আরবী মাস উনার মধ্যে দ্বিতীয় মাস হচ্ছে ছফর। এ মাস উনার অনেক ফাযায়িল-ফযীলত ও বুযূর্গী সম্মান রয়েছে। এ মাস উনার বরকতপূর্ণ ও মহিমাম্বিত দিনটি হচ্ছে পবিত্র আখিরী চাহার মোম্বাহ শরীফ “আখিরী” শব্দটি আরবী। এর অর্থ শেষ। আর “চাহার শোম্বাহ” হচ্ছে ফারসী শব্দ। এর অর্থ ইয়াওমুল আরবিয়া বা বুধবার। আরবী ও ফারসী শব্দের সংমিশ্রণে পবিত্র আখিরী চাহার বলতে পবিত্র ছফর মাস উনার শেষ বুধবারকে বুঝায়। এ দিনটি সারা বিশ্বের মুসলিম উম্মার জন্য মহা খুশির দিন।এ দিনটির ফযীলত সম্পর্কে বর্ণিত রয়েছে যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এ মাসে অর্থাৎ পবিত্র ছফর মাস উনার তৃতীয় সপ্তাহে ভীষণভাবে মারিদ্বী শান মুবারক প্রকাশ করেন। কিন্তু পবিত্র ছফর মাসের শেষ বুধবার ভোর বেলা ঘুম থেকে জেগে তিনি বললেন, “আমার নিকট কে আছেন?” এ কথা শুনা মাত্রই সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম দ্রুত আসলেন এবং বললেন, ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমার পিতা-মাতা আপনার জন্য কুরবান হোক, আমি হাযির আছি। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লঅল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, হে উম্মুল মু’মীনিন সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম! আমার মাথা মুবারক উনার ব্যাথা দূর হয়ে গেছে এবং দেহ মুবারকও বেশ হালকা মনে হচ্ছে। আমি ছিহাতী শান মুবারক গ্রহণ করেছি। সুবহানাল্লাহ! উনার এ সুসংবাদ শুনে হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা খুশি হয়ে নিজ নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী মাল দিয়ে খিদমত মুবারক করেছেন। আর এ প্রসঙ্গে পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “যারা হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের উত্তমভাবে অনুসরণ করবে মহান আল্লাহ পাক তিনি তাদের প্রতি ও সন্তুষ্ট।” সুবহানাল্লাহ! (পবিত্র সূরা তওবা শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ-১০০) অর্থাৎ এ পবিত্র আয়াত শরীফ উনার দ্বারা বুঝা যায় যে, হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের অনুসরণ করতে হবে এবং উনারা যেভাবে পবিত্র আখিরী চাহার মোম্বাহ শরীফ পালন করেছেন, সেইভাবে পালন করতে হবে। মহান আল্লাহ পাক তিনি যেন সকল মুসলিম উম্মাহকে সেই তাওফীক দান করেন। আমীন!
http://al-ihsan.net/FullText.aspx?subid=1&textid=12137
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন