল্টে ফের বলে উঠলো আফসুস! আমার হামলা থেকে আপনার ইলম আপনাকে বাঁচিয়ে দিল। নাঊযুবিল্লাহ! কিন্তু ইবলিস শয়তানের দুর্ভাগ্য তার এবারের ফাঁদও ব্যর্থ হলো। হযরত বড়পীর ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি আরো জালালী হয়ে বললেন, ‘দূর-হ ওরে মরদুদ, খবীছ। ইলম নয়, বরং মহান খালিক্ব মালিক আল্লাহ পাক উনার রহমতেই আমি তোর শয়তানি থেকে রক্ষা পেয়েছি।’ সুবহানাল্লাহ! সত্যিই মহান আল্লাহ পাক উনার রহমত এবং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খাছ ইহসান ব্যতীত কারো পক্ষেই মরদুদ ইবলিস শয়তানের নিত্যনতুন গুমরাহী থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব নয়। যেহেতু ওলীআল্লাহগণ উনারা সর্বাবস্থায় শয়তানের বিরোধিতায় রত, উপরন্তু মানুষকেও আল্লাহওয়ালা করে শয়তানের প্রতারণা ধোঁকা থেকে হিফাজত করে থাকেন। তাই শয়তান সবসময় চায় যারা হাদী দাবি করে পীর মুফতী মৌলভী সাজে তাদেরকে গুমরাহ করতে। |
- Blogger Comments
- Facebook Comments
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)

0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন