হাদীছ শরীফ-এ এসেছে, “হযরত আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি কুরআন শরীফ-এর মনগড়া বা স্বীয় রায় অনুযায়ী তাফসীর বা ব্যাখ্যা করবে সে যেন তার স্থান দোযখে নির্ধারণ করে নেয়।” (তিরমিযী শরীফ, মিশকাত শরীফ)
ইসলামের শুরু থেকে ইহুদী-মুশরিক-খ্রিস্টান বা বিধর্মীরা তাদের অনুসারী বাতিল ৭২ ফিরকা ওহাবী, খারিজী, রাফিজী তথা উলামায়ে ‘ছূ’ গংরা কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ-এর মনগড়া তাফসীর বা ব্যাখ্যা করে আসছে। ঐ সমস্ত বদ আক্বীদাযুক্ত, বিভ্রান্তিমূলক ও মনগড়া তাফসীর বা ব্যাখ্যা পরিহার করে নবীদের নবী, রসূলদের রসূল, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মি’রাজ শরীফ-এ মহান আল্লাহ পাক-এর হাক্বীক্বী দীদার, দর্শন ও ছোহবত লাভ করেছেন সে সম্পর্কে বিশুদ্ধ, গ্রহণযোগ্য, আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের ছহীহ আক্বীদাযুক্ত তাফসীরসমূহ থেকে দলীল-আদিল্লা উপস্থাপন করা হলো।
তাফসীর ত্ববারী
আল্লাহ পাক সূরা নজম-এর ৮ নম্বর আয়াত শরীফ-এ ইরশাদ করেন, “অতঃপর (আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লম) তিনি নিকটবর্তী হলেন এবং ঝুঁকে গেলেন।”
অনেক মুফাস্সিরীনে কিরামগণ বলেছেন, বরং উক্ত আয়াত শরীফ-এর অর্থ হচ্ছে ‘অতঃপর আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর নিকটবর্তী হলেন এবং তিনি আল্লাহ পাক-এর দিকে ঝুঁকে গেলেন।’
হাদীছ শরীফ-এর এসেছে, হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত, “অতঃপর আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহ পাক-এর নিকটবর্তী হলেন এবং ঝুঁকে গেলেন।” অতঃপর আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “তার রব আল্লাহ পাক নিকটবর্তী হলেন এবং হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামও ঝুঁকে গেলেন।”
এ প্রসঙ্গে হাদীছ শরীফ-এ আরো ইরশাদ হয়েছে, “হযরত আনাস ইবনে মালিক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বর্ণনা করেন, ঐ ইসরা (মি’রাজ) শরীফ-এর রাত্রে আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সফর করেন। নিশ্চয়ই হযরত জিবরীল আলাইহিস্ সালাম আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নিয়ে সপ্ত আকাশ পর্যন্ত উঠলেন অতঃপর আরো উপরে উঠলেন আল্লাহ পাক ছা
ড়া এ সম্পর্কে কেউ জানে না। যখন আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সিদরাতুল মুনতাহা গেলেন। তারপর মহান রব্বুল ইজ্জত-এর নিকটবর্তী হলেন, অতঃপর আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আল্লাহ পাক-এর কাছে ঝুঁকে গেলেন উভয়ের মধ্যে দু’ধনুকের ব্যবধান এবং তার চেয়ে কম।
অতঃপর আল্লাহ পাক ওহী (আলাপ-আলোচনা) করলেন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সঙ্গে, তিনি যেভাবে চান। তারপর আল্লাহ পাক আরো ওহী করলেন নূরে মুজাস্সাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর উপর, তন্মধ্যে প্রত্যেক উম্মতের উপর দিনে ও রাতে পাঁচ ওয়াক্ত নামাযেরও ওহী করলেন, জানালেন। যা অসংখ্য হাদীছ শরীফ-এ বর্ণিত রয়েছে।
উপরোক্ত বর্ণনাসমূহ ইমামুল কাবীর, মুহাদ্দিসুশ্ শাহীর হযরত আবু জাফর মুহম্মদ ইবনে জারীর ত্ববারী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার বিশ্ববিখ্যাত তাফসীরে ত্ববারী-এর সূরা নজম/৮, ৯ নম্বর আয়াত শরীফ-এ তাফসীরে বর্ণনা করেছেন।
অতএব, উপরোক্ত দলীলভিত্তিক আলোচনা দ্বারা প্রমাণিত হলো যে, নবীদের নবী, রসূলদের রসূল, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহ পাককে হাক্বীক্বী সূরত মুবারকে দেখেছেন। তার বিপরীতে কোন নবী-রসূল এবং মাখলুকাতকে আল্লাহ পাক হাক্বীক্বী সূরত মুবারকে দেখা দেননি। যা দ্বারা এটাও সাবেত হচ্ছে আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের কারো মত নন। তিনি একক অর্থাৎ তিনি সৃষ্টির মাঝে একক (ছমাদ)। যেমন আল্লাহ পাক খলিক হিসেবে একক (ছমাদ)। সুবহানাল্লাহ।http://al-ihsan.net/FullText.aspx?subid=2&textid=6
ইসলামের শুরু থেকে ইহুদী-মুশরিক-খ্রিস্টান বা বিধর্মীরা তাদের অনুসারী বাতিল ৭২ ফিরকা ওহাবী, খারিজী, রাফিজী তথা উলামায়ে ‘ছূ’ গংরা কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ-এর মনগড়া তাফসীর বা ব্যাখ্যা করে আসছে। ঐ সমস্ত বদ আক্বীদাযুক্ত, বিভ্রান্তিমূলক ও মনগড়া তাফসীর বা ব্যাখ্যা পরিহার করে নবীদের নবী, রসূলদের রসূল, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মি’রাজ শরীফ-এ মহান আল্লাহ পাক-এর হাক্বীক্বী দীদার, দর্শন ও ছোহবত লাভ করেছেন সে সম্পর্কে বিশুদ্ধ, গ্রহণযোগ্য, আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের ছহীহ আক্বীদাযুক্ত তাফসীরসমূহ থেকে দলীল-আদিল্লা উপস্থাপন করা হলো।
তাফসীর ত্ববারী
আল্লাহ পাক সূরা নজম-এর ৮ নম্বর আয়াত শরীফ-এ ইরশাদ করেন, “অতঃপর (আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লম) তিনি নিকটবর্তী হলেন এবং ঝুঁকে গেলেন।”
অনেক মুফাস্সিরীনে কিরামগণ বলেছেন, বরং উক্ত আয়াত শরীফ-এর অর্থ হচ্ছে ‘অতঃপর আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর নিকটবর্তী হলেন এবং তিনি আল্লাহ পাক-এর দিকে ঝুঁকে গেলেন।’
হাদীছ শরীফ-এর এসেছে, হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত, “অতঃপর আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহ পাক-এর নিকটবর্তী হলেন এবং ঝুঁকে গেলেন।” অতঃপর আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “তার রব আল্লাহ পাক নিকটবর্তী হলেন এবং হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামও ঝুঁকে গেলেন।”
এ প্রসঙ্গে হাদীছ শরীফ-এ আরো ইরশাদ হয়েছে, “হযরত আনাস ইবনে মালিক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বর্ণনা করেন, ঐ ইসরা (মি’রাজ) শরীফ-এর রাত্রে আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সফর করেন। নিশ্চয়ই হযরত জিবরীল আলাইহিস্ সালাম আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নিয়ে সপ্ত আকাশ পর্যন্ত উঠলেন অতঃপর আরো উপরে উঠলেন আল্লাহ পাক ছা
ড়া এ সম্পর্কে কেউ জানে না। যখন আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সিদরাতুল মুনতাহা গেলেন। তারপর মহান রব্বুল ইজ্জত-এর নিকটবর্তী হলেন, অতঃপর আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আল্লাহ পাক-এর কাছে ঝুঁকে গেলেন উভয়ের মধ্যে দু’ধনুকের ব্যবধান এবং তার চেয়ে কম।
অতঃপর আল্লাহ পাক ওহী (আলাপ-আলোচনা) করলেন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সঙ্গে, তিনি যেভাবে চান। তারপর আল্লাহ পাক আরো ওহী করলেন নূরে মুজাস্সাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর উপর, তন্মধ্যে প্রত্যেক উম্মতের উপর দিনে ও রাতে পাঁচ ওয়াক্ত নামাযেরও ওহী করলেন, জানালেন। যা অসংখ্য হাদীছ শরীফ-এ বর্ণিত রয়েছে।
উপরোক্ত বর্ণনাসমূহ ইমামুল কাবীর, মুহাদ্দিসুশ্ শাহীর হযরত আবু জাফর মুহম্মদ ইবনে জারীর ত্ববারী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার বিশ্ববিখ্যাত তাফসীরে ত্ববারী-এর সূরা নজম/৮, ৯ নম্বর আয়াত শরীফ-এ তাফসীরে বর্ণনা করেছেন।
অতএব, উপরোক্ত দলীলভিত্তিক আলোচনা দ্বারা প্রমাণিত হলো যে, নবীদের নবী, রসূলদের রসূল, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহ পাককে হাক্বীক্বী সূরত মুবারকে দেখেছেন। তার বিপরীতে কোন নবী-রসূল এবং মাখলুকাতকে আল্লাহ পাক হাক্বীক্বী সূরত মুবারকে দেখা দেননি। যা দ্বারা এটাও সাবেত হচ্ছে আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের কারো মত নন। তিনি একক অর্থাৎ তিনি সৃষ্টির মাঝে একক (ছমাদ)। যেমন আল্লাহ পাক খলিক হিসেবে একক (ছমাদ)। সুবহানাল্লাহ।http://al-ihsan.net/FullText.aspx?subid=2&textid=6

0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন